অবৈধ মাদক পরিবহন থামাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো সতর্ক হতে হবে

11

বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইত্যাদি বৈশ্বিক সমস্যা মোকাবেলা করতে দেশের সরকার হাফিয়ে উঠছে। একদিকে চীনে করোনা মহামারি পুনরায় ভয়াবহ রূপ লাভ করার খবর ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপী। অপর পক্ষে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ পুরো একটি বছর অতিক্রম করলেও থামার কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। বরং পশ্চিমা বিশ্ব, নেটোজোট, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক পক্ষকে সহায়তা করে যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করতে আদাজল খেয়ে নেমেছে। অন্যপক্ষে পরাশক্তি খ্যাত রাশিয়া যুদ্ধে জেতার জন্য শেষ অস্ত্র হিসেবে পারমাণবিক বোমা ব্যবহারের পক্ষে দৃঢ়তার লক্ষণ দেখিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্বযুদ্ধ তথা পারমাণবিক যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে বিশ্ব ঘুরপাক খাচ্ছে। পারমাণবিক যুদ্ধ লেগে গেলে সমগ্র বিশ্বের ৯০ ভাগ মানুষ ধ্বংস হয়ে যাবে। বিশ্বের প্রায় ১০টির মতো রাষ্ট্রে পারমাণবিক বোমা মজুদ আছে। তৎমধ্যে পারমাণবিক শক্তির অধিকারী দেশগুলো দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়ছে। সুতরাং একটি পক্ষ ইউক্রেনকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে গিয়ে সমগ্র বিশ্ব মানবতাকে ধ্বংস করে দেয়ার পাঁয়তারা করছে। আমরা চাইনা বিশ্বে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হোক। আমরা চাই পৃথিবীতে ডাবল স্টেন্ডার্ড প্রবণতা বন্ধ হোক। বিশ্বে একটি পক্ষ গণতন্ত্র, মানবতা, মানবাধিকার ইত্যাদি সুন্দর সুন্দর ¯েøাগান প্রচার করে বহু দেশের জনগণের প্রাণ নাশ করে নজির রেখেছে। আবার তারা দাজ্জালি চোখে ইসরায়লিদের মানবতা বিধ্বংসী কর্মকাÐে চুপচাপ থাকছে। কিন্তু ইউক্রেনের পক্ষে মানবতা রক্ষায় মায়া কান্না করে যাচ্ছে। যার পরিণতিতে বিশ্ব আরেকটি বিশ্বযুদ্ধের মুখোমুখি হচ্ছে। পৃথিবী ও পৃথিবীর মানুষ চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে সময় পার করছে। এমন বৈশ্বিক অবস্থাতে দেশে অবৈধ মাদক চোরাকারবারীদের তৎপরতা একটুও থেমে নেই।
দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার এক প্রতিবেদন হতে জানা যায়, লোহাগাড়ায় পানির জারবাহী ভ্যান হতে দেড় লাখ ইয়াবা উদ্ধারের খবর। দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার অন্যএক প্রতিবেদন হতে জানা যায়, অ্যাম্বুলেন্সে ১১ লাখ টাকার গাঁজা পাওয়া যাওয়ার খবর। মাদক চোরাকারবারীরা দেশের সবধরনের জরুরি পরিবহনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হয়রানির আওতায় নিয়ে এসে সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিচ্ছে। যে কারণে বর্তমানে যেকোন জরুরি পরিষেবার যানবাহন, কাভার্ডভ্যান, অ্যাম্বুলেন্স সব কিছুকে জরুরি তল্লাশির আওতায় রাখতেই হবে। না রেখে কোন উপায় নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন সোর্স হতে খবর পেয়ে কিছু জরুরি পরিষেবামূলক পরিবহনে তল্লাশি চালিয়ে অবৈধমাদক দ্রব্য জব্দ করছে। কিন্তু অনেক জরুরি পরিষেবামূলক যানবাহনে করে অবৈধ মাদক সরবরাহ লাইন চলছে। সাধারণত মাদক চোরাচালান বন্ধ করতে পুলিশ খবর পেলেই তৎপর হচ্ছে। অথচ সার্বিক মাদক চোরা চালান বন্ধে তাদের কোন জোর তৎপরতা দেখা যায় না।
এদেশে অপকর্মের সাথে লিপ্তজনেরা থেমে নেই। একশ্রেণির অসাধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য এর সাথে জড়িত বলেও দাবী রয়েছে সাংবাদিকদের। সুতরাং দেশে বৈধ ব্যবসায় অস্থির অবস্থা চলছে। অবৈধ ব্যবসা দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক স্থিতিশীলতাকে উত্তরোত্তর ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। মানবতা বিধ্বংসী পতনোন্মুখ বিশ্বের প্রেক্ষাপটে দেশে অবৈধ মাদকের দৌরাত্ম্য দেশের অর্থনীতি ও স্থিতিশীলতাকে আরো ধ্বংস সংক‚ল করে তুলবে। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত দেশের যানবাহন গুলোর সহায়তায় যারা মাদক চোরাচালানে লিপ্ত তাদের পাশাপাশি দেশের মাদক চোরাচালান বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এগিয়ে আসবে দেশের সরকার, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী- এমন আশা সমগ্র দেশবাসীর।অবৈধ মাদক পরিবহন থামাতে আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীকে আরো সতর্ক হতে হবে

বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইত্যাদি বৈশ্বিক সমস্যা মোকাবেলা করতে দেশের সরকার হাফিয়ে উঠছে। একদিকে চীনে করোনা মহামারি পুনরায় ভয়াবহ রূপ লাভ করার খবর ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপী। অপর পক্ষে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ পুরো একটি বছর অতিক্রম করলেও থামার কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। বরং পশ্চিমা বিশ্ব, নেটোজোট, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক পক্ষকে সহায়তা করে যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করতে আদাজল খেয়ে নেমেছে। অন্যপক্ষে পরাশক্তি খ্যাত রাশিয়া যুদ্ধে জেতার জন্য শেষ অস্ত্র হিসেবে পারমাণবিক বোমা ব্যবহারের পক্ষে দৃঢ়তার লক্ষণ দেখিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্বযুদ্ধ তথা পারমাণবিক যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে বিশ্ব ঘুরপাক খাচ্ছে। পারমাণবিক যুদ্ধ লেগে গেলে সমগ্র বিশ্বের ৯০ ভাগ মানুষ ধ্বংস হয়ে যাবে। বিশ্বের প্রায় ১০টির মতো রাষ্ট্রে পারমাণবিক বোমা মজুদ আছে। তৎমধ্যে পারমাণবিক শক্তির অধিকারী দেশগুলো দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়ছে। সুতরাং একটি পক্ষ ইউক্রেনকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে গিয়ে সমগ্র বিশ্ব মানবতাকে ধ্বংস করে দেয়ার পাঁয়তারা করছে। আমরা চাইনা বিশ্বে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হোক। আমরা চাই পৃথিবীতে ডাবল স্টেন্ডার্ড প্রবণতা বন্ধ হোক। বিশ্বে একটি পক্ষ গণতন্ত্র, মানবতা, মানবাধিকার ইত্যাদি সুন্দর সুন্দর ¯েøাগান প্রচার করে বহু দেশের জনগণের প্রাণ নাশ করে নজির রেখেছে। আবার তারা দাজ্জালি চোখে ইসরায়লিদের মানবতা বিধ্বংসী কর্মকাÐে চুপচাপ থাকছে। কিন্তু ইউক্রেনের পক্ষে মানবতা রক্ষায় মায়া কান্না করে যাচ্ছে। যার পরিণতিতে বিশ্ব আরেকটি বিশ্বযুদ্ধের মুখোমুখি হচ্ছে। পৃথিবী ও পৃথিবীর মানুষ চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে সময় পার করছে। এমন বৈশ্বিক অবস্থাতে দেশে অবৈধ মাদক চোরাকারবারীদের তৎপরতা একটুও থেমে নেই।
দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার এক প্রতিবেদন হতে জানা যায়, লোহাগাড়ায় পানির জারবাহী ভ্যান হতে দেড় লাখ ইয়াবা উদ্ধারের খবর। দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার অন্যএক প্রতিবেদন হতে জানা যায়, অ্যাম্বুলেন্সে ১১ লাখ টাকার গাঁজা পাওয়া যাওয়ার খবর। মাদক চোরাকারবারীরা দেশের সবধরনের জরুরি পরিবহনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হয়রানির আওতায় নিয়ে এসে সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিচ্ছে। যে কারণে বর্তমানে যেকোন জরুরি পরিষেবার যানবাহন, কাভার্ডভ্যান, অ্যাম্বুলেন্স সব কিছুকে জরুরি তল্লাশির আওতায় রাখতেই হবে। না রেখে কোন উপায় নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন সোর্স হতে খবর পেয়ে কিছু জরুরি পরিষেবামূলক পরিবহনে তল্লাশি চালিয়ে অবৈধমাদক দ্রব্য জব্দ করছে। কিন্তু অনেক জরুরি পরিষেবামূলক যানবাহনে করে অবৈধ মাদক সরবরাহ লাইন চলছে। সাধারণত মাদক চোরাচালান বন্ধ করতে পুলিশ খবর পেলেই তৎপর হচ্ছে। অথচ সার্বিক মাদক চোরা চালান বন্ধে তাদের কোন জোর তৎপরতা দেখা যায় না।
এদেশে অপকর্মের সাথে লিপ্তজনেরা থেমে নেই। একশ্রেণির অসাধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য এর সাথে জড়িত বলেও দাবী রয়েছে সাংবাদিকদের। সুতরাং দেশে বৈধ ব্যবসায় অস্থির অবস্থা চলছে। অবৈধ ব্যবসা দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক স্থিতিশীলতাকে উত্তরোত্তর ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। মানবতা বিধ্বংসী পতনোন্মুখ বিশ্বের প্রেক্ষাপটে দেশে অবৈধ মাদকের দৌরাত্ম্য দেশের অর্থনীতি ও স্থিতিশীলতাকে আরো ধ্বংস সংক‚ল করে তুলবে। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত দেশের যানবাহন গুলোর সহায়তায় যারা মাদক চোরাচালানে লিপ্ত তাদের পাশাপাশি দেশের মাদক চোরাচালান বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এগিয়ে আসবে দেশের সরকার, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী- এমন আশা সমগ্র দেশবাসীর।