আওয়ামী লীগ নেতাকে উপজেলা চেয়ারম্যানের জুতাপেটা

79

রাঙামাটি প্রতিনিধি

এবার নিজ দলের সাধারণ সম্পাদককে প্রকাশ্যে পিটিয়েছেন জুতা দিয়ে। হামলা করেছেন নিজের অনুগতদের নিয়েও। এমন অভিযোগে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন রাঙামাটির লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার।
গতকাল সোমবার সকালে লংগদু উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার প্রতিবাদে দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে পৃথকভাবে। এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নিয়েছিলেন অবস্থান।এ অপরাধে বিভিন্ন পদে থাকা আট নেতাসহ বহিস্কার হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকেও। সেই ‘দন্ড’ প্রত্যাহার না হওয়ায় এখনও ফিরে পাননি সেই পদ। এরইমধ্যে এমন ঘটনার জন্ম দেওয়ায় দলের মধ্যেই দেখা দিয়েছে অস্বস্তি। দেখা দিয়েছে দলীয় বিভক্তি।
হামলার শিকার মাইনীমূখ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বেল্লাল হোসেন এখন ভর্তি আছেন রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে। তবে নিজের আত্মরক্ষার জন্য দুই-তিনটা চড় মেরেছেন বলে স্বীকার করেন অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার।
এঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাক-র্মীরা। সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সুভাস চন্দ্র দাশ, সহ-সভাপতি ও মাইনীমূখ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আলী ও আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হুসেন আলী, জেলা পরিষদের সদস্য আসমা আক্তারসহ উপজেলা ও ইউনিয়নের বিভিন্নস্তরের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলা সদরে আব্দুল বারেক সরকারের ওপর হামলার অভিযোগ এনে তার পক্ষের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
ঘটনার বিষয়ে হামলার শিকার মো. বেল্লাল হোসেন জানান, ‘কমিটিতে জনৈক কর্মীর নাম রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকারের নিষেধের কথা বলেছি। বিষয়টি সে চেয়ারম্যানকে জানিয়েছে। তার জের ধরে আজ সকালে বারেক সরকার আমাকে কিলঘুসি ও পায়ের জুতা দিয়ে মারতে থাকে। পরে আশেপাশের লোকজন আমাকে রক্ষা করে’।
আব্দুল বারেক সরকার বলেন, ‘কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে বেলালের সাথে হাতাহাতি হয়। আমার ওপর হামলা হলে এক পর্যায়ে আত্মরক্ষার্থে দুই-তিনটা চড় মেরেছি। উত্তেজনার ফাঁকে আমার পকেটে রক্ষিত প্রায় তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। আমি মামলা করবো। এ ঘটনার নেপথ্যে উপজেলা সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ বাবুর হাত থাকতে পারে’।
বাবুল দাশ বাবু বলেন, ‘আমি এলাকার বাইরে আছি। তবে বেলাল হোসেনকে বারেক চেয়ারম্যান পিটিয়েছেন, বিষয়টি নেতা-কর্মীরা আমাকে জানিয়েছেন। এর আগেও বেলালকে আরও দুইতিনবার পিটিয়েছেন বারেক সরকার’।
রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসমা আক্তার জানান, ‘তিন বছর আগের পুরাতন কমিটিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামারির হয়েছে। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।