অনন্যা আবাসিকে ফ্রোবেল স্কুলের কাস্টমাইজড ক্যাম্পাস

23

চট্টগ্রামের একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, কেমব্রিজ সহযোগী এবং এসটিইএম সার্টিফাইড স্কুল ফ্রোবেল একাডেমি বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসে অনন্যা আবাসিক এলাকায় গতকাল শনিবার তাদের কাস্টমাইজড ক্যাম্পাসটি উদ্বোধন করেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি, বিশেষ অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীন আক্তার, ভারতের সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন এবং পিএইচপি গ্রæপের প্রতিষ্ঠাতা সুফি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।
স্কুলটি ১,২৫,০০০ বর্গফুটের দৃষ্টিনন্দন একটি বিশাল ক্যাম্পাস নিয়ে গঠিত। যাতে রয়েছে রোবোটিক্স ল্যাব, রন্ধনসম্পর্কীয় ল্যাব, মেকারস্পেস, স্টেম ল্যাব, বাস্কেটবল কোর্ট, ফুটবল মাঠ, আউটডোর জিম, ট্রি হাউস, নাচ ও সঙ্গীত কক্ষসহ বিভিন্ন বহিরাঙ্গন ও ইনডোর স্পেস। স্কুলটিতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে প্রয়োজনীয় সহায়তাসম্পন্ন আলাদা বিভাগ। ব্রাইট মাইন্ডস শাইন নামের এই বিভাগে স্পিচ থেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি ইত্যাদি মাধ্যমে এইসব শিশুদের মেধাবিকাশে সহায়তা করা হয়। ক্যাম্পাসটির নকশা করেছেন ইকে আর্কিটেক্টের প্রখ্যাত স্থপতি এহসান খান।
একবিংশ শতাব্দীর প্রয়োজনীয় শিক্ষার ধরন মাথায় রেখে এবং শিক্ষণ শেখার প্রক্রিয়াকে উন্নত করার উপযোগী সমস্ত উপাদান দিয়েই স্কুলটির ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে। ফ্রোবেল একাডেমি এমন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্ব বিকাশের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে যা একটি শিশুকে জটিল বিশ্লেষণী ক্ষমতা, চিন্তাভাবনা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সময় ব্যবস্থাপনা শেখানোর পাশাপাশি ক্যামব্রিজের অনুমোদিত প্রাথমিক বিষয় যেমন গণিত, বিজ্ঞান, ইংরেজি, বাংলা, আইসিটি, ধর্মীয় শিক্ষা, গ্লোবাল স্টাডিজ, শারীরিক শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়েও জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে। এই শিক্ষাবর্ষ অবধি তারা প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শিক্ষার্থীদের একুশ শতকের গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা যেমন সৃজনশীল চিন্তাভাবনা, বিশ্লেষণাত্মক ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা এবং মানসিক বিকাশ নিশ্চিত করতে ডিজাইন ফর চেঞ্জ প্রকল্পে শিক্ষার্থীদের জড়িত করে ফ্রোবেল শিক্ষার্থীদের নিয়ে নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে থাকে যার অংশ হিসেবে ফ্রোবেলের শিক্ষার্থীরা ২০২২ সালের মার্চ মাসে তৃতীয় বারের মতো সফল জেব্রা ক্রসিং প্রকল্পটি সম্পন্ন করেছিল।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএসআরএম এর চেয়ারম্যান আলী হুসাইন আকবর আলী, পরিচালক জোহাযের তাহের আলী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমির আলী হুসেন, পরিচালক হাওরা জোহাইর এবং সাবিন আমির। খবর বিজ্ঞপ্তির