অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সাম্প্রদায়িক হামলা

17

 

কৈবল্যধাম বোর্ড অব ট্রাস্টের উদ্যোগে গত ২২ অক্টোবর শুক্রবার বেলা ১১টায় কৈবল্যধাম পাদদেশে নোয়াখালীস্থ চৌমুহনী শ্রীশ্রী ঠাকুর রামচন্দ্র দেবের সমাধি ক্ষেত্র মন্দির, চৌমুহনী ইস্কন মন্দির, রাধাগোবিন্দ জিউর মন্দির, কালী মন্দির, লোকনাথ মন্দির, কুমিল্লা, চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন মঠ, মন্দির ও দুর্গাপূজা মন্ডপসহ সনাতনী সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘর লুঠপাট, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং ঠাকুরের চিত্রপট বিগ্রহ ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদসভা মোহন্ত মহারাজ কালীপদ ভট্টাচার্য্য সভাপতিত্বে ও অজয় মিত্র শংকু’র পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক এড. রানা দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, এদেশের স্বাধীনতা অর্জনে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান সহ সকলের ঐক্যবদ্ধ অবদান চিরস্মরণীয়। এদেশে ১৯৭১ সালের পরবর্তী সময়ে বার বার দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন নিপীড়ন এবং সম্পত্তির জবর দখল সহ বিভিন্ন জুলুম অত্যচার সংঘঠিত হয়ে আসছে। কিন্তু প্রশাসনের উদাসিনতার কারণে সন্ত্রাসী ও অপরাধীরা পার পেয়ে গেছে। এতে অপরাধীদের অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সাম্প্রতিক সময়ে সাম্প্রদায়িক হামলা। মোহন্ত মহারাজ কালীপদ ভট্টাচার্য্য বলেন, শ্রীশ্রী রামঠাকুর মন্দিরের প্রতিষ্ঠার ৭২ বছর পর নোয়াখালীতে এই প্রথম ন্যাক্কারজনক ঘটনা সংঘঠিত হয়। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ও নোয়াখালীতে এমন ঘটনা ঘটেনি। সরকার প্রধানের কাছে আকুল আবেদন, সকল মঠ, মন্দির ও সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘরে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও সন্ত্রাসী হামলায় মন্দিরের ক্ষতিগ্রস্থ স্থাপনা সমূহের যথাযথ ক্ষতিপূরণ সহ পুনঃনির্মাণের দাবি জানান। বক্তব্য রাখেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী, লীলারাজ গৌরদাস ব্রহ্মচারী, রুপেশ মহারাজ, এড. নিতাই প্রসাদ ঘোষ, ট্রাস্টি বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক গোপাল দত্ত, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সজল চৌধুরী, প্রদীপ দত্ত, নারায়ন পাল, মনি লাল দাশ, স্বপন কুমার পালিত, রঞ্জিত কুমার দে, ইঞ্জিনিয়ার সুজিত বসাক, রঞ্জিত সাহা, সমীর পাল, চন্দ্র শেখর দাশ, বাবলা মিত্র, দিলীপ দে, প্রতাপ চৌধুরী, নির্জল সাহা সহ বিভিন্ন মঠ-মন্দির থেকে আগত মহারাজ ও আশ্রম ভক্তবৃন্দ।