আগামী নির্বাচনে ৩শ আসনে প্রার্থী দেবে জাতীয় পার্টি : চুন্নু

12

রাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটি জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন পার্টির কো-চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি। পরে ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জেলা সভাপতি হারুন রশীদ মাতব্বরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু এমপি।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মো. সোলেমান আলম শেঠ, পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মনির, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম ও খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি মনিন্দ্র লাল ত্রিপুরা প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্যসহ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা সাধারণ সম্পাদক প্রজেশ চাকমা। বক্তব্য রাখেন পার্টির জেলা, অঙ্গ-সহযোগী, উপজেলা ও পৌর কমিটির নেতৃবৃন্দ। বিকালে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে কোনো দলের সঙ্গে জোট করবে না। পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ৩০০ আসনে শক্তিশালী প্রার্থী দিয়ে এককভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আগামী সরকারও গঠন করবে জাতীয় পার্টি। এ লক্ষ্যে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহবান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুটি দলই মহাচোর, লুটেরা, দুর্নীতিবাজ ও স্বৈরাচারী। এ দুই দলের কোনোটাই ভালো নয়। দুই দলই বেঈমান। তাই দুটি দলকে নিয়ে দেশের মানুষ এখন ভীত-সন্ত্রস্ত। জাতীয় পার্টির সমর্থন না পেলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যেতে পারত না। কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রতিবারই জাতীয় পার্টির সঙ্গে বেঈমানি করেছে। বর্তমান সরকারের মন্ত্রীরা একেক সময় একেক ধরনের অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে যাচ্ছেন। সামনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মারমুখী অবস্থান নিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চলেছে। তাদের দুঃশাসন থেকে মুক্তি চায় দেশের মানুষ। জাতীয় পার্টিকে আবার ক্ষমতায় দেখতে চায়। তাই আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করে জাতীয় পার্টিকে সরকার গঠন করতে হবে।
কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, আমাদের দলে কোনো বিরোধ বা বিভেদ নেই। যারা বিভেদ তৈরি করতে চান, তাতে কোনো লাভ হবে না। ডানপন্থী, বামপন্থী, চরমপন্থী, নরমপন্থী সব নৌকায়। ফলে নৌকার অবস্থা এখন ডুবুডুবু। তাই আগামীতে জিএম কাদেরের নেতৃত্বে এককভাবে নির্বাচন করবে জাতীয় পার্টি।