আতিক বিল্লাহকে পাওয়া যাচ্ছেনা

26

ফজলুল হক

এটি একটি গল্প। প্রকৃত ঘটনা নয়। বাস্তব কোন ঘটনার সাথে এর কোন সম্পর্ক নাই। একজন গল্পকারকে এক পাঠক বললো আপনি শুধু মিথ্যে কথা লিখেন। গল্পকার বললো একটি গল্পের ভিতরে দুটি বিষয় থাকে। একটি-ঘটনার বিবরণ অপরটি একটি ম্যাসেজ। ঘটনার বিবরণ কাল্পনিক হতে পারে। যাকে তুমি মিথ্যে বলছো। কিন্তু ম্যাসেজটি চিরন্তন সত্য। একজন লেখক একটি গল্প লিখেছিলেন। রাম বনের ভিতর দিয়ে যাচ্ছে। গহীন বনে গেলে সে দেখতে পায় একটি বাঘ এসেছে। বাঘ রামকে খেয়ে ফেলে। গল্পটি এখানেই শেষ। ঐ ঘটনাটি সত্য হোক কিংবা কাল্পনিক হোক, বাঘে যে মানুষ খায় এ ম্যাসেজটি চিরন্তন সত্য।
যে গল্পটি বলবো বলেছিলাম সেটি এখন বলছি। আমি ড. আতিক বিল্লাহ, ফজলুল হক স্যার, আমাকে আপনি পছন্দ করেন না এবং আমার সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা বলতে চান না, সেটা আমি বুঝতে পারি। যদিও আপনি আমাকে দেখলে অনেক আদর যত্ন করেন। ভালো ভালো নাস্তা খাওয়ান। মুখে বলেন আতিক, তোমাকে আমি খুব পছন্দ করি। তুমি খুব ভালো মানুষ। আমার সাথে কোন মানুষের একবার সম্পর্ক হলে আমি কখনো তা ভাঙ্গতে চাই না। মানুষটিকে অবহেলা করিনা। কিন্তু আতিক, আজ যে আমার হাতে কোন সময় নাই, তোমার সাথে কথা বলতে পারছি না। পরে একদিন বলবো। আতিক বললো, আপনি যে আমাকে এভয়েট করছেন তা বুঝতে পেরেও আমি হাসিমুখে আপনার কাছ থেকে বিদায় নিই। আজ আমি আপনার বাসায় এসে আপনাদের কেয়ারটেকারের কাছে চিরকুটটি রেখে যাচ্ছি। আপনি দয়া করে পড়ে দেখবেন। চিরকুটটি আমার হাতে দিয়ে বাসার কেয়ারটেকার আতিকের বলা উপরের কথাগুলি আমাকে জানালো। কেয়ারটেকারকে বিদায় দিয়ে আমি চিরকুটটি পড়লাম, তাতে লেখা আছে, স্যার, আমি আজ শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছি। আমার ব্যবসা বাণিজ্য গুটিয়ে ফেলেছি। অনেক পাওনাদারের ঋণ শোধ করে দিয়েছি। আমি কোথায় যাবো আপনাকে বলবো না। তবে যেখানেই যাই কেউ আমাকে খুঁজে পাবে না। আমি কোন সম্পদ নিয়ে যাচ্ছি না। আমি রাতদিন শুধু আল্লাহ্র কাছে আমার অতীত জীবনের ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে কান্নাকাটি করবো।
অনেক বছর আগে, আমি তখন একটি কলেজের শিক্ষক, একদিন আমাদের টিচার্স রুমে এক তরুণ উঁকি দিচ্ছিলো। আমি তাকে ভেতরে ডেকে নিই। সে বললো স্যার, আমি আপনার কাছে এসেছি। আমি প্রশ্ন করলাম তোমার নাম কি? সে বললো, আতিক বিল্লাহ। আমি বললাম, কি করো? সে জানালো, সে টিউশনি করে। মানুষের বাড়ি গিয়ে ছাত্রদের পড়ায়। আমি বলি, এ রোজগারে তোমার দিন চলে? সে জানালো, খুব কষ্ট হয়। কিছুক্ষণ চুপচাপ থেকে সে বললো, আমার একটি প্ল্যান আছে। আমি অর্থ কষ্টের কাছে হার মানবো না। আমার বাবা অনাহারে অর্ধাহারে মারা গেছেন। আমি সেরকম হতে চাই না। আমি চট্টগ্রামে বড়ো বড়ো অফিসারদের বাসার ঠিকানা জোগাড় করেছি। যেমন ধরুন, বন বিভাগের অফিসার, বন্দরের অফিসার, পুলিশের অফিসার, শিক্ষাবোর্ডের অফিসার, বিদ্যুৎ বিভাগের অফিসার, কাস্টমস এর অফিসার-উনাদের বাচ্চারা তো কোন না কোন স্কুলে পড়ে। আমি যদি ঐরকম অফিসারের বাসায় টিউশনি ধরতে পারি তাহলে ভালো সম্মানী উনারা আমাকে দিবেন। তখন আমি সচ্ছল হতে পারবো। আমি তাকে বললাম তুমি কতটুকু লেখাপড়া করেছো? সে বললো, প্রাইভেটে ডিগ্রি পাশ করেছি। আমি তাকে বললাম, তোমাকে দেখে আমার পছন্দ হয়েছে। তুমি খুব ভালো ছেলে। সম্ভবত তুমি টিউশনি জোগাড়ের সময় আমার রেফারেন্স ব্যবহার করতে চাও। কিন্তু সেটা তুমি আমাকে বলনি। আমার এখন ক্লাসে যেতে হবে। পরে তোমার সাথে বিস্তারিত কথা বলবো।
