আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনে সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটি দাবি

15

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিএসএস) আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনে একটি সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটি করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ‘হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০২০’ এর ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই দাবি তোলেন। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী দীপুমনি ‘হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০২০’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন। বিলের ওপর আসা জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি শেষে বিল পাস হয়।
বিলটি যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবের আলোচনায় শামীম হায়দার পাটোয়ারী প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘যারা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করবেন, তারা কি আসলেই কৃষিবিদ হবেন? বিসিএসে প্রশাসন, পুলিশ ক্যাডারে চাকরি না হলে হয়তো কৃষিবিদ হবেন। মেডিক্যাল, বুয়েট, আইবিএ থেকে পাস করে শিক্ষার্থীরা পুলিশ, প্রশাসনে যাচ্ছেন। এর কারণ আন্তঃক্যাডার বৈষম্য অনেক বেড়ে গেছে।’ এই বৈষম্য নিরসনে তিনি একটি সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটি করার দাবি জানান।
বিলের আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে সংসদ সদস্যরা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না, এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার উদ্যোগ নিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি উচ্চ আদালত এ সংক্রান্ত আদেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ জুলাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজগুলোতে সংসদ সদস্যের পরিবর্তে সরকারি কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে, ‘হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০২০’ পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন একাধিক সংসদ সদস্য। জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অন্তত ৬০ দিন অপেক্ষা করতে পারতো।’ জাপার আরেক এমপি পীর ফজলুর রহমান বলেন, ‘সংসদ সদস্যদের অবস্থানকে অসম্মানজনক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’ পরে শিক্ষামন্ত্রী এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অবস্থানের কথা জানান।