নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামের সিএনজি ফিলিং স্টেশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও দুর্ঘটনারোধে করণীয় বিষয়ে স্টক হোল্ডারগণের সাথে মতবিনিময় করেছে বিস্ফোরক অধিদপ্তর। গতকাল সকালে আগ্রাবাদের চট্টগ্রাম তথ্য অধিদপ্তরের (পিআইডি) সম্মেলন কক্ষে অবহিতকরণ ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা শীর্ষক সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিস্ফোরক অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. তোফাজ্জল হোসেন।
সভাপতির বক্তব্যে বিস্ফোরক পরিদর্শক মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, দুর্ঘটনা প্রতিরোধকল্পে সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মেশিনারিজগুলো প্রত্যেকদিন ফিলিং স্টেশন চালু হওয়ার আগে চেক করতে হবে। ফিলিং স্টেশনের ক্যাসকেডে রক্ষিত সিলিন্ডারগুলো নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে। গাড়িতে গ্যাস সরবরাহের সময় গাড়িতে যেন যাত্রী না থাকে, সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে হবে। গাড়িতে গ্যাস সরবরাহের সময় ফিলিং স্টেশনে দৃশ্যমান স্থানে ‘গাড়ি হতে নামতে হবে’ মর্মে সাইনবোর্ড লাগাতে হবে।
এছাড়া সিএনজি স্টেশনে গ্যাসের চাপ কম থাকলে দ্বিতীয়বার গাড়িতে গ্যাস সরবরাহ না করা এবং গাড়িতে সংযুক্ত সিলিন্ডার ব্যতীত অন্যকোন সিলিন্ডার অথবা অবৈধ কাভার্ডভ্যানে রক্ষিত গুচ্ছ সিলিন্ডারে গ্যাস সরবরাহ না করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিস্ফোরক অধিদপ্তরের সহকারী বিস্ফোরক পরিদর্শক এসএম শাখাওয়াত হোসেন, সহকারী বিস্ফোরক পরিদর্শক মো. ওবায়েদ উল্লা।
চট্টগ্রাম সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোর পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন বেবিউ ফিলিং স্টেশনের মালিক মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল আলম চৌধুরী, ফোর স্টার সিন্ডিকেট সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মালিক আনোয়ার হোসেন, হাজী অলি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মালিক মো. সেলিম, চিশতী ফিলিং স্টেশনের মালিক এডভোকেট ফরিদুল আলম, ফুয়েল প্লাসের পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম, পতেঙ্গা ফিলিং স্টেশনের মালিক জাহিদ হাসান, স্পিডটেক ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার ফরহাদ প্রমুখ।