এক বছর পর এই আতিক বিল্লাহ আবার আমার কাছে আসে। তাকে দেখে আমি চমকে উঠি। তার চেহারা, বেশভূষা বদলে গেছে। সে এখন চঞ্চল ও স্মার্ট। হাতের ঘড়ি অনেক দামি। মোবাইল সেটটিও দামি। আমি তাকে বললাম, আতিক, তুমি ভালো আছো? সে মৃদু হেসে বললো, স্যার, এখন আমি অনেকগুলি টিউশনি করি। সবই, বন বিভাগের, কাস্টমস এর, পুলিশের, দুর্নীতি দমন কমিশনের, শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের বাড়িতে। প্রত্যেক গৃহকর্তা আমাকে পছন্দ করেন। মাঝে মাঝে টিউশনির পাশাপাশি টুকটাক কাজও করে দিতে বলেন। আমি উৎসাহের সাথে তাদের ফরমায়েশ খাটি। যেমন ধরুন, যে কর্মকর্তাদের ছেলে আমি পড়াই, তাদের একজন একদিন আমাকে ডেকে বললেন, আতিক, আমি একটু বেকায়দায় পড়ে গেছি, তুমি কি আমাকে একটু হেল্প করবে? আতিক বললো কি করতে হবে বলেন স্যার, প্রয়োজন হলে জীবন দিয়ে দিবো। উনার নির্দেশ অনুসারে আমি উনার গাড়ি নিয়ে একজন শিল্পপতির বাসায় যাই। সেটা ছিলো আমার জন্য প্রথম বারের মতো এক বিরল ঘটনা। শিল্পপতি আমাকে খুব আদর যতœ করলেন, আমার হাতে একটি ব্রিফকেস দিলেন। আমি ব্রিফকেসটি নিয়ে সে কর্মকর্তার বাসায় আসি এবং ব্রিফকেসটি উনার হাতে দিই। স্যার আপনি বুঝে নিন, বড়ো বড়ো অফিসারদের সাথে এখন আমার এই রকমের সম্পর্ক। উনারা আমাকে যা করতে বলেন আমি তাই করি। স্যার, আপনার কাছে আসার কারণ হলো উনাদের মধ্যে দুইজন অফিসারকে আমি বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে, এখন প্রাইভেট স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠা করলে ভালো প্রফিট হয়। উনারা ফাইন্যান্স করতে সম্মত হয়েছেন। আমি উপরের দিকে কিছু ডিগ্রি নিতে চাই। এ ব্যাপারে আমি একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কথাবার্তা বলেছি। আপনি দোয়া করবেন যাতে আমার মিশন সাকসেসফুল হয়।
পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে তিনবার আতিক আমার সাথে সাক্ষাত করে। ঐ তিন বারের মধ্যে প্রথম সাক্ষাতে আমি লক্ষ্য করি, আতিক দামি গাড়ি ব্যবহার করছে। দ্বিতীয় সাক্ষাতে তাকে দেখে আমার মাথা ঘুরে যাওয়ার দশা। আমার কাছে এসে সে তাঁর একটি নেইম কার্ড দেয়, তাতে লেখা আছে ড. আতিক বিল্লাহ। নেইম কার্ড পড়ে আমি বুঝতে পারি সে একটি স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ, একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এবং একটি পরিবহন কোম্পানীরও ম্যানেজিং ডাইরেক্টর। আমি অবাক হয়ে তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকি। সে আমার দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হাসতে থাকে। সে বলে, স্যার, চেষ্টা করলে এবং বুদ্ধি খাটালে দুনিয়াতে সবকিছু করা সম্ভব। আপনার সাথে আমার যখন পরেরবার দেখা হবে তখন আপনি আরেক আতিক বিল্লাহকে দেখবেন। সে হবে একটি