আনন্দধারা বহিছে ভুবনে

25

 

প্রখর রোদে যখন কোয়া ফেটে উড়তে থাকে তুলোর দানা, চুপিসারে তখন প্রকৃতিতে লেপ্টে যায় শরতের গন্ধ। বাতাসে ঝিঁঝিঁর গন্ধ। একদল সাদা মেঘ খেলছে আপন মনে আমারই আঙিনায় । চিকন পাড়ের শাড়ির আঁচল মেলে দিতে দিতে মিলিয়ে গেল বহুদূরে মেঘ উৎসবে।গাঁয়ের সীমানা ছেড়ে দূরে বহুদূরে মেঘেরা নেমে এলো কাশের বনে। ঘন বাতাস আর মুহূর্তে আকাশ ভাঙা বৃষ্টি। প্রাণতরঙ্গ কখন যে ডুবে গেছে এই জলতরঙ্গ নিঃশ্বাসে ! সোদা মাটি আর বুনোফুলের গন্ধ যখন জলের ভারে মিলেছে মন ভরে, প্রাণভরে তার গন্ধে ডুবলাম। ‘আনন্দধারা বহিছে ভুবনে’।
পাহাড়ের চেয়ে সমুদ্রকেই বেশি ভালোবাসতাম। একদিন মন চাইলো মেঘের স্পর্শ পেতে। মেঘ তো অভিমানী। তার স্পর্শ পেতে হলে যেতে হবে সে দূর পাহাড়ের নীলিমার কাছে।পাহাড়ের ভাষা যে ভীষণ দুর্বোধ্য! যারা ছুঁতে চেয়েছিল আকাশের উপর আকাশকে তারা ঠিকই খুঁজে নিয়েছে মেঘদূতকে। ওখানেই মেঘের প্রাথর্না। কাঠের কার্নিশ ছুঁয়ে যাচ্ছে বৃষ্টির ধারা। কখনও চারপাশ বিমোহিত করে ছুটে যায় দূরে, বহুদূরে, অন্যকোথাও। এ যেন অন্যরকম অনুভূতি।
‘একদিন খুঁজেছিনু যারে
বকের পাখার ভিড়ে বাদলের গোধূলি-আঁধারে,
মালতীলতার বনে,- কদমের তলে, নিঝুম ঘুমের ঘাটে, কেয়াফুল,- শেফালীর দলে!
কঙ্কাবতী ভেসে যায় ওখানে।