অতিরিক্ত মালামাল বোঝাই ট্রাকের ভারে সেতুটি ভেঙ্গেছে

14

বান্দরবান প্রতিনিধি

সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের যুগ্ম সচিব সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন বলেছেন, অতিরিক্ত মালামাল বোঝাই ট্রাকটি চলাচলের কারণেই সেতুটি ভেঙ্গে গেছে। পাঁচ টনের অধিক মালামাল বহনের বিধিনিষেধ থাকা সত্তে¡ও তা মানা হয়নি এখানে। রুমা-বান্দরবান সড়কে সঠিক ওজন নিয়ে যানবাহনগুলো চলাচলের ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে স্থানীয়দের এগিয়ে আসা জরুরি। গতকাল মঙ্গলবার সকালে বান্দরবান-রুমা সড়কে রোয়াংছড়ি উপজেলার মুরুং বাজার এলাকায় বেইলি সেতু ভেঙ্গে যাওয়ার দুর্ঘটনা স্থান পরিদর্শন কালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় স্থানীয় লোকজনের সাথেও কথা বলেন এবং সেতু ভেঙ্গে যাওয়ার কারণগুলো খোঁজ নেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন- তত্ত¡বধায়ক প্রকৌশলী শাহ মোহাম্মদ শামস মোছাদ্দেক চৌধুরী, সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোছলেহ্ উদ্দিন চৌধুরী, রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন শিবলী, সেনাবাহিনীর ২০ ইসিবি মেজর রিফাত ও হাইওয়ের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইমরুল হাসান।
পরিদর্শনকালে তদন্ত কমিটির প্রধান ও যুগ্ম সচিব সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন বলেন, অতিরিক্ত ওজন নিয়ে ট্রাক চলাচল করায় সেতুটি ভেঙ্গে পড়েছে, এটাই প্রাথমিকভাবে জেনেছি। দুর্ঘটনায় সেতু ভাঙ্গার আসল কারণ অনুসন্ধান করে তা করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ করবেন তিনি। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যাতে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে, সেজন্য দুই ধরনের সুপারিশ প্রতিবেদনে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটি প্রধান ফারহানা কাউনাইন।
২ ফের্রুয়ারি অতিরিক্ত মালবোঝাই ট্রাক বেইলি সেতুর উপর দিয়ে যাওয়ার সময় সেতুটি ভেঙ্গে পড়ে যায়। এ ঘটনায় আব্দুর গফুর নামে ট্রাকের চালক মারা যায়। তখন টানা তিনদিন যান চলাচল বন্ধ থাকার পর বিকল্প রাস্তা তৈরি করতে সক্ষম হয় সেনাবাহিনীর ২০ ইউসিবির কর্তৃপক্ষ। রুমা-বান্দরবান সড়কের রোয়াংছড়ি উপজেলায় ২নং তাড়াছা ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের দু’টি সীমানা রেখা পাইক্ষ্যং ঝিরির উপর নির্মিত এই বেইলি সেতুটি। সড়ক ও জনপদ বিভাগ আশির দশকের দিকে সেতুটি নির্মাণ করেছিল।