আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

39

নির্বাচন ঘিরে প্রচার-প্রচারণায় সরগরম পর্যটন নগরী কক্সবাজার। আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাশাপাশি মাঠে আছেন অন্যান্য প্রার্থীরাও। তবে প্রধান দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগে উত্তাপ বাড়ছে কক্সবাজারের ৪টি নির্বাচনী এলাকায়। কোথাও না কোথাও প্রতিদিন এলাকাভিত্তিক দলের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে। বাড়ছে হানাহানি, সংঘাত। এতে সাধারণ ভোটারদের মাঝে দেখা দিয়েছে আতংক।
ভোটের মাঠে প্রশাসনের আচরণ পক্ষপাতমূলক বলে অভিযোগ তুলেছে বিএনপি। আর এসব বিষয় খতিয়ে দেখার কথা বলছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
জেলার চারটি আসনে এবার লড়ছেন ২৮জন প্রার্থী। তবে, এরমধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এগিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জোটের আট প্রার্থী। ফলে প্রচার-প্রচারণায়ও এগিয়ে তারা। তাতে করে উত্তেজনার পাশাপাশি বেড়েছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।
কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে জোটের হয়ে লড়ছেন জামায়াতের প্রার্থী হামিদুর রহমান আযাদ। বাকি তিনটিতে আছেন বিএনপির প্রার্থী। তাদের অভিযোগ, প্রচার চালাতে গিয়ে প্রতিনিয়ত বাধার মুখে পড়ছেন। অপরদিকে কক্সবাজারের ৪টি আসনেই মহাজোটের হয়ে লড়ছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী। এসবের কোনো ভিত্তি নেই দাবি করে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। তাদের দাবি, ভোটের মাঠে সুবিধা নিতেই এধরনের অভিযোগ তুলছে বিএনপি।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও উখিয়া-টেকনাফ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী শাহ জাহান চৌধুরী বলেন, জেলার ৪টি আসনেই আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীর মত ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন। ১৮ ডিসেম্বর পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী উখিয়া সদর স্টেশনে বিএনপির প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরীর সমর্থনে পথসভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ওই দিন হঠাৎ আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা এসে পথসভায় বাধা দেয়। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে পথসভা স্থগিত করতে বাধ্য হই। তিনি বলেন, বিএনপির কোন অভিযোগ প্রশাসন মাথায় নিচ্ছে না, উল্টো উখিয়া-টেকনাফে প্রতিনিয়ত বিনা কারনে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে নতুন নতুন মামলা দেওয়া হচ্ছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, এখন পর্যন্ত মাত্র দুটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে-যার তদন্ত হচ্ছে। কক্সবাজারে চারটি আসনে মোট ভোটার আছেন ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ২০৪জন।
এদিকে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চকরিয়া উপজেলা ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ স¤পাদক ছাবের আহমদ ও চকরিয়া উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এম ইব্রাহিম খলিল কাঁকনকে চকরিয়া থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কুতুবদিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ স¤পাদক ও বড়ঘোপ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোবারক হোসাইনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কুতুবদিয়া বড়ঘোপ ডাকবাংলোর সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী।