আইনের তোয়াক্কা করছে না পাকিস্তানের গোয়েন্দারা

6

পরদেশ ডেস্ক

বিরোধী মতের মানুষকে গুম করে ফেলার বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানে বিতর্ক চলছে। দেশটির জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান সন্দেহের আঙুল তুলছেন পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার দিকে। রাওয়ালপিন্ডির এরিড এগ্রিকালচার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফিরোজ বালোচ গত ১১ মে পড়াশোনার জন্য বইপত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির দিকে রওয়ানা হন। কিন্তু এরপর তিনি আর ফেরেননি। সেই থেকে আজ পর্যন্ত আর কোনো খোঁজ মেলেনি বেলুচিস্তান থেকে আসা ছাত্র ফিরোজের।
সন্ধ্যা পর্যন্ত ফিরে না আসায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকা তার রুমমেট এবং চাচাতো ভাই রহিম বালোচ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। কারণ ফিরোজ সাধারণত সন্ধ্যার মধ্যে ফিরে আসেন। উদ্বিগ্ন রহিম তখন পুলিশ স্টেশনে গিয়ে অভিযোগ জানাতে চাইলেন কিন্তু পুলিশ কোনো অভিযোগ নিতে রাজি নয় পুলিশ, রক্ত সম্পর্কের কেউ ছাড়া নাকি অভিযোগ জমা নেবে না পুলিশ। ফিরোজের বাবা নুর বক্স বেলুচিস্তান পুলিশ স্টেশনে কর্মরত। পরদিন স্থানীয় থানার একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
পাকিস্তানে এভাবে হারিয়ে যাওয়া মানুষদের তালিকা অনেক লম্বা। ২০০০ সালের সেনাপ্রধান জেনারেল পারভেজ মোশাররফ ক্ষমতায় আসার পর এভাবে নিখোঁজ হওয়া মানুষের তালিকা লম্বা হতে থাকে। আর নিখোঁজ হওয়া এসকল মানুষদের বেশিরভাগই বেলুচ ও পশতুন জাতিগোষ্ঠীর। এমন প্রেক্ষিতে সরকার ২০১১ সালে কমশন অব ইনকোয়ারি অ্যান্ড এনফোর্সড ডিসএপিয়ারেন্স নামে একটি সংস্থা গঠন করে।