আধ্যাত্মিক সাধক সৈয়দ শাহ সুফি ছৈয়দ হোছাইনুজ্জামান (র.)

40

সৈয়দ মুহাম্মদ ছরওয়ার উদ্দিন

পরিপূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান ইসলামের সুশীতল পতাকা তলে অসহায় দিকভ্রান্ত পাক পঙ্কিলতায় ডুবে থাকা গণ- মানুষের মুক্তির লক্ষে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের মাহবুব আউলিয়া কেরামরা যুগে যুগে এ ধরা ধর্মের এ বিস্তীর্ণ এলাকায় সুজলা সুফলা সবুজ ভরা বার আউলিয়া পদধুলীতে ধন্য এ মদিনাতুল আউলিয়া চট্টগ্রামের অভিমুখে তশরিফ আনেন, পথ-ভ্রষ্ঠ দিকভ্রান্ত মানব-জাতির ক্রান্তির লক্ষে হেদায়তের পথ খোলাফায়ে রাশেদীনের পর পৃথিবীর বুকে অসংখ্য- অগনিত পীর মাশায়েখ যুগশ্রেষ্ঠ আউলিয়ার আগমন ঘটে, এসব মহামণিষী পথভ্রষ্ঠ মানবজাতির নিকট হিদায়তের জন্য পথ তথা-সিরাতুল মোস্তাকিমের পথ দেখান, এদের অনেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে বসতি স্থাপন করেন।
তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের বদৌলতে গোটা পৃথিবীর জমিনে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হয়েছে, আধ্যাত্বিক সাধক উজ্জ্বল নক্ষত্র অলিয়ে কামেল সৈয়দ শাহ সুফি হোছাইনুজ্জামান (র.) তাঁদের মধ্যে একজন, তিনি উনিশ শতকের দ্বিতীয় দশ শতকে হাটহাজীর অন্তর্গত লালিয়ার হাটস্থ বড়-মীর পাড়ায় সৈয়দ বংশের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন নিম্নে তার বিস্ময়কর সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরার প্রয়াস পাব ।
বংশ পরিচয় : তার শ্রদ্ধেয় পিতা সৈয়দ মাওলানা বাছের শাহ (র.) তিনি প্রসিদ্ধ হাফেজ কুরআন ছিলেন শুধু তাই নয়, তিনি বড় আলেম ও একজন যুগশ্রেষ্ঠ বুজুর্গ ছিলেন, তাদের পূর্ববর্তী পুরুষগণ দ্বীনী খেদমত আঞ্জামদেন, তাঁদের বংশধরগণ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোয়াল্লিম হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। বিভিন্ন মাদ্রাসায় ও এতদ অঞ্চলের মসজিদের খেতাবতের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। মানব জাতিকে শিক্ষার আলোতে উদ্ভাসিত করেন। হিদায়তের অমিয় বাণী কে হাজারো মানুষের দোরগোড়ায় পৌছিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁদের পূর্বপুরুষগণ সুদূর আরব দেশ হতে এদেশে দ্বীন ইসলাম প্রচার-প্রসারের জন্য মোগল শাসনামলে আগমন করেন। এ পূর্ণ ভূমিতে বহু অসংখ্য মহা-মণিষী ধর্ম প্রচারকের আগমন ঘটে।
