আড্ডা বাঙালি মননের একটা অনিবার্য চাহিদা

82

 

আমরা নিজেরাই প্রতিদিনের ব্যস্ত সময়ে একঘেয়ে জীবন-যাপনে বিরক্ত হয়ে যায় কোনো এক সময়ে। আর প্রাত্যহিক জীবনের এই বিরক্তি থেকে নানান রকম হতাশা ভর করে বসে আমাদের মনের গহীনে। এমন পরিস্থিতিতে অশান্ত এই হৃদয়ে কোনো কিছুই আর ভালো লাগে না আর। কাজ আর ব্যস্ততার বিশালতার ন্যায় ভারি হয়ে ওঠা জীবনের কিছু সময় প্রাণবন্ত অনুভূতি সৃষ্টির নিয়ামক হতে পারে বন্ধু সভা বা আড্ডা। আমরা বয়সভিত্তিক আড্ডা দিয়েছি জীবনের বিভিন্ন সময়ে। এখনো দিয়ে যাচ্ছি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে। প্রিয় মানুষদের সঙ্গে আড্ডা দেয়ার আনন্দে বাঙালি জাতির কোনো ক্লান্তি নেই। নেই একঘেয়েমিতা। আড্ডা বাঙালি মননের একটা অনিবার্য মনের চাহিদা। এই চাহিদায় পরিলক্ষিত হয় স¤প্রীতি ও ভালবাসায়। এই ভালোবাসার আড্ডায় সমসাময়িক প্রসঙ্গ ছাড়াও জ্ঞান-বিজ্ঞানের কথা থেকে শুরু করে ভ্রমণ কাহিনী, প্রেম, রোমাঞ্চ, দেশ, ভাষা, ধর্ম, রাজনীতি, অর্থনীতি, চলচ্চিত্র, সমাজ, শিল্প-সাহিত্য-সঙ্গীত এর যেকোনো কিছুই হতে পারে আড্ডার উপাদানের বিষয়বস্তু। আড্ডা মানুষের জীবনে কীভাবে আনন্দের প্রশান্তি সৃষ্টি করতে পারে একুশে পত্রিকার সম্পাদক আজাদ তালুকদার সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়াল থেকে ‘নিখোঁজ হওয়া রিদয়ে খুঁজে পাওয়া সেই লাইট হাউজের আড্ডায়’ দেখতে পাই – শরীর সুস্থ রাখার প্রধান কৌশল ‘গল্পে আড্ডায়’ মনকে আনন্দে মাতিয়ে রাখা। আড্ডায় পুরানো মুখ যেমন থাকে তেমনি নতুন মুখের সাথে পরিচয়ে হয়ে এক সময় প্রিয় মানুষের তালিকায় চলে আসে নিজের অজান্তে। আড্ডায় বন্ধু-বান্ধব, প্রিয় ব্যক্তির সঙ্গে আড্ডা সংযোগ হতে পারলে মনে আলাদা ধরনের আনন্দের স্পন্দন সৃষ্টি হয়। ঠিক তেমনি সে আনন্দের স্পন্দন শরীরকে সুস্থ ও প্রাণবন্ত রাখে সেই সঙ্গে মনে প্রশান্তি সৃষ্টি করে। জীবনের কিছুটা একঘেয়েমিতা কাটিয়ে উঠতে একটু নির্মল ও নির্ভেজাল আনন্দ দেওয়ার ব্যতিক্রমী আড্ডার আয়োজন প্রায়শই করেন সাবেক ব্যাংকার তারিকুল ইসলাম জুয়েল ভাই ও আনিকা ভাবী। ১৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে আমার সৌভাগ্য হয়েছিল সেই নান্দনিক আড্ডার প্রায়োরিটি তালিকায়। এবারকার আড্ডার প্রধান আকর্ষক খ্যাতিমান আর্টিস্ট দম্পতি বিশ্বজিত গোস্বামী ও তানিয়া সুলতানা বৃষ্টি আপু তাদের খুদে শিল্পীকন্যা বরিষ ধরা কল্যাণে নতুন অথিতির সাথে পরিচয় ঘটে করপোরেট ব্যক্তিত্ব জিপিএস ইস্পাতের চিফ পিপল অফিসার শারমিন সুলতান জয়া আপা, ইউএনএইচসিআর-এর অ্যাসিসটেন্ট সিবিআই অফিসার তাহমিনা জাবীন মমি আপা, শ্রদ্ধেয় বড় ভাই সমতুল্য সানিয়াত লুৎফী ভাই, বাতিঘর এর স্বত্বাধিকারী দীপংকর দাশ, শিল্প ও সাহিত্য চর্চার জ্ঞান বাহক একুশে পত্রিকার সম্পাদক আজাদ তালুকদার ভাই, আয়োজক দম্পতির একমাত্র আদরের কন্যা সুনেহরা ইসলাম।