‘আগে আইয়্যক, আ-ই-লে পরে দেহা যাইব’

10

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘণ্টায় দেড়শ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। ঘূর্ণিঝড়টির ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় নানা ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। নগর ও জেলায় ১১২০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে সংস্থাগুলো। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরে যেতে সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালানোর কথা জানিয়েছে সেবা সংস্থাগুলো।
নগরীর উপক‚লীয় এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে এ নিয়ে কোনো উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নেই। তারা স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের কাজকর্ম করছে।
উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা চট্টগ্রামের ভাষায় বলেন, ‘আগে আইয়্যক, আ-ই-লে পরে দেহা যাইব। ঘর-দোর ফেলি হন্ডে যাইয়ুম?’
এদিকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে গত বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নগরীর দামপাড়ায় শাখা কার্যালয়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলার কথা জানানো হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত সবধরনের তথ্য ও সেবার জন্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ০২৩-৩৩৩-৬৩০-৭৩৯ জরুরি সেবা নম্বরে যোগাযোগের জন্য বলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা’র ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। ইতোমধ্যে ৯০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের কন্ট্রোল রুমের জরুরি সেবা নম্বরের যোগাযোগ করে ঘূর্নিঝড় সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য ও সেবা পাবেন নাগরিকরা।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় চট্টগ্রাম নগরী ও জেলায় স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে মোট ১০৩০টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করেছে চট্টগ্রাম প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার রাতে জেলা প্রশাসনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জেলায় ৫৩০টি স্থায়ী ও ৫০০টি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যার ধারণক্ষমতা মোট ৫ লাখ ১ হাজার ১১০ জন। উপজেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাঁশখালীতে ১২২টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যার ধারণক্ষমতা ৯৭ হাজার ৬০০ জন। এরপরই দ্বীপ উপজেলা স›দ্বীপে ১১৬টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যাতে ৯২ হাজার ৮০০ জন আশ্রয় নিতে পারবেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বুধবার বিকেলেই জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে সবরকম প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।