অটোরিকশার গ্যারেজে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ

30

নগরীতে সিএনজি অটো রিকশার গ্যারেজগুলোতে দারোয়ানের নামে চালকদের কাছ থেকে অবৈধ চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে সিএনজি অটো রিকশার চালকরা। জানা যায়, পাঁচলাইশ থানার কাতালগঞ্জ এলাকায় চালকরা মালিকদের দৈনিক প্রাপ্য প্রদানের পরও তাদের কাছ থেকে প্রতিদিন অতিরিক্ত ২০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ চট্টগ্রামের সকল সিএনজি অটো রিকশা চালক ও শ্রমিক ইউনিয়ন।
এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম অটোরিকশা-অটোটেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য মো. সাহাবুদ্দিন পাঁচলাইশ থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগকারী মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, সারাদিন অটো রিকশা চালিয়ে একজন চালক ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা আয় করে। তার মধ্যে গাড়ির মালিককে দৈনিক প্রদান করতে হয় ৯০০ টাকা। আয় যত হোক না কেন ৯০০ টাকা গাড়ির মালিককে দিতেই হবে। তাছাড়া জ্বালানি গ্যাস ৩০০ টাকা, চালকের খাবার ২০০ টাকা ধরা হলে চালকের হাতে থাকে মাত্র ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। আবার তার পাশাপাশি যদি দারোয়ানির নামে ২০ থেকে ৩০ টাকা চাঁদা দাবি করা হয় তাহলে আমাদের পরিবার চলবে কেমনে? এসব বিষয় নিয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।
জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগরীতে ১৩ হাজার সিএনজি অটো রিকশা চলাচল করে। আর গ্যারেজ রয়েছে ১৭৮টি। এরমধ্যে কমপক্ষে ১১ হাজার অটো রিকশা চালকের কাছ থেকে প্রতিদিন সর্বনি¤œ ২০ টাকা করে চাঁদা আদায় করলে দৈনিক হয় ২ লাখ ২০ হাজার টাকা, এক মাসেই চাঁদার পরিমাণ দাঁড়ায় ৬৬ লাখ টাকা এবং এক বছরে তার পরিমাণ দাঁড়ায় ৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
চট্টগ্রাম অটোরিকশা-অটোটেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ পূর্বদেশকে বলেন, নগরীতে সিএনজি অটোরিকশা গ্যারেজ মালিকগণ অনৈতিকভাবে সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকদের কাছ থেকে দারোয়ানের টাকার নামে চাঁদাবাজি করছে। এটা এক প্রকার ওপেন সিক্রেট। আমরা পুলিশ কমিশনার মহোদয়সহ নগরীর প্রত্যেকটি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। উনারা আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন, এর বিরুদ্ধে একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
পাঁচলাইশ থানার উপ-পরিদর্শক মাহী উদ্দিন আল আমিন পূর্বদেশকে বলেন, অভিযোগটি আমি এখনো হাতে পাইনি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।