অটোমেটিক পদ্ধতিতে শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেড

203

সফটওয়্যারের মাধ্যমে অটোমেটিকভাবে শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেড দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির নেতারা। এছাড়া অবসর কল্যাণ ট্রাস্টের অতিরিক্ত চাঁদা কর্তন বন্ধ করে শিক্ষকদের জন্য পেনশন ব্যবস্থা চালু এবং একযোগে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
একই সাথে শিক্ষকদের বদলি প্রথা চালু, অনলাইন পদ্ধতিতে শিক্ষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এমপিও প্রদান, কলেজ শিক্ষকদের পদোন্নতিতে অনুপাত প্রথা বাতিল, সরকারি নিয়মে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ও উৎসব ভাতা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন তারা। এসব দাবি জানিয়ে সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুককে স্মারকলিপি দিয়েছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির নেতারা।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের মুখপাত্র মো.নজরুল ইসলাম রনি, মহাসচিব মো. মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্সসহ সমিতির নেতারা। স্মারকলিপিতে কয়েকদফা দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা। দাবিগুলো হল, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি প্রথা চালু করে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া অনলাইনভিত্তিক ডিজিটাল সফটওয়্যারের মাধ্যমে শিক্ষকদের বদলি সম্পন্ন করা, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেড অটোমেটিক পদ্ধতিতে সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রদান, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বা এমপিও অনলাইন পদ্ধতিতে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রদান, এমপিওভুক্ত কলেজ শিক্ষকদের পদোন্নতীতে ৫:২ অনুপাত প্রথা বাতিল, ২৫ শতাংশের পরিবর্তে সরকারি নিয়মে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ঈদ বোনাস ও বাড়ি ভাড়া এবং চিকিৎসা ভাতা প্রদান।
স্মারকলিপিতে শিক্ষক নেতারা বলেন, বর্তমানে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে ৬ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ হারে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডের চাদা কর্তন করা হচ্ছে।
এতে শিক্ষক সমাজে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। শিক্ষকদের অতিরিক্ত কর্তনের টাকার হিসেব শিক্ষকদের জানা নেই। তাই শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ড অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন বন্ধ করতে হবে। (সূত্র : অনলাইন)