অতঃপর

31

 

সারা মাঠে ধুলি উড়িয়ে একটা যান, হয়তো বা মহান তোমার স্নেহধন্য লোক, যাকে এই উদ্ভট স্বাস্থ্য করি নিবেদন। জয় মহান স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে উজ্জীবিত। আপনি আমার কাছে সাহায্য চাই-বেন? ছিঃ ছিঃ আপনি কী বলেন। হ্যাঁ, একটা লোক জড়িয়ে আছে বুকের সঙ্গে বুক লাগিয়ে শ্বাস -প্রশ্বাস নিতেই এই সুবিধাটুকু নেওতো তোমরা। নেওনা? আমরা এই ব্যস্ত দুনিয়াকে করবো সার্থক। ব্যর্থ হবো কেনো? অন্যজনের ছুড়ে ফেলে দেওয়াকে আমরা কুড়ে পেয়ে থাকলেও এভারেস্টকে কৈলাসে বাবার জাগ্রত সত্তাকে নিয়ে যাবে। এখন আপনাকে সহ্য করতে পারছি না। অসহ্য লাগছে আপনাকে। নীল আকাশে যেভাবে চিলেরা সাঁতার কাটে আমার জীবন সেভাবেই প্রবাহিত হোক সেটাই আমি চাই। আমি একজন চঞ্চল মতিধীতশ্রী হয়ে যাই। ঠিক সে সময়টাই আমার জন্য উপযুক্ত উপায়। ময়নার মা আমাকে যতোই ভাবুক যতোই স্মৃতির মাঠে ঘুড়ি উড়াক আমি তো লাঠিম ধরেই বসে আছি। হেমন্তের কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে যাক কিংবা মিলিত হোক কথাটা তো একই। বসে আছি পথ চেয়ে সেটা ফাগুনেই হোক কিংবা শ্রাবণেই হোক কন্ঠতো মিলিয়েছে কন্ঠে। আবারো মিলুক এতে আমার কিছু কী আসে যায়? আমি কী ঝোমকো থেকে কিছু পরিমাণ স্বর্ণ আহরণ করতে পারি? হ্যাঁ, পারি। তবে সে যোগ্যতা আমাকে অর্জন করতে হবে। আমি সব সময় সবাইকে মানুষের অমূল্য সম্পদ নিয়ে নাড়াচাড়া করি অভিধান আমার শিয়রে ব্যাকারণটা থেকে বাছাই করে শব্দ তৈরি করে পিনপতন শব্দের গলায় আটকে পড়ি।
খুব মোলায়ম মিষ্টি কন্ঠে আওয়াজ দেয়, আমি এসেছি। ঘাড় বাঁকিয়ে দেখি, আমার বুকের মধ্যে হার্ট আর চেম্বার কিছুটা নষ্ট হয়ে গেছে। তা হবেনা কেনো? ডাক্তার তো বলেই দিয়েছেন, ওষুধ খেলেই সমস্যাটা কেটে যাবে। একটা বাইপাস করে দিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু এবার যখন জিজ্ঞেস করি তখন তিনি বলেছেন, এখন আপনি যেভাবে আছেন সেভাবেই থেকে যাবেন। ওষুধতো আপনাকে ভালোই দিয়েছি। রিপোর্টেও তো তিন বছর যা পেয়েছেন তার থেকে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এনজিওগ্রাম তিন বছর আগে সম্পন্ন হয়েছে। একবার তো বাসের মধ্যে এটাক করে বসে। তাই গাড়ি থেকে নেমে একটা বেঞ্চে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকি। যে ছেলেটার দোকানে আশ্রয় নিয়েছি সেই ছেলেটা কীভাবে মানুষ হত্যা করে তা আমার উপলব্ধিতে আসেনা। ছেলেটা একটা সিএনজিতে উঠিয়ে ড্রাইভারকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে। আমার ঠিকানায় আমাকে কতো আদরে। আপনারা বুঝবেন না। ও আমার ভগ্নি। আমাকে শুশ্রূষা করেন।
