পূর্বদেশ ডেস্ক
চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের উপ-নির্বাচনে অনিয়ম হলে অনিয়মে জড়িত প্রার্থীর দলকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। আর প্রার্থীর জন্য একই অপরাধে সর্বোচ্চ জরিমানা করা হবে ২০ হাজার টাকা। বাতিল করা হতে পারে প্রার্থীতাও।
দল ও প্রার্থীর এই জরিমানা করা হবে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি বা নির্বাচনী তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে।ইসির আইন শাখার উপ-সচিব মো. আব্দুছ সালাম জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আবু সালেম মোহাম্মদ নোমান এবং সিনিয়র সহকারী জজ মোহাম্মদ কফিল উদ্দিনের সমন্বয়ে নির্বাচনী তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি কারো অভিযোগের ভিত্তিতে বা নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন অনিয়ম তদন্ত করবে। তাদের সঙ্গে থাকবে দুইজন অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য। কমিটির কার্যপরিধি সংক্রান্ত এক আদেশে বলা হয়েছে- নির্বাচন পূর্ব সময়ে (তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটের ফল গেজেট আকারে প্রকাশ পর্যন্ত সময়) আচরণ বিধি লঙ্ঘন, কোনো প্রার্থীর নামে অপপ্রচার, ভয়ভীতি প্রদর্শন বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে উল্লেখিত যে কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে কমিটি সে বিষয়ে তদন্ত করবে। সেই তদন্ত সাপেক্ষে নির্বাচন কমিশনকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করবে। এক্ষেত্রে তদন্ত শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ই-মেইলে সুপারিশ করার জন্য কমিটিকে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
নির্বাচন কমিশন সেই সুপারিশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রার্থী ওই ধরনের অপরাধ তাৎক্ষণিক বন্ধের জন্য নির্দেশনা দেবে। আর সেটা পালন না হলেই জরিমানা দিতে হবে ২০ হাজার টাকা। এছাড়া সংশ্লিষ্ট দলকে জরিমানা গুণতে হবে ১ লাখ টাকা। আর কমিশন চাইলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতাও বাতিল করতে পারবে। খবর বাংলানিউজের
গণপ্রতিধিত্ব আদেশ ৯১ (এ) দফার ৮ ও ৯ ধারা অনুযায়ী কমিটির সামনে যে কোনো কার্যক্রম দন্ডবিধির ১৯৩ ও ২২৮ ধারার বিধান অনুযায়ী বিচার বিভাগীয় কার্যক্রম হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া দেওয়ানি কার্যবিধির অধীন মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে দেওয়ানি আদালতের যে কোনো ব্যক্তির উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ ও শপথপূর্বক তাকে পরীক্ষণ এবং দলিল দস্তাবেজ উপস্থাপনের ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া সংক্রান্ত যেসব ক্ষমতা রয়েছে সেগুলো কমিটির থাকবে।