অন্যায়কারীদের ধরার সাহস শেখ হাসিনার আছে

35

ক্যাসিনো ও জুয়ার বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনার সাহস আছে, অন্যায় যারা করে তাদের ধরার। সে যে দলেরই হোক, যে কেউ হোক। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মানিক মিয়া হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘ইনডেমনিটি – এক কালো অধ্যায়, ভুলিনি এবং ভুলবো না’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
বিএনপির উদ্দেশে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আজ বিএনপির লোকেরা ক্যাসিনো নিয়ে অনেক বেশি সোচ্চার। শেখ হাসিনার সাহস আছে অন্যায়কারীদের ধরার, সে যে দলেরই হোক। যারা এতিমের টাকা মেরে খায়, বিএনপি তাদের বাদ দেওয়ার সাহস করতে পারে না। যারা দুর্নীতি করে, তাদের বিরুদ্ধে একমাত্র শেখ হাসিনাই একশন নিতে পারেন। তিনিই পারেন বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে। তিনি বলেন, তাদের দলের আরেকজন যিনি দুর্নীতির কারণে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পলাতক, তাকে দু’টো গালিও দিতে পারে না বিএনপি। শুধু বড় বড় কথা বলতে পারেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি আমাদের শেখাবেন না। তার কারণ হচ্ছে আপনাদের নেতা থেকে শুরু করে, আপনাদের দলের প্রত্যেকের মাথা পযন্ত দুর্নীতিতে ডুবে আছে। আমরা আপনাদের বিচার করছি বলেই আজকে আপনাদের এতো চিল্লাচিল্লি।
আনিসুল হক বলবেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সাল থেকেই বাঙালির স্বাধীকারের জন্য আন্দোলন করেছেন। বাংলাদেশে আরও অনেক নেতার কথা বলা যায়, কিন্তু সবার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর একটাই পার্থক্য, তিনি কোনোদিন বাঙালি ও বাংলাদেশের স্বাধীকারের প্রশ্নে আপস করেননি। তিনি লোভ-লালসার বশবর্তী হয়ে জনগণের কথা ভুলে যাননি। তিনি সবসময় দেশ ও দেশের মানুষের কষ্ট নিজের ঘাড়ে নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত থাকার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কর্নেল ফারুক ও রশিদ যখন জিয়াউর রহমানকে গিয়ে বলেন, তারা শেখ মুজিবকে হত্যা করতে চান, তখন জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, আমি তো করতে পারবো না, তোমরা করলে আমাদের অসুবিধা নেই। এটা খুনিরাই স্বীকার করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের অন্যতম ষডযন্ত্রকারী জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি জিয়াউর রহমানের আমলে কী হয়েছিল। আমরা দেখেছি আমাদের পিতা-মাতা কীভাবে অত্যাচারের শিকার হতেন। আমাদের লজ্জা ঢাকার জায়গা ছিল না- যখন খুনি রশিদ, খুনি ফারুক বক্তৃতা দিত ফ্রিডম পার্টির নামে। আমরা এসব দেখেছি। কিন্তু আমাদের বর্তমান প্রজন্ম, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এগুলো দেখেনি। তাদের এসব জানাতে হবে। তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান ও খুনি খন্দকার মোশতাক পাকিস্তানের মোহে মোহিত হয়ে গিয়েছিলেন। তারা চেয়েছিলেন, বাংলাদেশ একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র হোক। বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হলে জনগণ বঙ্গবন্ধুকে ভুলে যাবে ও আমরা পাকিস্তানের আরও কাছাকাছি চলে যাবো। কনফেডারেশন না হোক, অন্তত সেকেন্ড পাকিস্তান হবে বাংলাদেশ- এটাই ছিল তাদের মূল পরিকল্পনা। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আইনের শাসন মানেন বলেই আইনের মাধ্যমে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ যে একটি কালো আইন সেটা প্রমাণ করার সুযোগ দিয়েছেন এবং প্রমাণ করেছেন। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার করিয়েছেন। যুদ্ধাপরাধী এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ যারা করেছেন তাদের বিচার হয়েছে শেখ হাসিনার কারণে। আমরা দেখেছি যত অন্যায় আছে সবকিছুর বিচার কিন্তু শেখ হাসিনার আমলেই হয়েছে।
সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অভিনেতা ড. এনামুল হক, আজিজুল হাকিম, রিয়াজ, আমিরুল হক চৌধুরী, মান্নান হিরা প্রমুখ।