অপহরণকারী বাবা-মাসহ গ্রেপ্তার

11

হাটহাজারী প্রতিনিধি

হাটহাজারীতে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অপহরণ করা হয় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে। এ ঘটনার ১৫ দিন পর ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে র‌্যাব-৭। এসময় ৩ ব্যক্তিকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, বাঁশখালী উপজেলার চনুুয়া গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল করিম (৫৩), তার স্ত্রী সাবিহা সুলতানা (৪৫) ও ছেলে মো. মোদাসসির (২৫)।
গতকাল বুধবার বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব-৭ এর হাটহাজারী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহফুজুর রহমান। তিনি জানান, নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ১৫ বছর বয়সী এক ছাত্রী প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনার ১৫ দিন পর গত মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর পতেঙ্গা থানাধীন নাজিরপাড়া এলাকায় একটি বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
র‌্যাব জানায়, গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে বসতঘরে বিদ্যুৎ না থাকায় ঘরের উঠানে গেলে সেখানে মোদাসসির ও অজ্ঞাতনামা ২ থেকে ৩ জন ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক টানা হেঁচড়া করে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানার পর ছাত্রীর মা মোদাসসিরের ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন করে তার মেয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে সে তার মেয়েকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে রেখেছে বলে স্বীকার করে। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা অপহরণকারী মোদাসসির এবং অজ্ঞাতনামা ২ থেকে ৩ জনকে আসামি করে হাটহাজারী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলার সূত্র ধরে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার এবং এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে কক্সবাজার জেলার পেকুয়া এবং পরবর্তীতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রেখেছিলো বলে স্বীকার করে। এর মধ্যে গত ৩ অক্টোবর তারা কক্সবাজার হতে বাস যোগে এসে চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা থানাধীন নাজিরপাড়া এলাকার একটি বাসায় উঠে। ওই বাসা হতে স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। আটককৃত আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র‌্যাব।