অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরও ৭ লাখ ৮১ হাজার টিকা এল

6

কোভ্যাক্সের মাধ্যমে দ্বিতীয় চালানে জাপান থেকে আরও ৭ লাখ ৮১ হাজার ৩২০ ডোজ করোনা ভাইরাসের টিকা এসেছে দেশে। গতকাল শনিবার বিকালে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই টিকা গ্রহণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এর আগে গত ২৪ জুলাই জাপান থেকে প্রথম চালানে ২ লাখ ৪৫ হাজার ২০০ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা এসেছিল। এবারও এসেছে একই টিকা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিকাল সোয়া ৩টায় ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উৎপাদিত ওই টিকার চালান এসে পৌঁছায়।টিকা হস্তান্তর করেন ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।
টিকা গ্রহণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, জাপান বাংলাদেশের পুরোনো বন্ধু। স্বাধীনতার শুরু থেকে আমাদের মহৎ ও অবিচল বন্ধুত্ব। আমাদের যে কোনো প্রয়োজনের সময় তারা বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
দেশটির সরকার আমাদেরকে ৩০ লাখের বেশি টিকা উপহার দিয়ে সহযোগিতা করছে, এজন্য আমি আনন্দিত। যার মধ্যে বেশির ভাগই হবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার। মোমেন বলেন, আমরা অন্য ২০ লাখ টিকার অপেক্ষায় আছি। আশা করি, ভবিষ্যতে তারা বেশি পরিমাণে টিকা পাঠাবে।
দুয়েকদিনের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ শুরু :
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, জাপানের কাছ থেকে টিকা প্রাপ্তির ফলে দ্বিতীয় ডোজের চিন্তা দূর হলো। আমরা কালপরশু (আজ-কাল) থেকেই দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু করবো। গতকাল শনিবার বিকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জাপানের উপহারের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় চালান গ্রহণ শেষে একথা জানান মন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আজকে (শনিবার) ৭ লাখ ৮০ হাজার ডোজ পেয়েছি। কিছুদিন আগে ২ লাখের বেশি পেয়েছি। সবমিলিয়ে ১০ লাখের বেশি পেয়েছি জাপান সরকারের কাছ থেকে। আগস্ট মাসে আরও ৬ লাখের বেশি টিকা আসবে। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ লাখের বেশি টিকা আমরা পাবো। খবর বাংলা ট্রিবিউনের।
জাহেদ মালেক বলেন, এই টিকার গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ, আমাদের দেশে ১৫-১৬ লাখ লোক অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় আছেন। আমি মনে করি সেই অপেক্ষা দূর হলো। আমরা কাল-পরশু থেকেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ যারা পায়নি তাদের দেওয়া শুরু করবো।