শিল্পগ্রুপের মালিক। আমি তাঁকে বললাম, আতিক, আমি তোমাকে পছন্দ করি। যদিও আজকে আমার কিছুটা তাড়াহুড়ো আছে। আতিক আমার কাছ থেকে তুমি কিছু কথা শুনে রাখো, এই পৃথিবীতে অর্থ সম্পদ শেষ কথা নয়। এই পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা হচ্ছেন আল্লাহ। তিনি সর্বশক্তিমান। এই বিশ্ব ব্রহ্মাÐের আয়তন কতো বড়ো এটা মানুষ কল্পনাও করতে পারবে না। আল্লাহ প্রতি সেকেন্ডে এই কোটি কোটি গ্যালাক্সি সম্বলিত মহাবিশে^র মতো ১১২টি মহাবিশ^ সৃষ্টি করেন। তুমি তার কাছে চাও, তিনি যা দেন তা ভোগ করো। অন্য কোনভাবে সম্পদের মালিক যে কেউ হতে পারে কিন্তু সেটা সে ভোগ করতে পারে না। আতিক বিমর্ষ বদনে আমার কাছ থেকে বিদায় নেয়। আমি তার অপসৃয়মান গাড়িটির দিকে তাকিয়ে থাকি। গাড়িটির দাম তিন কোটি টাকার কম হবে না।
আমাদের চট্টগ্রামের একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা আমার কাছে একজন লোক পাঠিয়ে আমাকে উনার বাসায় যেতে বলেন। উনি অনুমান করেছিলেন টেলিফোন করলে আমি নাও যেতে পারি, তাই লোক মারফত আমার কাছে তিনি কিছু তথ্য অবহিত করেন। উনার দেওয়া সময়মতো আমি সেই নেতার বাসায় যাই। গিয়ে দেখি আতিক বিল্লাহ উনার সামনে বসা। এটা আরো জমকালো এক আতিক বিল্লাহ। তার পড়নের কোট, স্যুট, জুতার দাম লক্ষ লক্ষ টাকা হতে পারে। আমি বিস্মিত হয়ে বলি, আতিক তুমি? সে আমাকে অবাক করে দিয়ে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ায় এবং আমার পা ছুঁয়ে সালাম করে। আতিক পুনরায় নেতার সামনে চেয়ারে বসে। নেতা আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন আমি একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এ কাজে আতিক ইনভেস্টর সংগ্রহ করে দিয়েছে। আতিক আমাকে দুই কোটি টাকা দিয়েছে, বলে নেতা আমার হাতে আতিকের দেওয়া চেকটি তুলে দেন। টেবিলে আরো চার পাঁচটি চেক দেখতে পাই। নেতা বললেন, আমরা জমি ক্রয় এবং ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছি। আমি বললাম, আপনারা কাজটি করতে পারবেন। এই যুগে মুরগি বিক্রেতাও স্কুল, কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে পারে। সরকারের কাছ থেকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি নেওয়া আপনার জন্য কোন কঠিন কাজ নয়। ব্যবসায়িদের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহের ব্যাপারে সমন্বয়ের কাজটি আতিক করতে পারবে। আপনি আমাকে কেনো ডেকেছেন? নেতা বললেন, আমাদের সকলের মুরুব্বি হিসেবে এই কাজে আপনি হাত না লাগালে আমি ভরসা পাচ্ছিনা। আমি বললাম, আপনারা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছেন মুনাফা করার জন্য। আজকাল ব্যবসায়ি এবং রাজনৈতিক নেতাদের কাছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় পরিণত হয়েছে মানি মেকিং মেশিনে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হলো নলেজ ক্রিয়েশন অর্থাৎ গবেষণার মাধ্যমে জ্ঞান সৃজন করা। নলেজ দিসিমিনেশন অর্থাৎ জ্ঞাণ বিতরণ করা। নলেজ এপ্লিকেশন অর্থাৎ জ্ঞানের প্রয়োগ। যে বিশ্ববিদ্যালয় নলেজ শেয়ারিং করতে পারেনা, সেটি কোন বিশ্ববিদ্যালয় নয়। আমাদের হাজার হাজার নলেজ সেন্টার দরকার। প্রকৃতপক্ষে সেদিকে কারো নজর নেই। সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিক, ভিসি, প্রোভিসি হতে তৎপর। নেতা আমার দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে।
