অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী

40

বাঁশখালী পুঁইছড়ি ইউনিয়নে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ৫০০ শতাধিক পরিবার। বালু উত্তোলনের কারণে পাহাড়ি ছড়ার গভীরতা বাড়ায় ব্যাপক ভাঙনের মুখে পড়েছে এসব পরিবার। যে কারণে দ্রæত সময়ের মধ্যে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার পূর্বদেশকে বলেন, আমি গতকাল পুঁইছড়ির পানিবন্দি এলাকা পরিদর্শন করেছি। অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। বিষয়টি যখন জেনেছি অবশ্যই খোঁজ নিব। এতে কেউ জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নিব।
স্থানীয় বাসিন্দা আইনজীবী মনিরুল ইসলাম বাবুল পূর্বদেশকে বলেন, জলদী রেঞ্জের পুঁইছড়ি বিট এলাকায় সরকার বালু উত্তোলনের জন্য লিজ দিয়েছে। কিন্তু বালু উত্তোলনের নির্ধারিত এলাকা বাদ দিয়ে বারদোনা বয়রা গাছতলা থেকে বালু তোলা হচ্ছে। এতে পাঁচ শতাধিক পরিবারের বসতভিটা ছড়ায় ভেঙে যাচ্ছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য পুতু মেম্বার এ বালুমহালটি ইজারা নিয়েছেন। সেখানে ১৮টি মেশিন বসিয়ে নিয়মিত বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এগুলো বন্ধে এলাকাবাসী আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ইউপি সদস্য তফাজ্জল হোসেন পুতু মিয়া পূর্বদেশকে বলেন, আমি ইজারাদার নই। ইজারাদার আমার ভাতিজা কুতুব উদ্দিন। তাকে আমি সহযোগিতা করি। আমরা নির্ধারিত এলাকা থেকেই বালু তুলি। বাকি স্থানগুলোতে অবৈধভাবে বালু তুলছে অন্যরা। সেখানে অনেকগুলো মেশিন বসানো হয়েছে। কারা বালু তুলছে সবই মানুষ জানে। তাদের অনেক ক্ষমতা। বাধা দিলেই আমাদের বিরুদ্ধে নামবে।