আজারবাইজান সীমান্তে ব্যাপক পরিসরে সামরিক মহড়া ইরানের

2

আজারবাইজান সীমান্তে ব্যাপক পরিসরে সামরিক মহড়া শুরু করেছে ইরান। তেহরান বলছে, প্রতিবেশী আজারবাইজান সীমান্তে ইসরায়েল এবং জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাওয়ায় মহড়ায় নেমেছে দেশটি। শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখা গেছে, ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দিকে ট্যাংক, হেলিকপ্টার, কামান নিয়ে মহড়া চালাচ্ছেন সেনারা।
ইরানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ অঞ্চলে প্রথমবারের মতো নিজেদের তৈরি দূরপাল্লার ড্রোন এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। তেহরান জানিয়েছে, তার চিরশত্রæ ইসরায়েলের সঙ্গে আজারবাইজানের ঘনিষ্ঠ সামরিক সম্পর্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা। তেলআবিব আজারি সেনাবাহিনীকে উচ্চ প্রযুক্তির অ্যাসল্ট ড্রোন ও অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে বলে দাবি ইরানের।
এদিকে বৃহস্পতিবার তেহরানে আজারবাইজানের নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ইরান তার জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে জায়নবাদী শাসনের উপস্থিতি এবং কর্মকান্ড সহ্য করবে না। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকবে ইরান।
গত বছর আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলাকালে কিছু আইএস যোদ্ধাদের ডাকা হয়। এ বিষয়ে ইরানের সেনাবাহিনীর কমান্ডার জানান, ‘আমরা নিশ্চিত নই আজারবাইজান সীমান্ত থেকে আইএস সদস্যরা ফিরে গেছে কিনা। কিন্তু তাদের অবশ্যই এ এলাকা ত্যাগ করতে হবে’। সীমান্তে সামরিক মহড়ায় ইরানের প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ।
তিনি বলেন, প্রত্যেক দেশ তাদের নিজস্ব অঞ্চলে মহড়া চালাতে পারে, এটা তাদের সার্বভৌম অধিকার। কিন্তু ইরান কেন এ সময়ে আমাদের সীমান্তে মহড়া চালাচ্ছে! কেন তারা আর্মেনিয়া সীমান্তে মহড়া চালাচ্ছে না!