আদালতে ক্ষমা চাইলেন সেই তদন্ত কর্মকর্তা

6

নিজস্ব প্রতিবেদক

একটি মামলায় কারাবন্দি থেকেও আরেকটি ভাঙচুর-মারধর মামলায় অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার ঘটনায় আদালতে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। তার দাখিল করা প্রতিবেদনে আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছিল রাশেদুল ইসলাম বাবু (২৭) ও সুজন গাজী (৩৫) নামে দু’জনকে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই’র এ পরিদর্শক ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ উল্লেখ করে আদালতে ক্ষমার আবেদন করেছেন। চট্টগ্রাম অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে গত ২০ সেপ্টেম্বর তিনি আবেদনটি জমা দিয়েছিলেন।
আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, বায়েজিদ বোস্তামী থানার একটি নালিশি মামলায় (১৮২/২০) তিনি গত ২৬ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। ওই প্রতিবেদনে তিনি আসামি করেছেন সৌরভ হোসেন (২৮), মোহাম্মদ ইলিয়াস (৩৪), মোহাম্মদ রুবেল (২৯), মোহাম্মদ ইয়াসিন (৩৫), মো. বাহাদুর (২৮), রাশেদুল ইসলাম বাবু (২৭), মো. কাউসার আলম (৫৫), মো. শিবলী সাদেক ওরফে সোহেল মিয়া (৩৬), মো. সোহেল (৩০), সুজন গাজী (৩৫), মো. ইসলাম হোসেন ওরফে ইসমাইল হোসেন (৩৮), শাহাদাত হোসেন (৪৮), মো. আওলাদ হোসেন (৩৮) ও মো. আবুল বাশারসহ (২৬) মোট ১৪ জনকে। তদন্তকালে তিনি অন্যান্য আসামিদের পাশাপাশি রাশেদুল ইসলাম ও সুজন গাজীকে আসামি করেছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা ঘটনার সময়ে কারাগারে ছিলেন। অনিচ্ছাকৃত এমন ত্রæটিতে আদালতের কাছে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরও সতর্ক থাকার অঙ্গীকার করেন।
প্রসঙ্গত, সংবাদটি গত বুধবার পূর্বদেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর তোলপাড় শুরু হয়।