অনেকদিন কেটে গেছে, দেশে অনেক কিছু ঘটেছে, আমি নিজে অসুস্থ হয়ে পড়েছি, করোনায় শুধু দেশ নয়, সারাবিশ্ব বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আমার মন খারাপ, কারণ আমি চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারছি না। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, কেউ কারো খোঁজ খবর নিচ্ছে না, দেখা সাক্ষাত করতেও আসছে না। সবাই নিজের সুরক্ষা নিয়ে ব্যস্ত। এরকম পরিস্থিতিতে একদিন সকাল বেলা আতিক বিল্লাহ এসে হাজির। তার গায়ে একটি সাধারণ টি-শার্ট, পরনে সাধারণ প্যান্ট। আমি বললাম আতিক এই করোনার মধ্যে কেনো এসেছো? এটা তোমার জন্যও বিপদ, আমার জন্যও বিপদ। সে বললো, নিরুপায় হয়ে এসেছি। আমি বললাম, তোমাকে আমি পছন্দ করি। আমার সাথে কোন লোকের একবার সম্পর্ক হলে আমি তা ভাঙ্গতে চাই না। সে ভালো কি খারাপ সেটা নির্ধারণ করার মালিক-আল্লাহ। আমি নই। তবে আমি আল্লাহ পছন্দ করেন না এমন কাজ থেকে দূরে থাকি। এই পৃথিবীতে যত মানুষ আছে সকলের কাছ থেকে আমি বিদায় নিয়েছি। আমি কোন মানুষের সমালোচনা করি না। আমার মধ্যে অহংকারবোধও নাই। আমি যেটুকু ভোগ করি সেটাই আমার সম্পদ। এই পৃথিবীতে সম্পদের পাহাড় গড়ে লাভ নাই। সব কিছু ফেলে চলে যেতে হবে। আমি আতিকের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে বললাম, আজ আমি তোমার সাথে কথা বলতে পারবো না কারণ এটা আমার প্রেয়ার টাইম। আতিক বিষন্ন মনে চলে যায়।
আমি যে নেতার বাসায় গিয়েছিলাম, তিনি আমাকে ফোন করেন। নেতা বললেন, স্যার আতিক তো ডেঞ্জারাস মানুষ। আমি বললাম, কেন আপনার এ রকম মনে হলো? নেতা বললেন সে পারেনা এমন কোন কাজ দুনিয়াতে নেই। মানুষের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে আমি বিপদে পড়ে গেছি। আমি বললাম, আল্লাহ আপনাকে সাহায্য করুন। আমাদের যুগে রাজনীতিতে যারা আসতো তাদের সকলের মধ্যে ত্যাগের মনোভাব ছিলো কারণ পঞ্চাশ এবং ষাটের দশকে প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মীরা অকাতরে ত্যাগ স্বীকার করতেন, কিছুই পেতেন না। এই যুগে যারা রাজনীতিতে ঢুকে প্রগতিশীল হোক, বামপন্থী হোক, ডানপন্থী হোক-সকল রাজনৈতিক দলে বর্ণচোরারা ঢুকে। এখন তরুণদের মধ্যে একটা অংশ ভোগের জন্য রাজনীতিতে আসে। হাইব্রিডদের ব্যাপারে আপনারা কি অসতর্ক।
আমি সবদিকে আতিক বিল্লাহর তালাশ চালালাম কেউ কোন তথ্য দিতে পারলো না। হঠাৎ করে ড. আতিক বিল্লাহ উধাও হয়ে গেলো। আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলাম, হে আল্লাহ, আমরা সবাই ভুল করি। আমি কোন মানুষের অমঙ্গল কামনা করি না। যদি কেউ আমার উপরে কোন জুলুম করে, আমি প্রতিশোধ নিতে চাই না। আমি তোমার কাছে বিচার দিই। হে আল্লাহ, যারা জুলুমবাজদের কথা শুনে আমার উপর ক্ষুব্ধ হন তুমি তাদের অন্তর পরিবর্তন করে দাও। কারণ তুমিই অন্তর পরিবর্তনকারী। কেন আমি বারবার আসা সত্তে¡ও আতিক বিল্লাহর ফাঁদে পা দিইনাই তা আল্লাহই ভালো জানেন।
লেখক : সাবেক অধ্যক্ষ, কলামিস্ট