এ চট্টগ্রামের জমিতে অসংখ্য আল্লাহর মাহবুব ও পীর-বুজুর্গ-দরবেশ আগমন ও জন্মগ্রহণ করেন। তাঁদের আগমনের ফলে এ পূর্ণভূমি ও হিদায়তের প্রাণ কেন্দ্র হিসেবে প্রসিদ্ধ লাভ করেন। ঐতিহাসিকদের মতে, খৃষ্টিয় নবম শতকে নাসিরাবাদ পাহাড়ে শায়িত আছেন সুদুর ইরান হতে হিজরত করে আসা পরবর্তীতে সুলতানুল আরেফিন হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (র.), তিনি ধর্ম প্রচারক হিসেবে এদেশে তশরিফ আনেন, পরবর্তীতে তিনি ইরানে চলে যান। সবুজ শ্যামল বাংলাদেশে কুতুবুল আউলিয়া হযরত শাহ জালাল ইয়ামেনী (র.), বগুড়ায় সুলতান মাহী সওয়ার (র.), সুদুর ঢাকার রাজধানীতে হযরত শরফুদ্দিন চিশতি (র.) এছাড়া অসংখ্য আউলিয়া ও ধর্ম প্রচারক বিভিন্ন অঞ্চলে আগমন করেন। এ মনিষীদের পরশে হাজারো দিকভ্রান্ত মানবজাতি সঠিক পথ খুজে পেতে সক্ষম ও ধন্য হয়েছে।
চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য : গুন গরিমা ও সৎ-স্বভাবের দিক দিয়ে তিনি যুগ বিরল ও দুর্লভ ব্যক্তিত্ব, চাল-চলনে কথাবার্তা আচার-আচরন, সুমধুর ব্যবহার, উদারতা, দানশীলতা, দৃঢ়তা, সত্যবাদিতা, ন্যায়পরায়নতা ও আথিয়তার ক্ষেত্রে তিনি নবী চরিত্রের এক বাস্তব প্রতিচ্ছবি। অতিব পরহেজগার খোদাভীরু ও স্বচ্ছ হৃদয়ের অধিকারি। খোদাভীরু ও নবী প্রেমে বিভোর থাকতেন তিনি, সারাক্ষণ, তিনি মানবজাতিকে অকাতরে দান করতেন। তিনি শাখাওয়াতে দরজাকে বুলন্দ করেছেন, রাসুলে খোদার সন্তুষ্টি লাভই ছিল তার একান্ত কামনা। তার অতিব সুন্দর আচরণ তৎকালিন বিধর্মীরাও তার একান্ত সানিধ্যে এসে উপকৃত হন। তার অনুপম সুন্দর আচরন ও দানশীলতা উদারতা নবীর প্রেমে উদ্ভাসিত, সৎ-চরিত্রের খ্যাতি চতুরদিক ছড়িয়ে পড়ে। তিনি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান এ মহামনীষীর জন্মে এলাকা ধন্য হয়েছে। তার কৃতিত্বের অবদান চির অ¤øান। তার আচরণে অত্র অঞ্চলের সর্বস্তরের নর-নারীগণ তাকে অতিব শ্রদ্ধাভরে স্মরন করে আসছে। দীর্ঘ দুই শতক বৎসর ধরে এ পর্যন্ত, যার একান্ত পরশে এসে দিকভ্রান্ত হাজার হাজার মানুষ মুক্তির সন্ধান পেয়ে ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আসবে সুযোগ হয়েছে।
শিক্ষা ব্যবস্থা : তিনি প্রাথমিক শিক্ষা নিজ গ্রামে শেষ করার পর চট্টগ্রামের নিউস্কিম মাদ্রাসায় অধ্যয়ন করেন পরে তিনি উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য কলিকাতার বড় আলিয়া মাদ্রাসায় অধ্যয়নকালে তার সমসাময়িক চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান হযরত শাহ সুফি আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী ও ছফি উদ্দিন শাহ (র.) একসাথে কলিকাতার বড় আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে কুরআন, হাদিস, ফেকাহ, তাফসির, আরবি, বালাগাড়, মানতিক, আকাইদসহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় ব্যুপত্তি অর্জন করেন। তার অসাধারণ মেধা শক্তির বদৌলতে তিনি অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে জাহেরী তথা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা জীবন শেষ করেন। শিক্ষা সমাপ্ত করে তিনি ক্রান্ত হন নি, নিজের উৎকর্ষ সাধনের জন্য তিনি সত্যিকারের একজন মুরশিদের সন্ধানে বের হয়ে পড়েন। তৎকালিন সময়ে বড়পীর জিলানী হযরত মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের জিলানী (র.) বংশধর হযরত শেখ ছৈয়দ আবু শামা ছালেহ লাহরী (র.) দরবারের সন্ধান পেলে মুহুর্তের মধ্যে ছুটে চলে যান। তিনি নিয়মিত মুরশিদে কামেলের দরবারে আসতেন।
তিনি হযরত আবু ছালেহ লাহরী (র.) হাতে বায়াত গ্রহন করে ধন্য হন। মুরশীদদের দেয়া ছবক ও গুরুত্বপূর্ণ নছিয়ত সমুহ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পালন করতেন। তিনি খোদাভীরু ও নবী প্রেমে ব্যকুল, ও তার কঠিন সাধনা ও খ্যতি দেখে তাঁর মুরশীদ খুশি হয়ে তাঁকে খেলাফত দান করে ইনসানে কামেলের শীর্ষস্থানে আসীম করেন এক সময়ে পীর মুরশীদের নির্দেশে নিজ মাতৃভূমি চট্টগ্রামে আগমন করেন। তাঁর এ খ্যাতি ও কৃতিত্ব চর্তুদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি সকলের কাছে বুড়া মৌলভী হিসেবে অধিক পরিচিতি লাভ করেন, এবং বুড়া মৌলভী হিসেবে প্রসিদ্ধ লাভ করেন।
হুযুরে কারামত সমূহ : আল্লাহ তায়ালা ও রাসুল (স.) সন্তুষ্ঠি অর্জনেই ছিল তার একান্ত কামনা। তার হৃদ্যাতাপুন্ন আচরন মিষ্ঠি ভাষা কথাবার্তা চাল-চলনে বিধর্মীরা আকৃষ্ঠ হয়ে তার সান্নিধ্যে এসে উপকৃত হন। এ মহামনিষীর নাম করনে লালিয়া হাটস্থ দুটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। জন্মধ্যে লালিয়া হাট হোছাইনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা অপরটা হামিদিয়া হোসাইনিয়া রাজ্জাকিয়া বহুমুখী দাখিল মাদ্রাসা। তাছাড়া এ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের বংশদররা দ্বীন ইসলাম প্রচার করে বাংলার জমিনকে তৌহিদ ও রেসালতের চেতনায় উর্বর করে তুলেন, তাঁর বংশের পরস্পরায় লোক শিক্ষা ও ভাষা শিক্ষায় নিজ গৃহে সংলগ্ন কাচারি ঘরে পঠন পাঠদানের ব্যবস্থা অব্যহত রেখেছিলেন, এরই ফলে গড়ে উঠে কিতাব কুরআনের পাÐুলিপি তৈরীর একমাত্র কেন্দ্রস্থল। নানা এলাকায় তৎকালীন যুগ শ্রেষ্ঠ জ্ঞান পিপাসুরা তার পরষে এসে ধন্য হন।
হযরত বুড়া মৌলভী সাহেব (র.) এর বাড়ির রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বে ধারে মাঝে মধ্যে বসে থাকতেন, একদিন শহর থেকে আসা এক ব্যক্তি দুইটি ডাব নিয়ে মাইজভান্ডার বড় মাওলানা সাহেব কে দেখতে যাচ্ছেন, যাওয়ার পথে বুড়া মৌলভী সাহেবের সাথে দেখা হলে তিনি বললেন, আমাকে একটি ডাব দাও, আমি বড় মাওলানা সাহেবের জন্য নিচ্ছি, একথা বলে পথিক চলে গেলেন এবং যথা সময়ে মাইজভান্ডারে পৌছেন। মাইজভান্ডারে