আইনজীবীর হামলায় আহত ২ সাংবাদিক

15

নিজস্ব প্রতিবেদক

পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে যাওয়ার সময় রাস্তায় গাড়ির হর্ন দেয়াকে কেন্দ্র করে একদল উন্মত্ত আইনজীবীর হামলার শিকার হয়েছেন যমুনা টেলিভিশনের দুই সাংবাদিক। তারা হলেন, স্টাফ রিপোর্টার আল আমিন সিকদার এবং ক্যামেরাপারসন আসাদুজ্জামান লিমন। গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালত চত্বরে উঠতেই তাদের ওপর এ হামলা চালান আইনজীবীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা মতে, আদালত চত্বরে উঠতে জেলা প্রশাসক কার্যালস্থ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক কার্যালয়ের সামনে প্রথমে গাড়ির হর্ন দেয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয় উভয়পক্ষে। এরপর কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই আইনজীবীরা টেনে গাড়ি থেকে নামিয়ে ফেলেন সাংবাদিকদেরকে। এখানে এক দফা হামলা চালানো হয় এই দুই সাংবাদিকের ওপর। যা সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়েছে। কিন্তু ঘটনা এখানেই থেমে থাকেনি। পরে উন্মত্ত ওই আইনজীবীর দল তাদেরকে টেনে হেঁচড়ে আইনজীবী সমিতির অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে সমিতির অডিটরিয়ামে তাদেরকে আবারও বেধড়ক মারধর করা হয়। মারামারির সাথে একজন মহিলা আইনজীবীও ছিলেন। ওই নারী আইনজীবী প্রথমে তাকে ধাক্কা দেয়ার অজুহাত খাঁড়া করে দুই সাংবাদিককে মারধরে অন্য আইনজীবীদের উদ্বুদ্ধ করেন। হামলায় ১০-১৫ জন অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে। মারধর শেষে সমিতির অফিসে তাদেরকে বসিয়ে রাখা হয়। খবর পেয়ে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক ও দৈনিক পূর্বদেশের প্রধান প্রতিবেদক সবুর শুভ দ্রæত সমিতির অফিসে যান। এরপর দুই সাংবাদিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডাক্তাররা জানান, আল আমিন সিকদারের আঘাত গুরুতর। তার বুকের পাজরে প্রচÐ আঘাত করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে।
এই বিষয়ে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘গাড়ির হর্ন দেয়াকে কেন্দ্র করে একটা ঝামেলা হয়েছে। আমি দ্রæত গিয়ে বিষয়টা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। আমরা বিষয়টা তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নিবো।