বাংলাদেশকে শান্তিপূর্ণ দেশে রূপান্তরিত করতে চাই: প্রধানমন্ত্রী

29

পূর্বদেশ অনলাইন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ চাই না। আমরা বঙ্গবন্ধুর ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা না’ এই পররাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাসী। কিন্তু বহিঃশক্তির যে কোনও আক্রমণ মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনীকে পর্যাপ্ত সক্ষম করে তুলতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’ এ ছাড়া দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে অর্থনৈতিক অবস্থা শক্তিশালী হওয়া স্বত্বেও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ না থামা পর্যন্ত উৎপাদন অব্যাহত রাখতেও তিনি আহ্বান জানান। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের ইবিআরসিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ১০ম টাইগার্স পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস অতিমারি আমরা দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছি, তা থেকে উত্তরণ ঘটিয়েছি। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও স্যাংশনের কারণে সারা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, উন্নত দেশগুলোও তার কবলে পড়েছে। বিভিন্ন দেশে খাদ্যের মূল্য যেমন অতিরিক্ত বেড়েছে, খাদ্য প্রাপ্তিতেও অসুবিধা হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটি অত্যন্ত উর্বর। আমাদের মানুষগুলোও অত্যন্ত দক্ষ। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর জাতির পিতা যখন যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলার কাজে নিয়োজিত, অনেক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেছিলেন আপনাদের তো কোনো কিছুই নেই। কীভাবে এ দেশ গড়ে তুলবেন? জাতির পিতা গর্বের সঙ্গে বলেছিলেন, আমার মাটি আছে, মানুষ আছে। এই মাটি-মানুষ দিয়েই আমি বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। আমি সেটাই বিশ্বাস করি, আমাদের সকলে প্রত্যেকটা নাগরিক যার যেখানে যতটুকু জমি আছে বা সুযোগ আছে যে যা পারেন উৎপাদন করেন। যেন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার ধাক্কাটা বাংলাদেশে না আসে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি, সেটা সত্য। এটি আমাদের অব্যাহতও রাখতে হবে, যতক্ষণ না পর্যন্ত যুদ্ধ থামে; এবং অর্থনৈতিক মন্দা থেকে বিশ্ব মুক্তি পায়। বাংলাদেশে যেন না হয়, সে জন্যই আমাদের কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশে দারিদ্রের হার ৪০ থেকে ২০ ভাগে নামিয়ে আনা হয়েছে। মাথা পিছু আয় বেড়েছে, বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী। তাই এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে দেশবাসীকে তিনি আহ্বান জানান।