আফগানিস্তানে মসজিদে বোমা হামলা, ৪৬ জন নিহত

1

আফগানিস্তানের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় কুন্দুজ প্রদেশে একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৪৬ জন নিহত এবং ১৪০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। রাষ্ট্র-পরিচালিত বখতার বার্তা সংস্থা এ খবর জানিয়েছে। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের সময় একটি শিয়া মসজিদে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ভিডিও ফুটেজে মসজিদের ভেতরে ধ্বংসস্তুপে লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
হামলার দায় তাৎক্ষণিকভাবে কেউ স্বীকার করেনি। সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহে রাজধানী কাবুলের ঈদগাহ মসজিদের প্রবেশপথের কাছে হামলাসহ কয়েকটি বোমা হামলার ঘটনার পর নতুন করে এই রক্তক্ষয়ী হামলা হলো।
গতকাল শুক্রবারের হামলার দায় কেউ স্বীকার না করলেও তালেবানের ঘোর বিরোধী জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ ধরণের সাম্প্রতিক কয়েকটি বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে।
আফগানিস্তানে একের পর এক এমন বোমা হামলা দেশটির নতুন তালেবান শাসকদের সামনে নিরাপত্তা রক্ষার চ্যালেঞ্জই সামনে নিয়ে আসছে। কট্টর ইসলামপন্থি গোষ্ঠী তালেবান গত অগাস্টে আফগানিস্তানের শাসনক্ষমতা দখল করেছে। তারপর থেকে আইএস দমনে কাবুলে এই জঙ্গি গোষ্ঠীটির আস্তানায় অভিযান চালিয়ে আসছে তালেবান।
গতকাল শুক্রবারের হামলা সম্পর্কে টুইটারে তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, ‘আজ বিকালে শিয়াদের একটি মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটেছে- এতে অনেকেই মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন’।
তথ্য মন্ত্রণালয় পরিচালিত বখতার বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ৪৬ জন নিহত এবং ১৪৩ জন আহত হয়েছে।
বিবিসি হামলার ঘটনায় অন্তত ৫০ জন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে। স্থানীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে টোলো নিউজ জানায়, হামলার সময় মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে সমবেত হয়েছিল ৩শ’র বেশি মানুষ।
হামলার দায় কোনও গোষ্ঠী স্বীকার না করলেও হামলার ধরন দেখে তা আইএস এর আফগান শাখা আইএ-খোরাসানের (আইএস-কে) কাজ বলেই আঁচ করা যাচ্ছে। আগস্টে কাবুলের বিমানবন্দরে বড় ধরণের আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল এ গোষ্ঠীটিই।
আইএস-কে অতীতে বারবারই শিয়া সংখ্যালঘুদের নিশানা করে হামলা চালিয়েছে। আত্মঘাতী হামলা হয়েছে মসজিদে, স্পোর্টস ক্লাবে এবং স্কুলেও। সম্প্রতি কয়েকসপ্তাহে আইএস তালেবানের বিরুদ্ধেও হামলা জোরদার করেছে।
কাবুলে তালেবান নেতাদের একটি শেষকৃত্যানুষ্ঠানে আইএস হামলা চালিয়েছে কিছুদিন আগেই। পূর্বাঞ্চলীয় নানগহর এবং কুনার প্রদেশেও বেশকিছু ছোটখাট হামলা হয়েছে। এই প্রদেশগুলো আগে আইএস এর ঘাঁটি ছিল। খবর বিডিনিউজের