আউটার রিং রোড অভ্যন্তরীণ সড়কে কমবে চাপ

42

নগরের পতেঙ্গা থেকে সাগরিকা স্টেডিয়াম। সাগরপাড়ে নির্মাণাধীন ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে আউটার রিং রোড প্রকল্পের কাজ চলছে পুরোদমে। সড়কটি খুলে দেওয়া হলে প্রতিদিন চট্টগ্রাম বন্দর ও বিমানবন্দরগামী প্রায় পাঁচ হাজার যানবাহন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে। চাপ কমবে নগরের অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে। নগরীর যানজটও অর্ধেকে নেমে আসবে বলে দাবি করছেন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) কর্মকর্তারা।
বর্তমানে নগরের একমাত্র প্রধান সড়কটি দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরমুখী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান আর ইপিজেডের জনজটে প্রায় অচল হয়ে পড়েছে জনজীবন। রিং রোড বাস্তবায়িত হলে বিমানবন্দর সড়কের ওপর চাপ অনেকটাই কমে যাবে। পতেঙ্গা ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরমুখী বিকল্প সড়ক সৃষ্টি হবে।
২০০৬ সালে জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (জেবিআইসি) একটি সমীক্ষা করে চট্টগ্রাম নগরীর যোগাযোগ অবকাঠামো বাড়াতে আউটার রিং রোড নির্মাণের ওপর গুরুত্ব দেয়। সে অনুযায়ী চট্টগ্রাম শহর রক্ষা বাঁধের ওপর সড়ক নির্মাণ প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়। এরপর ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্প উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কাজ শুরু হয় জুলাইয়ে।
প্রায় সাড়ে ৬শ কোটি টাকার এই প্রকল্পের ব্যয়ও বেড়েছে কয়েক দফায়। সেইসঙ্গে প্রকল্পের সময় বাড়ানো হয়েছে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত। বাস্তবায়নাধীন আরও দুই মেগা প্রকল্প কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার পর যান চলাচলে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে দুটি ছোট ফ্লাইওভার এবং দুটি আন্ডারপাস নির্মাণ করা হবে এ প্রকল্পের আওতায়। বর্তমানে আউটার রিং রোড প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ৩ হাজার ৩২২ কোটি টাকা।
চউক বলছে, টানেল ইন্টারসেকশন, জমি অধিগ্রহণ, আলোকায়ন ও ইপিজেড কানেকশনের জন্য নতুন করে প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। পুরো প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সুফল পাবে নগরবাসী, কমে আসবে যানজটও।
প্রতিবছর ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হারে গাড়ি বাড়ছে। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে আউটার রিং রোডের সংযুক্তি নগরবাসীকে উপহার দিবে স্বস্তি।