আদালতে বিচারকের সামনে ছুরিকাঘাতে আসামিকে হত্যা

27

কুমিল্লা আদালতে বিচারকের খাস কামরায় ঢুকে একটি হত্যা মামলার আসামিকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে অপর আসামি। গতকাল সোমবার বেলা ১১ টার দিকে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক বেগম ফাতেমা ফেরদৌসের আদালতে এ ঘটনা ঘটে। মামলার আইনজীবী অ্যাসিস্টেন্ট পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) নূরুল ইসলাম এ কথা জানান।
নিহত ফারুক কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি গ্রামের অহিদ উল্লাহর ছেলে। ঘাতক হাসান কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার ভোজপাড়া গ্রামের শহিদ উল্লাহর ছেলে।
আইনজীবী (এপিপি) নূরুল ইসলাম জানান, ২০১৩ সালে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের কান্দি গ্রামে হাজী আবদুল করিমকে হত্যার ঘটনা ঘটে। সোমবার ওই মামলার জামিনে থাকা আসামিদের হাজিরার দিন ধার্য ছিল। বেলা ১১ টার দিকে এ মামলার আসামিরা আদালতে প্রবেশের সময় ৪নং আসামি ফারুককে ছুরি নিয়ে তাড়া করে ৮নং আসামি হাসান। এ সময় জীবন বাঁচাতে ফারুক বিচারকের খাস কামরায় ঢুকে যায়। হাসান সেখানে ঢুকে টেবিলের ওপর ফেলে ফারুককে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ফারুককে ওই কক্ষের ফ্লোরে ফেলেও ছুরিকাঘাত করা হয়। এ সময় আদালতে অন্য একটি মামলার হাজিরা দিতে আসা কুমিল্লার বাঙ্গরা থানার এএসআই ফিরোজ এগিয়ে গিয়ে হাসানকে আটক করে। এ সময় আদালতকক্ষে বিচারক, আইনজীবী ও অন্য আসামিদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গুরুতর আহত ফারুককে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নূরুল ইসলাম জানান, একই মামলার এক আসামি অন্য আসামিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। আসামিকে আটক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিচারক বেগম ফাতেমা ফেরদৌস বলেন, ‘আমার সামনে একজন আসামিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হলো। আমার ওপরও হামলা হতে পারতো। আমাদের নিরাপত্তা কোথায়?’