আঙ্গুলের ছাপে অপরাধীর পরিচয় জানবে র‌্যাব

13

সন্দেহভাজন ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপ স্ক্যান করে পরিচয় নিশ্চিত করার প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে র‌্যাব। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে একটি ডিভাইসে আঙ্গুলের ছাপ দেওয়া মাত্র অনলাইনে নানা তথ্য পেয়ে যাবে র‌্যাবের টহল দলের কাছে, যাতে অপরাধীকে সহজেই চিহ্নিত করা বা পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে। গতকাল রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনলাইন আইডিনটিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেম (ওআইভিএস) প্রযুক্তির উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
ওআইভিএস প্রযুক্তি কিভাবে কাজ করে তার ব্যাখ্যায় র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার বলেন, এই ডিভাইসে কারও আঙ্গুলের ছাপ দেওয়ার সাথে সাথে তা বিভিন্ন সার্ভারে কানেক্ট হয়ে যাবে। এখানে এনআইডি, পাসপোর্ট, জেল, অপরাধ সংক্রান্ত তথ্য, ড্রাইভিং লাইসেন্স তথ্য ছাড়াও রোহিঙ্গা কিনা তাও জানা যাবে।
র‌্যাবের প্রায় সব টহল দলকে এ ডিভাইস দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে কর্নেল তোফায়েল বলেন, এ প্রযুক্তির সফটওয়্যার বাংলাদেশে তৈরি, তবে শুধু ডিভিইসটি দেশের বাইরে থেকে আনা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
নতুন এই প্রযুক্তির বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, এ প্রযুক্তির মাধ্যমে যে কাউকে শনাক্ত করা যাবে পরিচয়টা কি। এতে সহজেই পরিচয় নিশ্চিত করা যাবে। শুধু অপরাধী নয়, সাধারণের পরিচয়ও এর মাধ্যমে নিশ্চিত করা যাবে।
অনুষ্ঠানে র‌্যাব সদস্যদের আত্মত্যাগের বিষয়ে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী সাহসে মানুষের পাশে’ শীর্ষক একটি টিভিসি উন্মুক্ত করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, অনেকের ধারণা ক্রিমিনালগুলোকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তারা তাদের সুরক্ষার জন্য সবকিছু সঙ্গে নিয়ে চলে। সে সমস্ত জায়গায় যখন নিরাপত্তা বাহিনী চ্যালেঞ্জ করলে তারা ফায়ার ওপেন করে। অনেকেই এখানে পা হারিয়েছেন, জীবন দিয়েছেন এসব ঘটেছে অপারেশনের জন্য । এ পর্যন্ত ২৮ জন র‌্যাব সদস্য নিহত এবং ৫০০ এর বেশি সদস্য আহত হয়েছে।
আঙ্গুলের ছাপ নেওয়ার প্রযুক্তি প্রসঙ্গে জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন বলেন, অপরাধীরা তথ্য গোপন করে থাকে। এটি ফরেনসিক পরীক্ষার সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। এর ফলে সব ধরনের তথ্য সহজেই হাতের নাগালে পাওয়া যাবে। অপরাধীরা অপরাধ করতে পারবে তবে লুকিয়ে রাখতে পারবে না। এর মাধ্যমে বেওয়ারিশ লাশের পরিচয় সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।
র‌্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ওআইভিএস প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিতের পাশাপাশি আইন আদালত কাজের প্রক্রিয়া সহজ হবে। এটি অপরাধ দমনে ভালো কাজ করবে।