নিয়ম মতো শুশ্রূষা করে বের হতেই পুলিশ সুমনাকে গ্রেফতার করে। এটিএম ঝাম্প নগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোন রূপকারণ ছাড়াই। আমি সামনে এসে দাঁড়াই। পুলিশের কাছে জানতে চাই, কেন, কিসের ভিত্তিতে ওকে গ্রেফতার করা হয়েছে? সন্দেহ মতো আটকের বিধান নেই। বিশেষ করে পুলিশ অস্ত্রধারী ব্যাতিত। আমিনারী কেবলি, তোমার সঙ্গে কথা বললে, বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে, মনে হয় পৃথিবীর সকল সৌন্দর্য, সকল শান্তি এখনো মরে যায়নি। দুদন্ড আশ্রয় পাই তোমার কাছে।­
পাহাড় কেটে অন্যান্য স্থাপনার মতো তৈরি হয়েছে নতুন এই হাসপাতাল। আজ আবার ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে গিয়েছিলাম। আমাকে যেতেই হয়। বৃক্ষ রাজিতে শোভিত তিন পাশ সবুজের সমারোহ। সবকিছুই ভালো লাগে কিন্তু সবকটি বিভাগ চালু করতে হবে। চিকিৎসা খরচাটা অবশ্যই কম করতে হবে। নইলে মধ্যবিত্ত শ্রেণি যেটির উচ্চাক্সক্ষা আছে অর্থাৎ সাধ আছে সাধ্য নেই এই অবস্থাটি চলতে থাকলে পরিশেষে বিষয়টা সুখকর হয়না।
এই সব দেখেশুনে ঘষা কাঁচের মতো ঘোলা চোখের দৃষ্টি প্রসারিত করেনি জেকে নিয়ে, নিজের পরিবার নিয়ে, পাড়া-পরশী, দেশকাল সবকিছু স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি। বহুদিন পর মনে জল ছবির মতো ভেসে ওঠেছে একটি গালভাঙা গান্ধী মার্কা চশমা চোখে জনাব মফিজ উদ্দীন ভূঁইয়া মাস্টার সাহেবকে। তিনি খুব গুরুত্ব দিয়ে তাঁর ছাত্রদের বলতেন, আত্মবিশ্বাস দৃঢ়তর না হলে, চরিত্র ঠিক না থাকলে কোন ব্যক্তি প্রকৃত মানুষ হতে পারেনা। বিশ্বাস দ্রুত পশ্চাতে পড়ে হাবুডুবু খায়। খেতে খেতে ক্ষেত্রে মিশে অদৃশ্য হয়ে যায়। আজ স্যার নেই। কিন্তু ওনার কথাটি আমার মনে রয়েগেছে। আমি গোলক ধাধার কিশোর অনেকটা পিছন ফিরে দেখি। ফিরে দেখতে হয়। গোলক ধাধার পেছনটা দেখতে হয় বর্তমানের ডালপাল ছড়ানো ফাঁক গলিয়ে ভবিষ্যতের আকাশটা। বাড়ির সামনেতে পান্তরের মাঠ। বর্ষায় সেই মাঠ সমুদ্র সাদৃশ্য। জলে
টইটুম্বুর। খাল পাড়ে হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে টানা জালে মাছ ধরার কথা মনে পড়ে। থুথু দিয়ে জোঁক ফেলার একটা শিহরণ এখনো অনুভূত হয়। দামাল ছেলেরা মিলে কোমড় জলে ‘লার’ টেনে মাছ ধরাও জাম্বুরা দিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে জল-কাদায় ফুটবল খেলা। আলোয়িতমন, আলোকিত কায়া।
কবিতার জন্য আমি রাজ্য পাট তেজ্য করতে পাড়ি। দেশের জন্য জীবনবাজি রেখে লড়তে পাড়ি। তবে এখন কী করবো। তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে সূর্যালোকে গিয়ে নিজের গা ভিজিয়ে দেবো? মাঠ পেরুলেই কী আলোকিত জীবনের গ্যারান্টি পাওয়া যাবে? আলোর মশাল নিয়ে অভ্যর্থনা করার জন্য কে দাঁড়িয়েছে? আমার পিতামহ? না, পিতা-মাতা? এসব ভাবনা অপরি-পক্ক। কিছুটা ছেলে মিকিং বা চঞ্চলতায় যাকে বলে বালখিল্যতা।
পৃথিবীটাই তো চলছে যোগ্য নেতৃত্বহীনতায়। দুরাচার প্রতি কথায়। চিন্তাচেতনায় শুধু শক্তির দম্ভ। যে যতো রক্ত ঝরাতে পারে সে -ইসন্মানিত। শুধু পরেরটার দিকেই নজর। নিজের ব্যাপারে কতোটুকু সিদ্ধ তা মেপে দেখার সময় কই? মা বসুন্ধরা এই আবর্তিত সময়ে সবাইকে একটু সতর্ক করতে চেয়েছেন। একটু সতর্ক করতে গিয়ে বিশ্বব্যাপি যে লক্ষ লক্ষ মানব প্রাণ অনন্তের দিকে ধাবিত হয়েছে। কতো মহামারী সে পদদলিত করে এসেছে। আর আজ পিছন ফিরে অনন্তের দিকে যাবে। তারপরও সতর্কবার্তাকে পরোয়া করছে না কেউ।
