আগামী ২৩ নভেম্বর আত্মসমর্পণ করছেন তারা

60

মহেশখালী-কুতুবদিয়া, চকরিয়া ও পেকুয়ার শতাধিক দস্যু-অস্ত্র কারিগরকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ বাহিনীর নেওয়া এ উদ্যোগের ফলে আগামী ২৩ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করবেন দস্যু ও অস্ত্র কারিগররা।
কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে হবে আত্মসমর্র্পণ অনুষ্ঠান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের উপস্থিতিতে অস্ত্র, গোলাবারুদ জমা দিতে সম্মত হয়েছেন এসব দস্যু-অস্ত্র কারিগররা।
কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারী, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, স্থানীয় সংসদ সদস্যগণ বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন।
তিনি আরও জানান, ২৩ নভেম্বর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছেন তারা। আত্মসমর্পণের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা দস্যু ও অস্ত্র কারিগরদের রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে প্রনোদনাসহ সব ধরণের সহযোগিতা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে আত্মসমর্পণ করার জন্য ইতিমধ্যে সেইফহোমে চলে এসেছেন কালারমারছড়ার আলোচিত জিয়া বাহিনীর জিয়াউর রহমান জিয়া ও তার বাহিনীর সদস্য মানিক, আয়াতুল্লাহ, আব্দুস শুক্কুর, সিরিপ মিয়া, একরাম, নাজেম উদ্দিন, আয়ুব আলী, সিরাদোল্লাহ, সাদ্দাম, বশিরসহ অন্তত ১৫ জন। কালামারছড়ার কালা জাহাঙ্গীর বাহিনীর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য আবুলু, সোনা মিয়া, জমির উদ্দীনসহ প্রায় ১৫ জন। একই ইউনিয়নের নোনাছড়ি মোহাম্মদ উল্লাহর বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ আলী, সেকেন্ড ইন কমান্ড করিম ওরফে বদাইয়া, এরফান, রফিকসহ ১৫ জন। উত্তর নলবিলার মুজিব বাহিনীর প্রধান মজিবুর রহমান প্রকাশ শেখ মুজিব। হোয়ানকের শীর্ষ জলদস্যু ও অস্ত্র কারিগর আলোচিত আয়ুব আলী বাহিনীর প্রধান আয়ুব আলী। তার সঙ্গে চলে এসেছে তার বাহিনীর আরও ২০ সদস্য। কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশীখালীর কালু বাহিনীর প্রধান মো. কালু প্রকাশ গুরা কালুসহ তার বাহিনীর ১৫/২০ জন। এছাড়া মহেশখালীর সোনাদিয়ার বেশ কয়েকজন জলদস্যু অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সেইফহোমে চলে এসেছে। একই অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় দফায় আত্মসমর্পণ করবে উখিয়া-টেকনাফের অর্ধশত ইয়াবা কারবারি। এসব ইয়াবা কারবারিরা স্বরাষ্ট্রন্ত্রীর হাতে ইয়াবা ও অস্ত্রশস্ত্র জমা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করার কথা রয়েছে।
২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর মহেশখালীতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গোলাবারুদসহ ৪৩ জলদস্যু আত্মসমর্পণ করে। এরপর চলতি বছরের ১৬ ফেব্রæয়ারি ইয়াবা ও অস্ত্রসহ টেকনাফে আত্মসমর্পণ করে ১০২ জন ইয়াবা কারবারি।