‘অনরা ক্যান আছন? গম আছন নি? তোঁয়ারার লাই আঁর পেট পোরেদ্দে

50

রাহুল দাশ নয়ন

চট্টগ্রামকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভালোবাসেন সেটা অনেকেই বিশ্বাস করেন। তাঁর বহিঃপ্রকাশ ঘটালেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা নিজেই। বক্তব্য দিতে এসেই সবাইকে সালাম জানিয়ে চাটগাঁ ভাষায় জানতে চাইলেন, ‘অনরা ক্যান আছন? বেগ্গুন গম আছন নি? তোয়ারার লাই আঁর পেট পুরের। তাই আজ আই আইছি।’ প্রধানমন্ত্রীর মুখে এমন কথা শুনেই পুরো জনসভাস্থল ও আশপাশে উপস্থিত থাকা মানুষ চিৎকার দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কথার জবাব দিয়ে বলেন, ‘আমরা সবাই ভালো আছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম আমাদের সবচেয়ে প্রিয় জায়গা ছিল। আমার বাবা জেল থেকে বের হলেই প্রতিবছর আমাদের নিয়ে বেড়াতে আসতেন। ১৯৬১ সালের পর অনেকবার এসেছি। এখানে আসলেই অনেক নেতাকর্মীর কথা মনে পড়ে। চট্টগ্রাম সমস্ত আন্দোলন-সংগ্রামের সূতিকাগার। মহান মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের নেতারা সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন। এখানে আসতে পেরে আমি আনন্দিত।
গতকাল রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর পলোগ্রাউন্ডে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই বাংলার মাটিতে আবার যেন ওই যুদ্ধাপরাধী খুনির দল ক্ষমতার এসে দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, তার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এই দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে আমরা দেব না। কারণ জামায়াত-বিএনপি খুনির দল, যুদ্ধাপরাধীর দল, জাতির পিতাকে হত্যাকারী মদদদানকারীর দল, এমনকি আমাকেও বারবার হত্যার চেষ্টা করেছে।
বেলা ১২টা ২০ মিনিটে জনসভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। তার আগে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করেন শিল্পীরা। চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে জনসভায় সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমেদ সভাপতিত্ব করার জন্য নাম প্রস্তাব করলে তা সমর্থন করেন উত্তর জেলার সভাপতি এম এ সালাম। শুরুতে প্রয়াত নেতাদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বেলা ৩টা ৫ মিনিটে মঞ্চের দিকে আসেন জনসভার প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুরুতেই ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ছয়টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান। এসময় জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের খতিব আবু তালেব দেশের মঙ্গল কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন। এরপরেই জনসভা মঞ্চে উঠে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান তিনি।
জনসভায় যাওয়ার আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ-এ যোগদান এবং সেখানে বক্তব্য রাখেন। সেখান থেকে দুপুরে হেলিকপ্টারে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে নামেন। স্টেডিয়াম থেকে গাড়িতে প্রধানমন্ত্রী পলোগ্রাউন্ডের জনসভায় যোগ দেন।
জনসভায় বক্তব্যকালে বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না, ২০১৩ থেকে শুরু করল অগ্নিসন্ত্রাস। লঞ্চ-ট্রেন-রাস্তায় আগুন, গাছ কেটে ফেলছে, চারিদিকে শুধু অগ্নিসন্ত্রাস। যাদের মধ্যে মনুষত্ব আছে তারা কী এভাবে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করতে পারে? তাদের আন্দোলন হচ্ছে মানুষ খুন করা। বিএনপির দুটি গুণ, ভোট চুরি আর মানুষ খুন। ভোট পাবে না বলে বিএনপি নির্বাচনে না গিয়ে সরকার উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করতে চায়। ওরা (বিএনপি) জানে ইলেকশন হলে জনগণ তাদের ভোট দেবে না। তাই তারা ইলেকশন চায় না, তারা সরকার উৎখাত করে, এমন কিছু আসুক যারা একেবারে নাগরদোলায় করে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে এটাই তারা আশা করে, এটাই তাদের বাস্তবতা। তারা জনগণের তোয়াক্কা করে না।
তিনি বলেন, ওরা ভোটে যেতে চায় না। জিয়াউর রহমান যেমন জাতির পিতাকে হত্যা করে, সংবিধান লঙ্ঘন করে, সেনা আইন লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করেছিল তেমনি ওদের ধারণা ওইভাবেই তারা ক্ষমতায় যাবে। গণতান্ত্রিক ধারা তারা পছন্দ করে না। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, সেই ১০ ডিসেম্বর বিএনপির খুব প্রিয় একটা তারিখ। বোধহয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পদলেহনের দোসর ছিল বলেই ১০ ডিসেম্বর তারা ঢাকা শহর নাকি দখল করবে। আর আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করবে। আমি তাদের বলে দিতে চাই, খালেদা জিয়া ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিল। আর ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিল বলেই তাকে বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেয়নি। সারা বাংলাদেশ ফুঁসে উঠেছিল। জনতার মঞ্চ করেছিলাম আমরা। খালেদা জিয়া বাধ্য হয়েছিল পদত্যাগ করতে। দেড় মাসও যায়নি, খালেদা জিয়া পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিল। সে কথা বিএনপির মনে রাখা উচিত। জনগণের ভোট যদি কেউ চুরি করে বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেয় না। ওরা তা ভুলে গেছে। বিএনপি-জামায়াত, যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতাবিরোধীরা যাতে আর ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
১৫ আগস্ট বিদেশে থাকার কারণে ছোট বোন রেহানাসহ নিজের বেঁচে যাওয়ার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছয়টা বছর দেশে আসতে পারিনি। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল। আমাকে দেশে আসতে দেয়নি। রেহানার পাসপোর্টটা রিনিউ করতে দেয়নি। বরং খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল। বিচার করা যাবে না, সেই বিচারহীনতার সংস্কৃতি এনেছিল দেশে। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি, জনগণের প্রতি। আর শুকরিয়া আদায় করি আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের কাছে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আপনারা একবার ভেবে দেখেন, যেখানে যুদ্ধাপরাধীরা ক্ষমতায়, আমার বাবা-মায়ের হত্যাকারীরা ক্ষমতায়, আমি সেই দেশে সব কিছু ত্যাগ করে ফিরে এসেছিলাম কেন? এই বাংলাদেশের মানুষের জন্য। যে মানুষের জন্য আমার বাবা সারাটা জীবন সংগ্রাম করেছেন। আমার মা জীবনে কিছুই চাননি। তার জীবনটাও তিনি উৎসর্গ করেছেন, এই দেশের মানুষের জন্য।
মানুষের পাশে দাঁড়াতেই দেশে ফিরেছিলেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাবা-মা-ভাই সব হারিয়ে ফিরে এসেছি বাংলার মানুষের জন্য। কেন? যেন এই দেশের মানুষ পেটভরে ভাত খেতে পারে। তাদের বাসস্থান হবে, চিকিৎসা হবে, শিক্ষা হবে উন্নত জীবন পাবে; বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনকারী দেশ। সেই বিজয়ী দেশ হিসাবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবো, আমরা যেন সেইভাবে বাংলাদেশকে গড়তে পারি। আপনাদের দোয়ায় আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে নিজের জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। আপনাদের সহযোগিতা চাই, এই বাংলার মাটিতে আবার যেন ওই যুদ্ধাপরাধী খুনির দল ক্ষমতার এসে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে। তার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এই বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে আমরা দেব না। কারণ জামায়াত-বিএনপি খুনির দল, যুদ্ধাপরাধীর দল। জাতির পিতাকে হত্যাকারী মদদদানকারীর দল। এমনকি আমাকেও বারবার হত্যার চেষ্টা করেছে। কাজেই তারা যেন এই মানুষের রক্ত চুষে খেতে না পারে, আর যেন দেশে ক্ষমতায় আসতে না পারে।
