আজ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভান্ডারীর ওরশের আখেরী মোনাজাত

93

 

নাজিরহাট প্রতিনিধি

স্বাস্থ্যবিধি মেনে এশিয়া উপমহাদেশের প্রখ্যাত অলীয়ে কামেল আধ্যাত্মিক সাধক, মাইজভান্ডার দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা গাউছুল আজম হযরত শাহছুফী মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ (ক.) মাইজভান্ডারীর ১১৬তম বার্ষিক ওরশের প্রধান দিবস আজ সোমবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে ফটিকছড়ির মাইজভান্ডার দরবার শরীফে আখেরী মোনাজাত’র মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হবে। গত শনিবার থেকে ওরশের ৩দিন ব্যাপী কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে দিনে খতমে কোরআন, খতমে গাউছিয়া, নাতে মোস্তফা পরিবেশন, শানে গাউছিয়া পরিবেশন, মিলাদ মাহফিল, জিকির, ছেমা মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত হয়। গতকাল রবিবার দ্বিতীয় দিনে গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী (ক.) এর রওজা শরীফে গোসল শরীফ ও গিলাফ চড়ানোর ব্যবস্থা করাসহ বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। আজ বিভিন্ন মনজিলের পক্ষ থেকে আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করবেন আঞ্জুমানে মোত্তাবিয়ানে গাউছে মাইজভান্ডারী শাহ্ এমদাদিয়ায় সাজাদ্দাশীন সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভান্ডারি, গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলে সৈয়দ ডা.দিদারুল হক, গাউছিয়া মঈনিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজাদ্দাশীন আলহাজ্ব সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারী ও গাউছিয়া হক মঞ্জিলের সাজাদ্দাশীন সৈয়দ মো. হাসান মাইজভান্ডারী।
পরিদর্শনে দেখা গেছে, ওরশ উপলক্ষে আলোসজ্জা করা হয়েছে হযরত আহমদ উল্লাহ (ক.) রওজাসহ অন্যান্য রওজা এবং মঞ্জিল গুলো। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আশেকানে মাইভান্ডারী ভক্তরা ভক্তরা এসেছেন বলে দরবার সূত্রে জানিয়েছে।
ওরশে আগত আশেক, ভক্ত, মুরিদান, জায়েরীনদের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ১জন ম্যাজিষ্টেট’র পাশাপাশি ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন, র‌্যাব, পুলিশ, আনসার, স্ব স্ব মঞ্জিলের স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া ওরশ শরীফে ক্লোজ-সার্কিট ক্যামেরা ও ভিডিও চিত্র ধারণের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে।