অটিজম ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা

98

অটিজম কোন রোগ নয়। স্নায়ুর বিকাশজনিত সমস্যা। এসমস্যায় যারা রয়েছে তারা আমাদের আদরের সন্তান। আমাদের সমাজ অটিজমকে কতটুকু গ্রহণ করেছে ও মানিয়ে নিয়েছেন, তা বিবেচনার বিষয়। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার লিখনীর মাধ্যমে সমাজের অবহেলিত মানসিক প্রতিবন্ধী ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের প্রতি সহযোগিতা ও সহানুভূতির হাত বাড়ানোর আহ্বান করেছিলেন। বিশেষ করে বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর অসহায় অবস্থাকে চিহ্নিত করে তাদের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেন। তিনি এই জনগোষ্ঠির মাঝে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে সকলের সক্রিয় ভূমিকার উপর গুরুত্ব দেন। ‘দুর্বল বুদ্ধিকে স্নেহের অধিকার হইতে বঞ্চিত করিও না’- বলে সকলের বঞ্চিত দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে বলেন। কারণ তারা আমাদের আপনজন। বাংলাদেশের সঠিক পরিসংখ্যান না হলেও বিশেষজ্ঞদের ধারণা, গড়ে প্রতি হাজারে ১০ থেকে ২০টি শিশু অটিজম রোগে আক্রান্ত হয়। তুলনায় উন্নত বিশে^ এ সংখ্যা আরও অনেক বেশী। উন্নত বিশ্বে এই অটিজম আক্রান্ত শিশুদের জন্য যে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা আছে তার তুলনায় আমরা অনেক পিছিয়ে। উন্নত বিশ্বে এই অটিজম আক্রান্ত শিশুদের দেখা-শোনার দায়িত্ব সরকার নিজেই গ্রহণ করে থাকে। এমনকি এই শিশুদের সঠিক যত্নও লালন-পালনের জন্যে অভিভাবকদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়। আমাদের দেশের অবস্থা উন্নত বিশ্বের মত না হলেও বর্তমানে অটিজম আক্রান্ত শিশুদের জন্য অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এমন একটা সময় ছিল যখন কেউ ভাবতেই পারে নাই- অটিজম আক্রান্ত শিশুরা সমাজের মূল স্রোতে কোন একদিন হাত লাগাবে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদের বিশেষ কার্যকরী পদক্ষেপের ফলে আমাদের এই শিশুগুলো ঘর থেকে বের হয়ে সকলের সামনে আসতে পারছে। এক সময় অভিভাবকরা লোকলজ্জার ভয়ে তাদেরকে লুকিয়ে রাখত। এমনকি কাউকে সেই সন্তানের কথা প্রকাশ করতেন না। এখন অবস্থান অনেক বদলে গেছে। বাংলাদেশের সোনালী দিনের একটি রক্তিম দিক হচ্ছে- বাংলাদেশ এখন অটিজম বিষয়ে বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে রোল মডেলের ভূমিকা পালন করছে । এখানে উল্লেখ্য, ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি চিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়। অটিজম আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে বাংলাদেশের সরকার অনেক দূর এগিয়েছে। বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে অটিজম শিশুদের নিয়ে প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়।অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতিবন্ধী ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী জনসংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। যা সমাজের জন্য উদ্বেগজনক, শুধুমাত্র পরিবার নয়, রাষ্ট্রকেও বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাই বাংলাদেশ সরকারকে অটিজম শিশুদের শিক্ষাদান পদ্ধতিতে আরো কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। বর্তমান সরকার আমাদের অনেক নতুন নতুন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা এমপিও ভুক্তির পাশাপাশি সরকারিকরণে উদ্যোগ নিচ্ছে। দেশে প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাগুলো একের পর এক সরকারিকরণের পাশাপাশি নতুন নতুন ভবন তৈরির মাধ্যমে সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তাছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মাল্টিমিডিয়া শিক্ষার ব্যবস্থা করতে বার বার তাগিদ দিচ্ছেন। অথচ অটিজম শিশুদের জন্যে কোন ধরনের আর্থিক সরকারি অনুদান নাই বললেই চলে। অন্যান্য সাধারণ ও স্বাভাবিক বাচ্চাদের মত তাদের শিক্ষাপদ্ধতি এক রকম না হওয়ায় অটিজম বাচ্চাদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ব্যয়বহুল। তাই সরকার যদি অটিজম স্কুলগুলো সরকারিকরণের পাশাপাশি অঞ্চলভিত্তিক একটি একটি নতুন ভবনের ব্যবস্থা করেন, তাহলে অনেক উপকার হবে।
সমাজের এ ধরনের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীদের দৈন্য-দশা দেখে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, ‘মানুষের মধ্যে সকলের চেয়ে দুর্ভাগা সেই, যার বোধের বিকাশ অসম্পূর্ণ।’ রবীন্দ্রনাথ তার সমকালেই এ সমস্ত জড়বুদ্ধি বা বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের প্রতি সমাজ, সংসার ও মানুষের চরম অবহেলা, উপেক্ষা ও অনাদর দেখেছিলেন। তাদের এই অবস্থা তাকে এমনভাব্ েনাড়া দেন যে তিনি তাদেরকে পরম আদরে ও স্নেহের বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য বলেছিলেন। কারণ অবহেলা ও উপেক্ষা শুধুমাত্র তাদেরকে মর্যাদাহীন করে না বরং দয়ামায়াহীন আচরণ তাদেরকে জড় জীবনের দিকে ধাবিত করে। কখনো কখনো ভালবাসাহীন সমাজ তাদের অপমৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অথচ আমাদের সবটুকু আদর, ভালবাসা, আন্তরিকতা ও সহানুভূতি নিয়ে যদি এদের পাশে দাঁড়ানো যায় তারাও তাদের দক্ষতা প্রমাণ করতে পারবে । তারাও মূল স্রোত এসে আমাদের সম্পদে পরিণত হতে পারে । আমাদের মানবিক আচরণ আমাদেরকেই মহিমান্বিত করবে। সকলের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে, অটিজম শিশুদের বিকাশ ও সফলতা আনার লক্ষ্যে প্রতিবছর এপ্রিল মাসে অটিজম মাস পালন করা হয়। কেন যেন এই মাসে চারিদিকে এক ধরনের প্রতিযোগিতাও শুরু হয়। সমাজের বিজ্ঞবান ও বিবেকবান ব্যক্তিগণ তখন অটিজম আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে সভা-সেমিনার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমগুলোও ব্যস্ত হয়ে পড়ে অটিজম মাসে অটিজম সংক্রান্ত কর্মসূচি সম্প্রচার করার ব্যাপারে। এখানে আবারো উল্লেখ করা হচ্ছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর তাৎপর্যপূর্ণ। এই দিবসগুলো কড়া নাড়ার সাথে সাথে দেশপ্রেম ও পোশাকি বাহার শুরু হয়। লাল-সবুজের কাপড় ও সাদা-কালো রংয়ের কাপড়গুলোর তখন বেশি চাহিদা বেড়ে যায়। কতটুকু দেশপ্রেম ও কর্তব্যবোধ থেকে শ্রদ্ধা ও স্মরণ করে থাকে, জানি না। তবে পোষাকি ও বাহ্যিক প্রকাশ চোখে পড়ার মত। তেমনি পহেলা বৈশাখে বাঙালি হওয়ার প্রতিযোগিতা চলে। আর এই প্রতিযোগিতা