আধ্যাত্মিক শিক্ষার মাধ্যমে অশুভশক্তির বিনাশ সম্ভব

107

বর্তমান সরকার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গিকারবদ্ধ এবং বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাসীদের মাঝে সংলাপকে উৎসাহিত করে। বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতিকে প্রাধান্য দেয় এবং একে অপরের সঙ্গে সুসম্পর্ক ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখছে। প্রতিটি ধর্মীয় উৎসবে একে অপর আনন্দ ভাগাভাগি করে। আধ্যাত্মিক শিক্ষার মাধ্যমেই সমাজ থেকে অশুভশক্তির বিনাশ সম্ভব। তিনি বলেন, এই উপমহাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করা হয় তথাপি ব্যক্তিগত পর্যায়ে জীবনধারাকে নিয়ন্ত্রন করতে তা যথেষ্ঠ নয়। এজন্য প্রয়োজন এই ধরণের সেমিনার সহ জনশিক্ষামূলক কার্যক্রম। ইসকন প্রতিষ্ঠাতা আচার্য শ্রীল আভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ ১৯৬৫ সালে আমেরিকায় গমন করে সেখানকার উচ্ছৃঙ্খল যুবসমাজকে ধর্মীয় এবং নৈতিক শিক্ষা প্রদান করে তাদের নবজীবন দান করেন। আন্তজার্তিক কৃষ্ণভাবনামৃতে যোগদান করার মাধ্যমে অনেক যুবকেরা এসব বাজে অভ্যাস থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারছে। এছাড়াও বর্তমানে শিশু কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ প্রভৃতি শ্রেণীর মানুষের অভ্যাস এবং নৈতিকতা গঠনের শিক্ষা পদ্ধতি ইসকনে বর্তমান আছে যা সাধারণ মানুষকে রক্ষা করছে। বাংলাদেশ সরকার আসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে প্রত্যেকের নিজ নিজ ধর্ম পালনে উৎসাহ প্রদান করে। আমরা সর্বদাই যথার্থ নিরাপত্তা বিধানের প্রচেষ্টা করছি যাতে সকলেই সাবলীলভাবে ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। শিক্ষা মন্ত্রনালয় তথা সমগ্র বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এই ধরণের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা কার্যক্রমের প্রসারে সর্বদাই সর্বাত্মক সহযোগীতা অতীতে ছিল, বর্তমানে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। গত ১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন মোটেল সৈকতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইস্কন) চট্টগ্রাম আয়োজিত বিশাল গণসংবর্ধনা ও ইস্কন প্রচার বিভাগ ৩ দিনব্যাপী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি উপরোক্ত মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে মহান আশির্বাদক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসকনের হেডকোয়ার্টার ভারতের মায়াপুর হতে আগত ইস্কনের অন্যতম সন্যাসী ও জিবিসি শ্রীমৎ ভক্তিপুরুষোত্তম স্বামী মহারাজ, কলকাতা ইস্কন মন্দিরের পরিচালক অনঙ্গমোহন দাস ব্রহ্মচারী, মায়াপুর ভক্তিবেদান্ত গীতা একাডেমির পরিচালক লক্ষী গৌবিন্দ দাস ব্রহ্মচারী, বাংলাদেশ ইস্কনের সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জগৎগুরু গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মচারী, ইস্কন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সম্পাদক শ্রীপাদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী, রাধাগৌবিন্দ দাস ব্রহ্মচারী, রসপ্রিয় গৌর দাস, নিতাই গৌরাঙ্গ দাস। ইস্কন নন্দনকানন রাধামাধব মন্দির ও গৌর-নিতাই আশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রীপাদ পন্ডিত গদাধর দাস ব্রহ্মচারী’র সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তারন নিত্যানন্দ দাস, মুকুন্দভক্তি দাস, অপূর্ব মনোহর দাস, শেষরুপ দাস, সুবল সখা প্রেম দাস প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি