অর্থ আত্মসাতের মামলায় প্রতারক কারাগারে

16

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম, ঢাকা, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বনামধন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং কোম্পানির সাথে বড় অংকের চেক দিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন সিলেটের নাইওরপুল হুমায়ুন চত্বরে অবস্থিত বুশরা মোটরস এর স্বত্ত¡াধিকারী আবুল কালাম আজাদ। তিনি গাড়ি ব্যবসার কথা বলে চেক দিয়ে গাড়ি নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেই চলছিলেন। এমন বেশ কয়েকটি ঘটনার তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ আজাদকে গ্রেপ্তার করেছে। আদালতের নির্দেশে তাকে চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, চেক প্রতারণার ঘটনায় চট্টগ্রাম টেক্সটাইলে তাহেরী ফ্লাওয়ারস এর করা চারটি মামলায় আজাদের সাজা হয়। সেই মামলায় সিলেট উপশহরের ই ব্লকের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ। তারপর তাকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। আজাদের আরেক পাওনাদার ইসলাম ব্রাদার্সের করা মামলায় গত ১২ জুলাই ৪র্থ মহানগর দায়রা জজের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আবারও কারাগারে পাঠিয়ে দেন। প্রতারক আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে কনফিডেন্স মোটরস্- এর করা দুই মামলার মধ্যে একটা মামলায় সাজা হয়েছে, আরেকটি মামলা বিচারাধীন।
ভুক্তভোগী এক ব্যবসায়ী জানান, চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দেড় কোটি টাকার চেক দিয়ে জিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের গাড়ি নিয়ে একটা চেকের টাকাও পরিশোধ করেননি আজাদ। পাওনা টাকার জন্য যোগাযোগ করতে চাইলে ফোন নাম্বার বøক করে রাখেন এবং অন্য নাম্বার থেকে কল রিসিভ করলেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। গত আড়াই বছর ধরে চট্টগ্রামে এসে লেনদেন সম্পন্ন করবে বলে তিনি জিএমডব্লিউ কোম্পানির সাথে প্রতারণা করে আসছেন। তারাও আজাদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর আগে গত মার্চ মাসে বগুড়ায় ২৫ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকার আরোকটি চেকের মামলা করেন হায়দার মোটরস্ এর এসিএল। আজাদ সিলেট এসিআই এর ডিলারশিপ নিয়ে তাদের সাথেও প্রতারণা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি ব্যবসা করার জন্য একটি প্রতিষ্ঠান আছে বলে দাবি করলেও বাস্তবে সেখানে গিয়ে দেখা যায় সেটি তালাবদ্ধ।