করোনা বিশ্বভ্রমণে বেরিয়েছে। করোনা এসেছে। তাকে দাওয়ায় বসার জন্য পিঁড়ি পেতে দিয়েছে লাজুক গৃহবধু। পরক্ষণই হাতে বাতাসা জল নিয়ে এসেছে। শত্রূকেও আতিথেয়তা করতে ভুল হয় না। এটাই বাঙালির মহত্ব। হৃদয়হীন করোনা বলছে, হে মানব কুল! তোমাদের করুণা করার জন্য করোনাকে পাঠানো হয়েছে। দেখ আমার শক্তি। আমি তোমাদের করুণানা করলে পৃথিবী কী ফিরে পাবে সেইদিন। আমি মানুষ থেকে মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছি। পরম প্রিয়াকে সম্ভোগের অধিকার হরণ করেছি – থামো! শুনে রাখো, তুমি যাই করো মানুষ কারো কাছে মাথা ন্যুয়ায় না সৃষ্টির প্রত্যুষ থেকে মানবকূল শত বাধাবিঘ্ন দুপায়ে ঠেল নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছে পৃথিবীর বিস্ময়কর মানবজাতি। আজ বিঞ্জানের আবিষ্কার দিয়ে আজ আকাশ পর্যন্ত জয় করে নিয়েছে। ময়না মিষ্টি মধুর সুরে অমৃত ধারার মতো জানতে চায়, তুমি আমাকেও অস্বীকার করবে? অস্বীকারের প্রশ্ন আসছে কেনো? সব কিছু স্বীকার করেই তোমাকে আলিঙ্গনে আবদ্ধ করে বুকের উত্তাপ দিয়ে জিয়ে রাখবো। তুমি আমাকে আমি তোমাকে। পরস্পরের আগ্রহ, ব্যাকুল তাই আমাদের কাছে টানবে। যতো ঝঞ্ঝা তা বিতাড়িত হবেই।
অশুভ তুই বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে অর্থনীতি বারটা বাজিয়েছিস সব সত্য। কিন্তু মানুষ সব কিছুই রুখে দেবে। তোকে রুখার জন্য মানুষ অস্ত্র তৈরি করে ফেলেছে। তবে তোকে বিদায় করে পরবর্তিত বিশ্বকে ঢেলে সাজাবেও মানুষ। ময়না মৃদু ভাষ্যে বলে, তোমার এতো ব্যাধি তুমিতো পারবে না। আমি আশ্বাস দিয়ে বললাম, পারবো। করেই তোমাকেই বাহু বন্ধনে আবদ্ধ করে বুকের উত্তাপ দিয়ে জিয়ে রাখবো। তুমি আমাকে আমি তোমাকে। পরস্পরের আগ্রহই, ব্যাকুলতা আমাদের কাছে টানবে। যতো ঝঞ্ঝা তা বিতাড়িত হবেই।
বিশ্বব্যাপী বিশৃংখলা তৈরি করতে পেরেছিস আর্থনীতির বারোটা বাজিয়ে দিয়েছিস, মানুষে মানুষে বৈষম্য সৃষ্টি করেছিস এসব সবই সত্য। কিন্তু মানুষ সব কিছুই রুখে দেবে। তুই বিদেয় হলে পরবর্তী বিশ্বকে ঢেলে সাজাবেও মানুষ। ময়না বলে, তোমার এতো ব্যাধি তুমি পারবে না তো। হ্যাঁ, পারবো। সৃষ্টিশীল সৃষ্টিকর্তা আমাদের পাশে থাকবে। তুমি থাকবে সহচরী সর্বক্ষণ। আমি আর চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাবো না। হা-হুতাশ করবো না। এখন আমাদের একটা ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল আছে। চিকিৎসা ব্যয় বেশি হলেও সেবার মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ের। এতো বিশাল আয়োজন যেনো দেশের মানুষ পেতে পারে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।