আওয়ামী লীগ কখনো কোনো আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হয়নি বিএনপির নৈরাজ্য ও অরাজকতার প্রতিবাদ

5

পূর্বদেশ ডেস্ক
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বিদেশি প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন পদ্ধতিকে আদালত প্রত্যাখ্যাান করেছে। তাই যারা তত্ত¡াবধায়ক সরকার চান তারা আদালত মানেন না, সংবিধান মানেন না। আওয়ামী লীগ সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষায় একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে বিশ^াসী এবং জনগণের প্রত্যাশা ও প্রত্যয় অনুযায়ী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে।
গতকাল সোমবার দুপুরে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দারুল ফজল মার্কেট চত্বরে বিএনপি-জামায়াতের কথিত আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য ও অরাজকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে এবং জনগণের জানমাল রক্ষার প্রত্যয়ে এক সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন। খবর বাসসের
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকারকে অবৈধভাবে উৎখাতের জন্য যে চক্রান্তের জাল বোনা হয়েছে তাতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হচ্ছে ৭১ এর পরাজিত শক্তির বসংবদরা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। ইতিহাস বলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কখনো কোনো আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হয়নি। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের নীলনকশার মাধ্যমে স্বাধীনতা ও দেশবিরোধী অপশক্তি। আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে এদেশকে পাকিস্তান বানানোর দুঃস্বপ্ন দেখেছিল যা কখনো সফল হয়নি।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আমাদের এই গণঅবস্থান কর্মসূচি কোন রাজনীতিক দলের বিরুদ্ধে পাল্টা কর্মসূচি নয়। এদেশে প্রত্যেক দলেরই রাজনীতি করার এবং রাজপথে কর্মসূচি পালনের অধিকার রয়েছে। তবে এই কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে কেউ যদি জানমালের ক্ষতি করেন তাহলে আমরা জানমাল রক্ষায় জনগনকে সাথে নিয়ে রাজপথে ছিলাম আছি এবং থাকবো।
তিনি আরো বলেন, নিকট অতীতে আমরা জামায়াত-বিএনপির আগুন সন্ত্রাসে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করতে দেখেছি। এমনকি থানা, সরকারি অফিস- আদালতেও আগুন দিয়ে সম্পদহানি করতেও দেখেছি। কিন্তু জনগণ তা সহ্য করেনি। জনগণকে সাথে নিয়েই আমরা সেই মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে প্রতিহত করেছি। তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্রে বিশ^াসী, পবিত্র সংবিধান অনুযায়ী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন কমিশন ঘোষিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে কেউ যদি না আসেন তাহলে তারা নিজেরাই গৃহবন্দী থাকতে বাধ্য হবেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, এড. সুনীল কুমার সরকার, খোরশেদ আলম সুজন, উপদেষ্টামÐলীর সদস্য সফর আলী, শেখ মাহমুদ ইছহাক, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, নির্বাহী সদস্য ড. নেছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, থানা আওয়ামী লীগের সিদ্দিক আলম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
এছাড়া অলংকার মোড়, বহদ্দারহাট, অক্সিজেন মোড় ও ইপিজেড মোড়ে একই কর্মসূচি পালিত হয়।