আপত্তি করলেই মারধর একসঙ্গে ৭-৮ জনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক

45

খেলোয়াড়ি জীবনে তিনি ছিলেন স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষ। মাঠের ভেতরে হোক বা বাইরে, দল যখনই বিপদে, তখন তিনিই ছিলেন দলের সবচেয়ে বড় ভরসার নাম। সেই রায়ান গিগসই এখন পড়ে গেছেন বড় বিপদে। সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকাকে রীতিমতো শূলে চড়িয়েছেন তার সাবেক বান্ধবী, জানিয়েছেন একসঙ্গে ৭-৮ জনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতেন তিনি, আপত্তি করলেই করতেন মারধর। এই অভিযোগটা আদালতের কাছে করেছেন রায়ান গিগসের সাবেক বান্ধবী। এখানেই শেষ নয়, সেখানে তার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তা ও শারীরিক নির্যাতনের মামলা করেছেন, যেখানে উল্লেখ আছে তার বোন এমাকে মারধরের গুরুতর অভিযোগও। ২০২০ সালের নভেম্বরে এই আদালতে অভিযোগটি করেন তিনি। এরপর তার বাড়িতে তদন্তের জন্য হাজির হয় পুলিশ। তখন সাবেক ইউনাইটেড মিডফিল্ডার ছিলেন ওয়েলস দলের কোচ হিসেবে। এই অভিযোগের পর ওয়েলস দলের কোচিংয়ের দায়িত্ব হারান তিনি। ঘটনা সেখানেই শেষ নয়, এবার আরও বড় বিপদে পড়ে গেছেন তিনি।
আদালতে গিগসের অবাধ ও উদ্দাম যৌন জীবন, সেইসঙ্গে তার ওপর মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচারের কথা ফাঁস করেছেন গ্রেভিল। শুধু অভিযোগ দিয়েই তিনি ক্ষান্ত হননি, একাধিক প্রমাণও যোগাড় করে আদালতকে দিয়েছেন গ্রেভিল। তিনি আদালতকে জানান, তার সঙ্গে ক্রীতদাসের মতো আচরণ করতেন সাবেক ম্যান ইউনাইটেড তারকা। কেট গ্রেভিলের এমন সব অভিযোগই অবশ্য অস্বীকার করেছেন সাবেক ইউনাইটেড তারকা।