আনোয়ারায় সিরিজ চুরি ধরা পড়ল ২ চোর

19

আনোয়ারা প্রতিনিধি

আনোয়ারা উপজেলা সদরের থানার আশেপাশে একের পর এক চুরির ঘটনায় জড়িত সিন্ডিকেটের দুই সদস্যকে হাতেনাতে ধরল পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে থানার উত্তর পাশে একটি ফলের দোকানের গ্রিলের তালা কেটে চুরি করার সময় আলমগীর ফরিদ (২৬) ও তৌহিদুল ইসলাম মোহন (২৫) নামের এই দুই চোরকে আটক করেন আনোয়ারা থানার এএসআই মো. এনায়েত হোসেন ও তার টিমের সদস্যরা। এ সময় আটককৃতদের কাছ থেকে চুরির কাজে ব্যবহৃত কাটার উদ্ধার করা হয়। একই রাতে তারা পাশের বাবুল সওদাগরের পানের দোকানেও চুরি করে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, আটক আলমগীর ফরিদ লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মো. সানাউল্লাহর পুত্র। সানাউল্লাহ আনোয়ারা উপজেলার পরিসংখ্যান অফিসের সাবেক কর্মচারী। বর্তমানে সে স›দ্বীপ উপজেলায় কর্মরত আছে। গত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে সানাউল্লাহ পরিবার নিয়ে আনোয়ারায় থাকে। সানাউল্লার পুত্র আলমগীর ফরিদ সরকারি কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় নানা অপরাধ করে থাকে। আগে কয়েকবার ধরা পড়ে (ইউএনও’র) নাম ভাঙ্গিয়ে পার পেয়ে গেছে বলে জানা যায়। সানাউল্লাহর পরিবার ফরিদের এসব অপকর্মে নিরব ভূমিকা পালন করে। ফলে সে অপরাধচক্রে যুক্ত হয়ে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠে।
অপরদিকে তৌহিদুল ইসলাম মোহন পটিয়া উপজেলার জিরি গ্রামের বাসিন্দা মো.আলীর পুত্র। গত বিশ বছর ধরে তারা আনোয়ারা সদর ইউনিয়নে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
আটককৃতরা কয়েক বছরে আনোয়ারা সদর ইউনিয়নে অন্তত অর্ধশত চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী।
আনোয়ারা থানার এএসআই মো. এনায়েত হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩ টায় আনোয়ারা থানার সামনে ডিউটি করার সময়ে হেলাল সওদাগরের ফলের দোকানের ভেতর দুই ব্যক্তিকে দেখে সন্দেহ হলে আমি তাদের চ্যালেঞ্জ করি। পরে আটক করি।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার জানান, পুলিশ মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে দুই চোরকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে তালা কাটার যন্ত্র উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।