আকাশে স্বপ্ন খোঁজা থাইকন্যা কেমন আছে চন্দনাইশে

39

চন্দনাইশ প্রতিনিধি

প্রেমের টানে সুদুর থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে আসা বুলিকা এখন কেমন আছে? প্রেমের টানে এক মাসের ভিসা নিয়ে চন্দনাইশে আসেন থাইল্যান্ডের মেয়ে বুলিকা সালানগার্ম (২৫)। বিয়ে করে সংসার শুরু করেন গত ২৭ জানুয়ারি।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিবাহের ৭ম দিনে তাদের পরিবার থেকে জানা যায়, বুলিকা কারো ভাষা না বুঝলেও তার স্বামী আকাশ দীর্ঘদিন থাইল্যান্ডে থাকার কারণে বুলিকার ভাষা বুঝেন। কোন কিছুর প্রয়োজন হলে বুলিকা আকাশকে খোঁজেন। বাঙালি খাবারে অভ্যস্ত নয় বুলিকা। তার কথাগুলো মোবাইলে বলে বাংলা ভার্সনে এনে বুঝানোর চেষ্টা করেন।
তার শ্বশুর হোমিও চিকিৎসক তাপস বড়ুয়া জানান, বুলিকা আধা কাঁচা সবজির সাথে গাজর হালকা তাপ দিয়ে সামান্য ভাত খায়। দু’বেলা ভাত খেলেও খুব কম পরিমাণে খায়। পাশাপাশি মুরগীর মাংস খুচি খুচি করে কেটে চেকে খায়। তার অভ্যাস চেকে খাওয়ার। সে সমুদ্রের এক জাতীয় মাছ মোবাইলে তুলে কিনে আনতে বলে। সকালে একটি পরটার সাথে সামান্য চিনি খেয়ে থাকে। চা পান করে না। তাদের কারো ভাষা বুঝে না। হালকা হালকা ইংরেজি বলতে পারে।
বুলিকা এক অভাগা মেয়ে, তিন ভাই বোনের মধ্যে সে মেজ। তার মা’র সাথে বাবার বিচ্ছেদ হওয়ার পর বড় ভাই বিয়ে করে দুই সন্তান রেখে মারা যান। সে ভাইয়ের দুই সন্তানকে লালন-পালন করতো বুলিকা। কারণ তার ভাইয়ের স্ত্রী অন্যত্র বিয়ে করে চলে যায়। বুলিকা তার ছোট বোন ও ভাইয়ের দুই সন্তানকে নিয়ে প্রথমে বাবার কাছে ছিল। পরে তার মা আদালতের রায় পেয়ে তাদের নিয়ে যায়। মাঝপথে তার মা ডেনমার্কের এক লোককে বিয়ে করে সেখানে পাড়ি জমালে বুলিকারা কষ্টে পড়ে যায়। তবে তার বাবার সহায় সম্পদ থাকার কারণে তাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছিল। এখন বুলিকার বিয়ে হয়ে যাওয়ায় তার বড় ভাইয়ের দুই সন্তান, ছোট বোন কিছুটা অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে বলে বুলিকা মানসিকভাবে কিছুটা কষ্টে রয়েছে। তবে এক মাসের ভিসা শেষ হলে আবার তার স্বামী আকাশ বড়ুয়াকে নিয়ে থাইল্যান্ডে চলে যাবে। সব মিলিয়ে বুলিকা আকাশ বড়ুয়ার সংসারে সুখী জীবন গড়ে তুলতে চায়।