অগ্নি সচেতনতা বৃদ্ধিতে মেয়রের প্রচারপত্র

25

নগরীতে অগ্নি সচেতনতা ও প্রতিরোধে সিটি মেয়রের প্রচারপত্র বিতরণ শুরু করেছে প্রতিধ্বনি ক্লাব। এ উপলক্ষে শুক্রবার সকালে সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণে অগ্নি সচেতনতা ও প্রতিরোধ বিষয়ে বর্ণাঢ্য র‌্যালি উদ্বোধন করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। র‌্যালিটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিতে সিটি মেয়র প্রচারপত্র বিতরণ করেন। এ সময় কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, রাজনীতিক পুলক খাস্তগীর, ছাত্রনেতা অনিন্দ দেব, সংগঠনের সভাপতি সমন্যু চত্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক রিমন দত্ত, সৌরভ দাশ, জয় দাশ গুপ্ত, তন্ময় দাশ গুপ্ত, ইজাজুল হক এজাজ, ফাহিম রাফসান, ভাস্কর নন্দী, সানি তালুকদার, আদ্রি রাহা, নয়ন ধর, ইমন দত্ত, মান্না সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনকালে
সিটি মেয়র বলেন, আগুন লাগার মূল কারণ অসাবধানতা। অসাবধানতার সঙ্গে যোগ হয় অজ্ঞতা। আগুন লাগার বড় ধরনের উৎসগুলো হচ্ছে-জ্বলন্ত চুলা, জ¦লন্ত সিগারেট, জ¦লন্ত ম্যাচের কাঠি, খোলা বাতি, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট, গরম ময়লা, আবর্জনা ও অন্যান্য দাহ্য বস্তু, ছেলে-মেয়েদের আগুন নিয়ে খেলা বা রাসায়নিক বিক্রিয়া ইত্যাদি। এছাড়া মেশিনারিজ, আবর্জনার গ্যাস সৃষ্টি, মেশিনের ঘর্ষণ, বজ্রপাত, গ্যাসের সিলিন্ডার ও চার্জরত মোবাইল ফোন হতে বিভিন্ন ধরনের বিষ্ফোরণ থেকেও আগুন লেগে যেতে পারে। তাই সকলকে উল্লেখিত বিষয়ে সচেতনতা ও দায়িত্ববান হতে হবে। তিনি অগ্নিকাÐের সতর্কতা হিসেবে বসতবাড়ী, অফিস, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, কারখানার অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থা, রান্নার পর চুলা নিভিয়ে ফেলা, খোলা বাতির ব্যবহার পরিহার, বাসার বৈদ্যুতিক সংযোগগুলো মাসে অন্তত একবার করে পরীক্ষা করা, প্রয়োজনে পুরানো সংযোগ পরিবর্তন, রাসায়নিক ও জ্বালানি পদার্থ ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে ধূমপান নিষিদ্ধ, শিল্প-কারখানায় প্রচুর পানি ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখা, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে বৈদ্যুতিক সংযোগের মেইন সুইচ বন্ধকরণ, সব জায়গা আবর্জনামুক্ত, চুলার ওপর ভেজা লাকড়ি বা কাপড় না রাখা এবং ইস্ত্রিতে বৈদ্যুতিক সংযোগ রেখে কোথাও না যাওয়া, ছোট বাচ্চাদের রান্না ঘরে যাওয়া থেকে বিরত রাখা, রান্না ঘর ও টয়লেটের জানালা সর্বদা খোলা রাখা, রাস্তায় হেঁটে যাওয়ার সময় ঝুলন্ত বৈদ্যুতিক তার স্পর্শ না করা ইত্যাদির কথা উল্লেখ করেন। মেয়র অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার জন্য কতিপয় নির্দেশনার কথা উল্লেখ করেন। নির্দেশনাগুলো হলো-অগ্নি প্রতিরোধে সচেতন হওয়া, সম্ভাব্য অগ্নিকাÐ মোকাবেলায় হাতের কাছে দু’বালতি পানি বা বালু মজুদ রাখা, বাসগৃহ, কল-কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নি নির্বাপনী যন্ত্রপাতি স্থাপন করা এবং মাঝে মাঝে সেগুলোর কার্যকারিতা পরীক্ষা করা, গুদাম বা কারখানায় ধূমপান নিষিদ্ধ করণসহ দৃশ্যমান স্থানে সতর্কীকরণ পোস্টার প্রদর্শন, আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের সেবা চাইতে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করা। বিজ্ঞপ্তি