আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হ্যান্ডবলে পক্ষপাতিত্ব!

10

চবি প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আয়োজনে সদ্য সমাপ্ত আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হ্যান্ডবল টুর্নামেন্টে রেফারির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। টুর্নামেন্টে রানার আপ হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) টিমের ব্যবস্থাপক আনিসুল আলম ও কোচ মোহাম্মদ শোয়াইব এর অভিযোগ, পক্ষপাতিত্ব করে চবি টিমকে হারিয়ে দেওয়া হযেছে।
এ বিষয়ে চবি ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের পরিচালক ও হ্যান্ডবল টিমের ব্যবস্থাপক অধ্যাপক আনিসুল আলম বলেন, শুরু থেকেই টুর্ণামেন্টে আমরা রেফারিদের পক্ষপাতিত্ব লক্ষ্য করেছি। আমাদের টিম অনেক ভাল ছিল। রেফারিদের পক্ষপাতিত্বের শিকার না হলে আমরা অন্তত দশ গোলে এগিয়ে থাকতাম।
চবির হ্যান্ডবল টিমের কোচ ও ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শোয়াইব বলেন, আমরা রেফারিদের পক্ষপাতমূলক আচরণের বিষয়ে রেফারিদের জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের কথায় কর্ণপাত করেননি। উল্টো তারা বলেন যে, তাদের নাকি কিছুই করার নেই।
তিনি বলেন, শুধু পক্ষপাতমূলক আচরণেই শেষ নয়। ইবি শিক্ষার্থীরা যারা খেলা দেখতে মাঠে গিয়েছিলেন তারা আদেরকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করেছে। এছাড়া আমাদের ছাত্রীদের যে টিম ছিল তারা যখন মাঠের বাইরে থেকে ছাত্রদের টিমকে সাপোর্ট দিচ্ছিল তখন তাদেরকেও মাঠে উপস্থিত শিক্ষার্থী দর্শকেরা বিভিন্ন কটু কথা বলেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ফাইনালের আগের দিন অনুষ্ঠিত মিটিংয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শুরু থেকেই চলে আসা পক্ষপাতিত্বের বিষয়টি জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। সামনে আবার একই ভেন্যুতে ভলিবল টুর্ণামেন্ট হবে। আমাদের আবার ওখানে যেতে হবে। তাই আমরা হেনস্তা হওয়ার আশংকায় কথা বাড়াইনি। কোনোরকম খেলে চলে এসেছি।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করছেন আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হ্যান্ডবল টুর্নামেন্টের পরিচালক ও ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর শাহ আলম কচি। তিনি বলেন, আমার চোখে এ ধরণের কিছু পড়েনি। সম্পূর্ণ ফেয়ার খেলা হয়েছে।
হেনস্তার বিষয়ে তিনি বলেন, আসলে খেলার মাঠে একটু চেঁচামেচি হবে, এটা স্বাভাবিক। তবে আনিস সাহেব যখন আমাকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন তখন সাথে সাথেই আমি লোক পাঠিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছিলাম।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হ্যান্ডবল টুর্ণামেন্ট সমাপ্ত হয়েছে। এদিন ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হয় স্বাগতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। ২৯-২২ গোলে পরাজিত হয়ে রানার আপ হয় চবি ছাত্রদের হ্যান্ডবল টিম। এছাড়াও ছাত্রীদের হ্যান্ডবল টিম টুর্নামেন্টে ৩য় স্থান অধিকার করে।