হযরতের আদেশে একটা ডাব কাটল, দেখলো যে ডাবে পানি নেই, তখন হযরত আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (র.) এই পথিককে জিজ্ঞাসা করলেন, পথে কি কেউ ডাব চেয়েছিল? জি হুজুর চিকনদন্ডী মীরা পাড়ার রাস্তার পার্শ্বে জৈনিক এক ফকির দরবেশ ডাব চেয়েছিল, হ্যা তাইতো ডাবের এই করুন অবস্থা। সাবধান তাকে ফাঁকি দিতে চেষ্টা করিওনা, তাকে খাওয়ানোর পর যদি খুব ইচ্ছা হয় আমার জন্য নিয়ে আসিও। তিনি সব সময় রাসূলের সুন্নাত সমূহ নিজ চরিত্রে ধারন করতেন, রাসুলে ভালবাসা অন্তরে ধারন করে জীবন অতিবাহিত করেন। তাঁর পরষে পথভ্রষ্ঠ, অবহেলিত, হাজারো মানুষ মুক্তি খুজে পেতে সক্ষম হয়েছে তার কর্মময় জীবন রাসুলের সুন্নতের পরিপুরক হিসেবে এ উজ্জ্বল নক্ষত্র পৃথিবীতে বিরল। তাছাড়া তিনি শাখাওয়াতের দরজাকে বুলন্দ করেছেন এবং তিনি সর্বদাই আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন থাকতেন, মায়া মমতা তাকে বিন্দমাত্র স্পর্শ করতে পারেনি।
আল্লাহর প্রতি অবিচল বিশ্বাস, আল্লার নৈকট্য লাভে তিনি ধন্য রাসুলের প্রেমে সিক্ত ছিলেন। তিনি সৃষ্টের পালন দুষ্টের দমন করেছেন। আল্লাহর অলিগন কোন অলৌকিক কারামত প্রদর্শন করা অপছন্দ করতেন। তাঁরা মানুষের মাঝে নিজেকে লুকিয়ে রাখতেন। তার পরও তাদের ইচ্ছার বাহিরে অনেক কারামত প্রদর্শিত হয়ে যাই। প্রকৃত পক্ষে অলী ঐ ব্যক্তির নাম যার কাছে আসিলে আল্লাহ ও রাসুলের কথা স্বরন হয়, আর যেই অলির কাছে রাসুলের সুন্নাত পাওয়া যায় তার প্রতিটি কাজে রাসুলের সুন্নতের পরিপুরক সেই ব্যক্তি মকবুল বান্দা তারাই একমাত্র অলি, আল্লাহ যাদের কে আল্লার বন্ধু বলে নির্বাচন করেছেন আল্লাহর মকবুল বান্দারা খোদা প্রদত্ত ক্ষমতা মহিয়ান, তিনি মানবের কাজ হতে গোপন রাখতেন। নিঃ বর্জুর্গী প্রকাশ করা তিনি অপছন্দ করতেন। তার অসাধারণ ব্যক্তিত্ব সব মহলের দৃষ্টি কেড়ে নিয়েছেন নিসন্দেহে, মানবজাতির প্রতি তার গভীর ভালবাসা ও মমতা ছিল গভীর। ধর্ম প্রচারের তাঁদের নিরলস সংগ্রাম এখুনি থামেনী, আল্লাহ তায়ালা সয়ং অলির পরিচয় বিশ্ববাসীর কাছে তোলে ধরেছেন।
আরবি উচ্চারণ: ইন আউলিয়াহু ইল্লাল মোত্তাকিন- নবম পারা (সুরা ইউনুচ, আয়াত ৩৪) অর্থাৎ নিশ্চয় আউলিয়া হচ্ছে যাঁরা মুত্তাকিন, পরহেজগার, যারা গুনা হতে পবিত্র এবং শরিয়তের গহিত কর্ম হতে নিজেকে বিরত রাখেন। আল্লামা রুমি মসনবি শরিফে কি চমৎকার উদাহরণ দিয়েছেন।
