অর্থনীতিতে মাইলফলক হবে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর

16

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা না হলে এত বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প হতো না বলে মন্তব্য করেছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। গতকাল রোববার মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রকল্পগুলোর তিনটি ভাগ করেছেন। আশা করি তহবিলের সমস্যা হবে না। করোনার মধ্যেও কাজ হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগে আশা করি কাজ শেষ হবে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন হয়ে গেছে। মাতারবাড়ি বন্দরের সঙ্গে রেললাইন যুক্ত হবে।
কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কয়লা রাখার জায়গা কাভার্ড এরিয়ায় থাকবে। বিশ্বের অনেক দেশে আছে। পিসিটি দ্রæত চালুর জন্য মন্ত্রণালয়কে জানাবেন বলেও জানান তিনি।
ব্রান্ডিং প্রসঙ্গে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, বিশ্বে ব্রান্ডিং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের বন্দর দিয়ে বাংলাদেশকে রিজিওনাল হাব করতে চাই। বিগ বি ইনিশিয়েটিভের বড় অংশ মাতারবাড়ি। বিশ্বে এক নামে পরিচিত হবে। এখানে বড় বড় জাহাজ আসবে। প্রতিবেশী দেশের বন্দরগুলো এ বন্দরের সেবা পাবে।
তিনি বলেন, রেনাং পোর্টসহ তিনটি দেশের সঙ্গে কোস্টাল শিপিং চুক্তি হয়েছে। ইতালি, সাংহাই এর সঙ্গে সরাসরি জাহাজ চলাচল চালু হয়েছে। আরও অনেক পোর্টে সরাসরি জাহাজ চলাচল চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের বাংলাদেশকে রিজিওনাল হাব করতে এসব করা হচ্ছে।
প্রকল্পটি পরিদর্শন শেষে সংসদীয় কমিটির সদস্যরা বলেছেন, পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে বিশাল অবদান রাখবে এ বন্দর। যা দেশের অর্থনীতিতে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।
এসময় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এর নেতৃত্বে সংসদীয় কমিটির সদস্য এম এ লতিফ এমপি, রনজিত কুমার রায় এমপি, আসলাম হোসেন এমপি, এস এম শাহাজাদা এমপি, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল এম শাহজাহানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, মাতারবাড়ি প্রকল্পের জন্য ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হতে আরো তিন বছর সময় লাগবে। তবে মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রথম জেটি নির্মাণ কাজ শেষ হয় দু’বছর আগে। সেখানে ২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর থেকে গত বছরের ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ১১১টি জাহাজ ভিড়েছে। এটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে ৩৫০ মিটার প্রস্থ এবং ১৮ মিটার ড্রাফট এর জাহাজ ভিড়বে।