আইপিএল শিরোপা অভিষিক্ত গুজরাট টাইটান্সের

13

 

রাজস্থান রয়্যালসকে ১৩০ রানেই আটকে প্রাথমিক কাজটা সেরে রেখেছিলেন গুজরাট টাইটান্সের বোলাররা। পরে ব্যাট হাতে ডেভিড মিলার, হার্দিক পান্ডিয়া, শুভমান গিলরা ব্যাটিং করেছেন প্রত্যাশা মাফিক। ব্যাট-বল দুই বিভাগের দারুণ পারফরম্যান্সে ১৫তম আইপিএল ফাইনালে রাজস্থানকে ৭ উইকেটে হারিয়েই শিরোপা জিতেছে গুজরাট। প্রথমবার আইপিএল খেলতে এসেই শিরোপা জিতল গুজরাট। এতে দুর্দান্ত ভূমিকা রাখলেন হার্দিক পান্ডিয়া। রোববার গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে কার্যকারী একটা ইনিংসও খেলেছেন পান্ডিয়া।
এতোদিন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থাকা হার্দিককে মোটা অংকে কিনে অধিনায়কত্ব দেয় গুজরাট। প্রথমবার আইপিএল খেলতে নামা দলটা যে সঠিক নির্বাচনই করেছেন সেটা বুঝা গেল শিরোপা জয়ের মাধ্যমে। পুরো সিরিজে রান করেছেন পান্ডিয়া। ব্যাট হাতে বেশ ফর্মে ছিলেন। ৪৮৭ রান করেন চলতি আইপিএলের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। পাশাপাশি উইকেট পেয়েছেন ৮টি।
রোববার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটি করার সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক স্যাঞ্জু সামসন। এটাই বুঝি কাল হলো! শুরুটা অবশ্য বেশ ভালোই হয়েছিল। পাওয়ার প্লেতে ৪৪ রান তোলার পর ১০ ওভার ওভারে রাজস্থানের পুঁজি ছিল ৭১ রান। কিন্তু রশিদ খান ও হার্দক পান্ডিয়া বল হাতে নেওয়ার পর থেকেই পাল্টে যায় দৃশ্যাপট। মাঝের ওভারগুলো থেকে সেভাবে রান তুলতে পারেনি রাজস্থান। শেষ পর্যন্ত ১৩০ রানে থামে রাজস্থানের ইনিংস। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেছেন জস বাটলার। এছাড়া ইয়াসভি জায়সোয়াল করেছেন ২২ রান। গুজরাটের হয়ে পান্ডিয়া তিনটা ও সাই কিশোর ‍দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
পরে জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি গুজরাটের। ২৩ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। তারপর শুভমান গিল ও হার্দিক পান্ডিয়া গড়েন দুর্দান্ত এক জুটি। তাদের জুটিতে উঠে ৬৩ রান। দু’বার ক্যাচ তুলে দেওয়া শুভমান অবিচল ছিলেন শেষ অবদি। ৪৩ বলে ৩টি চার ও ১টি ছয়ের সাহায্যে খেলেছেন ৪৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস। পান্ডিয়া ৩০ বলে ৩৪ রান করে ফিরলে গিলকে নিয়ে বাকি কাজটা সেরেছেন ডেভিড মিলার। ১৯ বলে ৩টি চার ও ১টি ছয়ে ৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন মিলার। ১৮.১ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য ১৩৩ রান ‍তুলে ফেলে গুজরাট।