অতিরিক্ত অর্থ আদায়ে ক্ষতিগ্রস্ত পোশাক শিল্প মালিকরা

24

নিজস্ব প্রতিবেদক

পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট বন্ড ও কাস্টমস কার্যক্রমে জটিলতা নিরসন ও হয়রানির দ্রুত সমাধানের জোর দাবিতে চট্টগ্রামে বিজিএমইএ সদস্যদের এক জরুরি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় নগরীর খুলশী এলাকায় বিজিএমইএ, চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে কাস্টমস বন্ড ও কাস্টমস কর্তৃক আমদানিকৃত পণ্য চালান খালাস ও বন্ডে কার্যক্রমে বিভিন্ন জটিলতা, হয়রানিসহ অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা বলেন, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি উত্তরণের পর বর্তমানে বিপুল সংখ্যক রপ্তানি আদেশ বিদ্যমান রয়েছে। কিন্তু পোশাক শিল্পের আমদানিকৃত পণ্য চালান খালাসে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের নিম্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা এইচএস কোড সহ বিভিন্ন জটিলতা তৈরি করে শুল্কায়নে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। এসব কাজে অযথা হয়রানি করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে। ফলে পণ্য চালান খালাস বিলম্বে রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
অন্যদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক পোশাক শিল্পের রপ্তানি আদেশ দ্রুত সম্পাদনে ঢাকায় সাব-কন্ট্রাক্ট করণে বিজিএমইএর অনুমোদন প্রদান রহিত করে বন্ড কর্তৃক অনুমোদন প্রদানে কার্যক্রমে জটিলতাসহ দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও কাস্টমস্্ বন্ড কমিশনারেট কর্তৃক বন্ড লাইসেন্সে এইচএস কোড সংযোজন, বাৎসরিক নিরীক্ষা অনুমোদন, কারখানা সম্প্রসারণ, পণ্য সংরক্ষণের জন্য অতিরিক্ত গুদাম প্রদান, স্থানীয় কাপড় ব্যবহার করে রপ্তানিতে মূসক আদায়, ক্ষুদ্র ও মাঝারি বন্ধ প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স বাতিল সহ বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদনে অহেতুক জটিলতা সৃষ্টি, অতিরিক্ত অর্থ আদায় সহ প্রচুর হয়রানি শিকার হয়ে চলমান রপ্তানি আদেশ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। এবং পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সম্পাদনে কাস্টমস্্ ও বন্ডের বিদ্যমান সমস্যা সমূহ দ্রুত সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিজিএমইএ নেতাদের প্রতি জোর দাবি জানান তারা।
সভায় বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন- বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তৈরি পোশাক শিল্পের। তাই এ শিল্পের গুরুত্ব বিবেচনায় অব্যাহত প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক পোশাক শিল্পের সমস্যা সমূহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধানের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু কাস্টমস্্ ও বন্ডে পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট বিদ্যমান জটিলতা ও সমস্যার কারণে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সমস্যা সমূহ দ্রæত সমাধানের মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, কাস্টমস্্ ও বন্ডের সাথে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এসময় পোশাক শিল্পের আমদানি-রপ্তানিতে কাস্টমস্্ ও বন্ডের বিরাজমান সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও কার্যক্রম সহজীকরণের উপর আরো বক্তব্য রাখেন- বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক এমডিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, প্রাক্তন প্রথম সহ-সভাপতি এরশাদ উল্লাহ, নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, প্রাক্তন পরিচালক ফরহাত আব্বাস, অঞ্জন শেখর দাশ, লিয়াকত আলী চৌধুরী প্রমুখ।
সভায় বিজিএমইএ’র পরিচালক এএম শফিউল করিম (খোকন), মো. হাসান (জ্যাকী), এম আহসানুল হক, মিরাজ-ই-মোস্তফা কায়সার, প্রাক্তন পরিচালক হাসানুজ্জামান চৌধুরী, আমজাদ হোসেন চৌধুরী, এনামুল আজিজ চৌধুরী, মোহাম্মদ আতিক সহ পোশাক শিল্পের মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।