চট্টগ্রামের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্র সম্পদ আমাদের কাজে লাগবে। মহেশখালী, বাঁশখালীতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করেছি। মিরসরাইয়ে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করেছি। মানুষের কর্মসংস্থান হবে সেই ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। প্রবাসী ব্যাংক করে দিয়েছি। জমিজমা বিক্রি করে বিদেশে যেতে হবে না। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে যান, মানুষ মুগ্ধ হবে। পোর্টের উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন করা হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রামের সড়ক ছয় লেন করা হবে। চট্টগ্রামে যাতে মেট্রোরেল হয় তার সমীক্ষা চলছে, যদি সরকারে আসি করে দিব। আমাদের চট্টগ্রাম বন্দর আরও উন্নত করার জন্য বে টার্মিনাল নির্মাণের ব্যবস্থা করেছি। আমরা কালুরঘাট সড়ক ব্রিজ, রেল ব্রিজ নতুনভাবে নির্মাণের পদক্ষেপ নিয়েছি। শাহ আমানত ব্রিজ করে দিয়েছি। চট্টগ্রামে আরও বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। এমনকি সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে স›দ্বীপে আমরা বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। সোলার প্যানেল দিচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য মানুষের উন্নয়ন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কর্ণফুলীতে একটি টানেল করে দিয়েছি। এই টানেল কিছুদিনের মধ্যে উদ্বোধন হবে। এই টানেল ব্যবহার করে আনোয়ারা হয়ে কক্সবাজার যাওয়া যাবে। আমার আজকে মনে পড়ে মহিউদ্দিন চৌধুরীর কথা। উনি সবসময় বলতেন। আমি উনাকে বলেছিলাম, আমি কর্ণফুলীতে ব্রিজ করবো না, টানেল করবো। কিন্তু দুঃখের বিষয় মহিউদ্দিন ভাই সেই টানেল দেখে যেতে পারেননি।
আগামী নির্বাচনেও টানা মেয়াদে নৌকায় ভোট দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ দেয়ার আহবান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যাওয়ার আগে একটি ওয়াদা চাই। আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন, সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। আগামীতে আপনারা ভোট দেবেন নৌকা মার্কায়, হাত তুলে বলেন। এসময় জনসভাস্থলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে হাত তুলে অঙ্গীকার করেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। অনেক দিন পর আবার আপনাদের সঙ্গে দেখা হলো। আপনারা যারা এখানে মাঠে আছেন, আসার সময় দেখতে পেলাম, বাইরে যারা আছেন, হয়ত চোখের দেখা দেখতে পাচ্ছি না। যত দূরেই থাকেন আপনারা আছেন আমার হৃদয়ে আমার অন্তরে। বাবা-মা-ভাই হারিয়ে আপেনাদের কাছেই ফিরে পেতে চাই আমার বাবার ভালবাসা, আমার মায়ের ভালোবাসা, ভাইয়ের ভালবাসা, আপনারাই আমার পরিবার। আপনাদের কাছেই আমার একমাত্র আশ্রয়। কাজেই আজকে আপনাদের কাছে এসে অত্যন্ত আনন্দিত।
চট্টগ্রামবাসীর প্রতি ভালবাসার আবেগ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিদায়ের আগে বলে যেতে চাই, ‘নিঃস্ব আমি রিক্ত আমি দেওয়ার কিছু নাই। আছে শুধু ভালবাসা দিয়ে গেলাম তাই’।
যৌথভাবে জনসভা সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান। বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, বাহাউদ্দিন নাছিম, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. আব্দুস সালাম, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাংসদ এম.এ লতিফ, দিদারুল আলম, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, মাহফুজুর রহমান মিতা ও খদিজাতুল আনোয়ার সনি, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা সহ-সভাপতি মো. ইদ্রিছ, মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, দেবাশীষ পালিত, মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, মেজবাউল হক সাচ্চু প্রমুখ।