নিজস্ব প্রতিবেদক
অতর্কিত হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের পাঁচলাইশ থানার কর্মী সমাবেশ পন্ড হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ষোলশহর সুন্নিয়া মাদরাসা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। হামলায় অন্তত ১৪ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। স্বেচ্ছাসেবক দল এ হামলার জন্য ছাত্রলীগ-যুবলীগকে দায়ী করেছে।
আহতরা হলেন, দেলোয়ার হোসেন, ফরহাদ আজাদ, আজাদ চৌধুরী, জাকির হোসেন, বাবু, হাসান, শরিফ, আকাশ, মাসুদ রানা, ইমরান, ভুট্টো মাতব্বর, শাহেদ, ইমন ও সুজন।
নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান বলেন, তৃণমূলের কমিটি গঠনের লক্ষ্যে আমরা ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে কর্মী সমাবেশ করছিলাম। আজ (বুধবার) বিকেল ৪টায় পাঁচলাইশ ওয়ার্ডে কর্মী সমাবেশ ছিল। সুন্নিয়া মাদরাসার পাশে একটি বাড়ির প্রাঙ্গণে আমরা সামিয়ানা টাঙিয়ে সমাবেশের আয়োজন করেছিলাম। মূল সমাবেশ শুরুর প্রস্তুতি চলছিল, কর্মীরা মিছিল নিয়ে আসছিল। এসময় হঠাৎ লাঠিসোঁঠা, রামদা, হকিস্টিক নিয়ে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। তবে আমাদের কর্মীরা প্রতিরোধ করায় তারা সমাবেশস্থলে ঢুকতে পারেনি।
তিনি বলেন, তারা সশস্ত্রভাবে আমাদের উপর হামলা করে। রাস্তায় আমাদের একটি মিছিলের ওপরও আক্রমণ চালায়। আমাদের ১৫/২০ জন কর্মী আহত হয়েছে। আহতদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
জানতে চাইলে পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান বলেন, বিএনপি কর্মী সমাবেশ করছিল। সেখানে আওয়ামী লীগের লোকজন ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে অবশ্য হামলাকারী ও হামলার শিকার কাউকেই পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন আছে। লিখিত অভিযোগ করলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, অতর্কিতভাবে সশস্ত্র অবস্থায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কর্মীরা আমাদের উপর হামলা করে। আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করেছে। আহতদের নিয়ে হাসপাতালে আসার কারণে কর্মিসভা স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে, গত ২৫ মে রাতে নগরীর জিইসি মোড়ে একটি রেস্তোরাঁয় আড্ডার সময় নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের একদল নেতার ওপর হামলা হয়। এতে সংগঠনটির নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুসহ সাত জন আহত হন। স্বেচ্ছাসেবক দল ওই হামলার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছিল। তাছাড়া গত শুক্রবার বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে আসার সময় আমতল এলাকায় যুবদলের একটি বাসে হামলার ঘটনা ঘটে। তখনও বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছিল বলে জানা যায়।