চলে দেশের বিবেকবান ও শিক্ষিত সমাজের মাঝে। সত্যিকার অর্থে, এই দিবসগুলোর মর্মার্থ বোধগম্য করতে পারলে বাংলাদেশ অনেক অনেক দূর এগিয়ে যেত। ঠিক তেমনি এপ্রিল মাস আসলেই চারদিকে অটিজম নিয়ে প্রচার-প্রচারণা বেড়ে যায়। বিভিন্ন সভা-সেমিনারে অটিজম আক্রান্ত শিশুদের ও অভিভাবকদের যতটুকু গুরুত্ব দেওয়া হয় তার চেয়ে বেশি গুরুত¦ দেওয়া হয় আয়োজকদের উপর। এক ধরনের আত্ম-প্রচারের মন-মানসিকতায় এই সমস্ত আয়োজন করা হয়। তাই তেমন কোনকার্যকরী ফলাফল পাওয়া যায় না। যারা অটিজমে আক্রান্ত শিশু ও তাদের অভিভাবক নিয়ে অনুষ্ঠান- আয়োজন করে থাকে তারা পরবর্তী দিন সেই ভুক্তভোগি-মানুষগুলোকে চিনতে পারে না। একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে অটিজম আক্রান্তদের নিয়ে প্রতিযোগিতার ব্যবস্তা করা হয়। আমি নিজেই অনুষ্ঠানে একটি প্রবন্ধ পাঠ করি। উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আমাকে আস্বস্তকরেন,যে কোন প্রয়োজনে উনি আমাদের পাশে থাকবেন। এমন একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার কথায় বেশ খুুশি হই। কিন্তু অবাক বিষয়, কয়েক মাস পরে ওনার সাথে আমার দেখা হয়। আমার সাথে আমার ছেলে আবরারও ছিল। আমি আমার পরিচয় দিই। আমার দেবশিশুটিকে চিনিয়ে দিই। ভেবেছিলাম, আমাকে না হলেওআমার দেবশিশুটিকে দেখে মতবিনিময় করবেন। কুশলবিনিময় করবেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় বলব না বিবেকহীনতার বিষয় বলব জানি না, ঐ উচ্চপদস্থ সরকারি-কর্মকর্তা আমাদেরকে না চেনার ভান করেন। অথচ বিশাল সেমিনারে উনিই বলেছিলেন,আমার প্রতিটি শব্দ ও উচ্চারণ উনার বুকের ভিতর আঘাত করেছে। চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না। তাই যাওয়ার সময় বেশ দৃঢ়ভাবেই বলেছিলেন, যেকোন সময় যেকোন অবস্থায় উনি অটিজম বাচ্চাদের জন্য কিছু করতে পারলে খুবই খুশি হবেন। কিন্তু বাস্তবতা অন্য রকম। চট্টগ্রামে একজন অতিপরিচিত ও সম্মানিত লেখিকাকে আমি একবার অটিজম এর উপর আমার একটা লেখা পড়তে অনুরোধ করি। ‘‘অ- অটিজম ও আ- আমি’ আমার এই প্রবন্ধের একটি কপি উনার হাতে তুলে দিয়েছিলাম। কেমন হয়েছে জানার জন্য। অথচ এর মধ্যে অনেকবার উনার সাথে আমার দেখা হয়েছে। কিন্তু কোন প্রতিক্রিয়াও করে নাই। অথচ বিভিন্ন অটিজম বিষয়ক অনুষ্ঠানে তিনি মত বিনিময় করেন। টিভি অনুষ্ঠান আয়োজনে অটিজম বাচ্চাদের নিয়ে আশার বাণী শুনান। অটিজম বাচ্চা ও অভিভাবকের সাথে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তখন খুব বেশি মর্মাহত হই। অনুষ্ঠান আয়োজনে এভাবে যারা আশার বাণী শুনান বাস্তবে তারা কোন কার্যকরী ভূমিকা রাখেন না। এভাবে আমরা অটিজম আক্রান্ত পরিবারগুলো বার বার কষ্ট পাই। তাই করুণা নয়, সত্যিকারের সহানুভূতি ও ভালোবাসা দিয়ে অটিজমকে জয় করার আহ্বান জানাচ্ছি। ঠিক এমন ভাবেই এপ্রিল মাসে অটিজম আক্রান্ত বাচ্চাদের নিয়ে যে সাড়া জাগে তেমনি সাড়া বছরব্যাপী থাকে না বলেই অটিজম আক্রান্ত শিশুদের উন্নয়নে কার্যকরী সুফল আসে না।
