অবশেষে বে-টার্মিনালের ‘স্বপ্নযাত্রা’ শুরু

62

দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবশেষে বে-টার্মিনালের ‘স্বপ্নযাত্রা’ শুরু হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০ ফুটের বেশি উঁচু করে মাটি ভরাট করা হচ্ছে ৪০০ একর জমিতে। যেখানে তৈরি হবে চট্টগ্রাম বন্দরের ডেলিভারি ইয়ার্ড ও ট্রাক টার্মিনাল। এ দুইটি স্থাপনা হয়ে গেলে চট্টগ্রাম বন্দর কেন্দ্রিক ৫ হাজার ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও প্রাইম মুভার (লরি) চলাচল বন্ধ হবে বন্দর এলাকায়। ফলে যানজট, দুর্ঘটনা কমবে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ম্যানেজার (এস্টেট) জিল্লুর রহমান জানান, মঙ্গলবার (গতকাল) থেকে ৭টি স্কেভেটার ও অর্ধশতাধিক ডাম্প ট্রাক মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেছে। বাংলাদেশে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০ ফুটের বেশি উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হয়নি। তাই বে-টার্মিনালের জন্য সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০ ফুটের বেশি উঁচুতে স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। যদিও প্রাথমিকভাবে ডেলিভারি ইয়ার্ড হবে ৫০ একর জুড়ে। ধাপে ধাপে এটি বাড়ানো হবে। টার্মিনালে রাখা যাবে ১০ হাজার ট্রাক। এটি হওয়ার পর বন্দর টোল রোড সিল করে দিয়ে হুক পয়েন্ট থেকে সরাসরি কনটেইনার বে-টার্মিনালের ডেলিভারি ইয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে দক্ষিণ চট্টগ্রামমুখী কনটেইনার কর্ণফুলী টানেল এবং ঢাকা-নারায়ণগঞ্জমুখী কনটেইনার ফৌজদারহাট দিয়ে চলে যাবে। নগরের ওপর বন্দর কেন্দ্রিক গাড়ির চাপ থাকবে না।
তিনি জানান, সপ্তাহখানেকের মধ্যে চারটি ড্রেজারের সাহায্যে সাগর থেকে বালু তুলে ৪০০ একর জায়গা ভরাটের কাজ শুরু করা হবে। ২টি ড্রেজার ২২ ইঞ্চি ব্যাসের এবং ২টি ২৪ ইঞ্চি ব্যাসারে পাইপের সাহায্যে বালু তুলবে। কয়েক দিনের মধ্যেই ড্রেজিংয়ের পাইপ লাইন বসানোর
কাজ শুরু হবে। সব কিছু করা হচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মাধ্যমে। খবর বাংলানিউজের
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনকে আনুষ্ঠানিকভাবে বে-টার্মিনাল এলাকার ব্যক্তিমালিকানাধীন জমির মূল্যবাবদ টাকা পরিশোধ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর বাইরে খাসজমি নেওয়া হচ্ছে প্রায় ৯০০ একর। সমুদ্র থেকে ভূমি পুনরুদ্ধার করার পর বে-টার্মিনালের মোট জমির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ২ হাজার ৫০০ একর। বর্তমানে বছরে ২ শতাংশ ফসলী জমি নষ্ট হচ্ছে বসতবাড়ি নির্মাণ ও শিল্পায়নের কারণে। সাগর থেকে বেশিরভাগ ভূমি পুনরুদ্ধার করে বে টার্মিনাল করায় এটি হবে এক্ষেত্রে আশীর্বাদ।