উচ্চারন : আউলিয়ারা আস্ত কুদরত আযইলাহ তেরে জুস্তা বাদ গরদা নজ্জাবীহ। অর্থাৎ অলিগন আল্লাহর পক্ষে থেকে এমন ক্ষমতা লাভ করেছেন, যার ফলে তারা ধনুক থেকে নিক্ষিত তীর ফিরে আনতে পারেন, তাঁরা খোদা প্রেমে বিভোর, সদা সর্বদাই তারা আল্লাহর প্রেমের সাগরে ডুবে থাকে সারাক্ষন, তাঁরা আল্লাহর দেয়া শক্তিতে মহিয়ান। তাই আউলিয়াদের প্রসঙ্গে আরেফিনদের চন্দে বেশ কদর পেয়েছে। চশমে রওশন কুনযে হাকে আউলিয়া, তাবে বীনে যা এবতেদাতা ইনতিহা। অর্থাৎ হে আল্লাহর বান্দা তুমি আউলিয়া কেরামের পদধুলি দ্বারা চক্ষু উজ্জল কর, তবে (সৃষ্টি জগতের) শুরু থেকে পৃথিবীরশেষ প্রান্ত পর্যন্ত দেখতে পাবে।
প্রাথমিক যুগে সাহাবায়ে কেরাম থেকে শুরু করে তাবেয়িন তাবে তাবেয়িনেরা দ্বীনী ইসলাম প্রচার প্রসারে দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছিলেন। আল্লাহ মহান অলিরাও তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরন করেছেন, তাঁদের অনেকই স্বীয় মাতৃভূমি ত্যাগ করে অজনা অচেনা জনপদের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় মনুষীগণ ভ্রমন করেন। শুধুমাত্র মানুষের মাঝে আল্লাহ ও রাসুলের অসীম বানিকে পৌছিয়ে দেয়ার জন্য তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের বদৌলতে বিশ্বব্যাপি অগনিত মুসলমানগণ ইসলামের শুশীতল চায়ায় এসে প্রকৃত মুসলিম হওয়ার সঠিক দিক নির্শেনার সন্ধান পেয়ে ধন্য হয়েছে, ফলে অসংখ্য পথভ্রষ্ট মানবজাতি ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছে নিঃসন্ধেহে। একথা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই, আজ বিশ্ব ব্যাপি ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্টিত হয়েছে, আওলিয়া কেরামের আগমন ও তাঁদের নিরলশ কষ্টের মাধ্যমে ইসলামের এ মহোৎসব ইসলামের জয়ের পতাকা উড্ডীয়ন হয়েছে, নারায়ে তাকবীর ও নারায়ে রেসালতের ধ্বনি বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়েছে।
ইন্তিকাল : কালজয়ী মহাপুরুষ উজ্জল নক্ষত্র আধ্যাতিক সাধক হযরত শাহ ছুপি ছৈয়দ হোছাইনুজ্জামান (র.) ১৮৯৮ সনে মাওলায়ে হাকিকির সান্নিধ্যে লাভের উদ্দেশ্যে এ ক্ষনস্থায়ী পৃথিবীর মায়া মমতা ত্যাগ করে জান্নাতবাসী হন, তার পরিত্র দেহ মোবারক লালিয়ারহাট পশ্চিম পার্শ্বেস্থ প্রাচীন কবরে তাকে সমাহিত করা হয়। সেখানে তিনি অন্তিম সজ্জায় চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। প্রতিবছর মাঘ মাসের ১(এক) তারিখে ওরশ শরীফ অনুষ্ঠিত হয়। এবারে ১২৫ তম ওরশ শরীফ উদযাপিত হচ্ছে আজ।
সর্বোপরি আল্লার দরবারে ফরিয়াদ জানাই আমাদের সবাইকে ঈমান ও আকিদ্বা রক্ষায় এই দুর্যোগপূর্ন নাজুক পরিস্থিতি এ মহামনীষীর আদর্শ ও নীতি অনুসরন অনুকরন করে নিজেদের বাস্তব জীবনে প্রতিফলন করার সুযোগ দান করুন। এ মহান অলীর জীবন আদর্শ থেকে গণ মানুষের জীবন যাত্রাপথে উজ্জল আলোকবর্তিকা স্বরুপ পরিশেষে তাঁর রফই দরাজাত কামনা করছি।
সুম্মা আমিন
লেখক : সাবেক শিক্ষার্থী জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া, চট্টগ্রাম