বর্তমান সময়ে অটিজম কি? এর প্রতিকারমূলক কার্যক্রম সম্পর্কে কম-বেশী সবাই জানে। তাই সমাজের বিত্তবান ও সচেতন মহলের প্রতি আকুল আবেদন পেশ করছি- আসুন, আমাদের পাশে দাঁড়ান। আপনাদের সহানুভূতি ও ভালবাসার পাশাপাশি, আপনার আর্থিক সাহায্য আমাদের জন্য বিশাল সমর্থন। আপনার আর্থিক সমর্থন ছাড়া এই বাচ্চাদের শিক্ষাদান ও প্রশিক্ষণ সম্ভব নয়। এদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অটিজম স্কুলকে এক সূত্রে নিয়ে আসার এখনি সময়। কোন ধরনের ব্যক্তিগত প্রতিযোগিতা নয়, বরং সমষ্টিগত সহযোগিতাই পাড়ে স্কুলগুলোর সোনালী দুয়ার খুলে দিতে। বাংলাদেশের বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী রুণা লাইলার কন্ঠে মিলিয়ে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে- ‘‘অটিজম বাচ্চাদের জন্যে বাংলাদেশে সুদিন এসেছে।’’ আসলেই অটিজম বিষয়ে বাংলাদেশ এখন বিশে^ রোল মডেল। বর্তমানে চারিদিকে যে হারে অটিজম আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা বেড়ে চলছে তাতে সবাইকে অনেক বেশী সচেতন হতে হবে। কারণ সমাজের মধ্যে একটি বড় অংশ যদি শুধুমাত্র অটিজমের কারণে অবহেলায় ও অসচেতনায় পিছিয়ে থাকে তাহলে আমাদের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে তাদের উন্নয়ন দরকার, সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রতিবন্ধীদের অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। এ লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানসিক ও শারীরিকভাবে পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে দেখতে চায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ অটিজম শিশুদের মানোন্নয়নে বিশ^ব্যাপীÑ প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। অটিজম শিশুর উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন ‘‘রোল মডেল’’ হিসেবে বিবেচিত। সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমে জানা যায়, চট্টগ্রামে অবস্থিত অটিজম আক্রান্ত শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠিত ‘‘প্রয়াস’’স্কুলের সাত-আট শিশু বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হয়ে বিভিন্ন স্থানে কর্মরত আছে। হোক না সেই কাজ ছোট। তবুও অটিজম আক্রান্ত শিশুদের জন্য সে এক বিশাল সু-সংবাদ। যেখানে আমরা আমাদের বাচ্চাদের নিয়ে চিন্তিত থাকি- বাচ্চাটি যদি নিজ হাতে খেতে পারে,নিজে নিজে কাপড়-চোপড় পড়তে পারে, নিজে নিজে পায়খানা-পশ্রাব পরিষ্কার করতে পারে। এই বিশেষ শিশুদের জন্য অন্যান্য স্বাভাবিক বাচ্চাদের সাথে একত্রে পড়ালেখা করা, দক্ষতা অর্জন করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যোগদান করাও নিজের জীবিকা অর্জনের সংবাদ আমাদের জন্য একটি সোনালি দিনের শুরু। যারা এভাবে নিজেকে প্রমাণ করতে পারে তারা অভিভাবক ও সমাজের কাছে অনেক অনেক বড় প্রাপ্তি ও অর্জন। এখানে তার লেখাপড়া কম না বেশী, তার চাকুরীতে অবস্থান ছোট না বড়- এই বিষয়টি বড় নয়। বড় হলো, সেও অন্যান্য সবার মত নিজের অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম। দেশের অন্যান্য স্বাভাবিক স্কুলের মত অটিজম স্কুলেও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হলেও তাদের প্রতি জাতীয় নীতি-নির্ধারণের ভূমিকা তেমন উল্লেখযোগ্য নয়। অন্যান্য স্কুলে যেসব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় তেমনি অটিজম স্কুলে সরকারি সাহায্য আসে না।

লেখক: কলেজ শিক্ষক, কলামিস্ট