আকস্মিক বন্যার আভাস কক্সবাজার বান্দরবানে

17

বৃষ্টিপাত বেড়ে গিয়ে কক্সবাজার-বান্দরবান এলাকায় হঠাৎ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। গতকাল শনিবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এ আভাস দিয়েছে। পাউবো বলছে, দেশের বিভিন্ন স্থানের নদ-নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে। কেবল পদ্মার পানির বাড়ছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বন্যাপ্রবণ ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে। রোববার (আজ) পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। অপরদিকে যমুনা নদীর পানি সমতল হ্রাস অব্যাহত থাকতে পারে।
গঙ্গা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে, অপরদিকে পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা রোববার (আজ) পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
এছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে, যা রোববার (আজ) নাগাদ ঘণ্টায় হ্রাস পেতে পারে। খবর বাংলানিউজের।
পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও ভারত আবহাওয়া অধিদপ্তরের গাণিতিক মডেলের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (১৪ জুন) নাগাদ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলাসমূহ এবং তৎসংলগ্ন অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আছে। এর ফলে এই সময়ে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং কোথাও কোথাও আকস্মিক বন্যা সংঘটিত হতে পারে।
শনিবার দেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে পাউবোর ১০১টি পর্যবেক্ষণাধীন পয়েন্টের মধ্যে পানির সমতল বেড়েছে ৫৭টিতে। কমেছে ৪২টি পয়েন্টে পানির সমতল। অপরিবর্তিত আছে ১টি, আর ১টি পয়েন্টের তথ্য পাওয়া যায়নি।