অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার বায়েজিদ-পাঁচলাইশের ত্রাস শামসু গ্রেপ্তার

40

বায়েজিদ ও পাঁচলাইশ এলাকার ত্রাস হিসাবে পরিচিত শামসুল আলমকে (ইয়াবা শামসু) গ্রেপ্তার করেছে খুলশী থানা পুলিশ। গত শনিবার রাতে নগরীর জিইসি মোড় এলাকা থেকে একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা শামসুর বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাসী কর্মকাÐ ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রণব চৌধুরী বলেন, শনিবার রাতে জিইসি মোড় থেকে শামসুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও ২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। অস্ত্র ও মাদক আইনে তাকে কোর্টে চালান দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় বেশ কিছু মামলা রয়েছে বলে জেনেছি। আমরা সেগুলোর খোঁজ নিচ্ছি।
এদিকে তার গ্রেপ্তারের খবরের খুলশী-বায়েজিদ এলাকার মানুষের মধ্যে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী মিষ্টি বিতরণ করে উল্লাস প্রকাশ এবং তার বিচার কামনায় মিলাদ মাহফিলও করেছেন।
জানা গেছে, যশোরের কাঁশিপুর ঝিকিরগাছা গ্রাম থেকে জীবন নির্বাহের তাগিদে রিকশা মিস্ত্রি আবেদ আলী ৩০ বছর আগে দেওয়ানহাট ব্রিজের নিচে সরকারি পরিত্যক্ত জায়গায় মাথা গোজার ঠাঁই করেন। ওখান থেকে ১৭ বছর আগে ষোলশহর রেলস্টেশনের একটি কলোনিতে বসবাস শুরু করেন। কয়েক বছর না যেতেই নানা অপরাধ কর্মকাÐে জড়িয়ে পড়ে তার তিন সন্তান শাহ আলম, শামসু ও সেলিম। গাঁজা ও ইয়াবা ব্যবসাসহ ছিনতাইয়ের মত নানা কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকার মানুষ তাদের বিতারিড় করে। এরপর ছিন্নমূল বাংলা বাজার এলাকায় সরকারি পরিত্যক্ত জমিতে ঠাঁই নিয়ে ধীরে ধীরে মাদক ব্যবসার বিস্তার শুরু করে। পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে মাদকের ব্যবসা করে টোকাই শামসু বনে যায় কোটিপতি। এরপর বিয়ে করে বার্মা কলোনির কুলছুমা বেগমের মেয়ে জেসমিন আক্তার ঝর্ণাকে। ওই পরিবারের বিরুদ্ধেও মাদক ব্যবসার অভিযোগ আছে। ২০১৭ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ মাদক ব্যবসায়ী সামশুকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে বর্তমানে বিভিন্ন থানায় ডজন খানেক মামলা রয়েছে। তার অত্যাচারে মাইজপাড়া, রুবি গেট, সিএন্ডবি, হিলভিউ, রহমান নগর এলাকার অর্ধলক্ষাধিক মানুষ অতিষ্ঠ। যখন তখন অস্ত্রের মহড়াসহ এলাকাবাসীকে ভীতসন্ত্রস্ত করে রাখে ইয়াবা শামসু। সে এলাকায় টোকাই শামসু হিসেবেও পরিচিত।
অভিযোগ রয়েছে, তার স্ত্রীকে দিয়ে মানুষজনকে নানাভাবে বø্যাকমেইলিং করে টাকা আদায় করে শামসু। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে গেলে নারী নির্যাতন মামলা টুকে দেয় এবং সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন। তাদের দাপটের কাছে স্থানীয় মানুষজন এমনকি সম্মানিত নাগরিকরাও অসহায় অবস্থায় রয়েছে। তার গ্রেপ্তারের খবরে তাই সবার মাঝে স্বস্তি নেমেছে।